২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০১:২১:৪৮ অপরাহ্ন


সরকার ফের গ্রেফতারের ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছেন- খন্দকার মোশারফ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৩-২০২৩
সরকার ফের গ্রেফতারের ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছেন- খন্দকার মোশারফ


সরকার ফের গ্রেফতারের ‘পুরনো খেলা’ শুরু করেছেন বলে অভিয্গো করেছেন খন্দকার মোশারফ হোসেন।

সোমবার বিকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘‘ সরকার সেই পুরনো খেলা, সেই পুরনো ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এখন ওরা নতুন নতুন বানোয়াট মামলা দিচ্ছে। এই যে দেখেন গত রাতে বনানী ক্লাবে একটা সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে আমাদের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান ও শ্রীপুর বিএনপি প্রায় ৫৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে। কি পরিমান স্বৈরাচারী মানসিকতা হলে এটা সরকার করতে পারে। কিন্তু এসব বানায়াট মামলা করে, ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। আজকে এইসব ষড়যন্ত্র জনগনের কাছে ধরা পড়ে গেছে, আন্তর্জাতিকভাবে ধরা পড়ে গেছে। তাদেরকে অনতিবিলম্বে তাদের ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে।”

জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে উদ্যোগে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়। ২০১১ সালের ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিতসাধীন অবস্থায় মারা যান খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৮ বছর।


‘সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ তলানিতে’


খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘ গুম-খুন, অন্যায়-অত্যাচার, চাঁদাবাজি এসবের কারণে দেশ শান্তি থেকে অনেক দূরে চলে গেছে। আজকে আন্তর্জাতিক সুখী দিবসে ওয়ার্ল্ড হ্যাপীনেজ রিপোর্ট-২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে যে, বাংলাদেশ সুখী দেশের তালিকায় ১৩৭টি দেশের মধ্যে ১১৮তম স্থানে আছে। এথেকে বুঝা যায় মানুষ কি পরিমান অশান্তিতে আছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তৃতা শুনবেন-দেশের অর্থনীতি ভালো, দেশের মানুষে সুখে আছে, কেউ না খেয়ে থাকে না, সব কিছু ভালো। সুখ এতোটুকুই ১৩৭ টি দেশের মধ্যে ১১৮তম স্থানে আছে।”


সরকারের মন্ত্রীরা মিথ্যাচার করে জনগনকে প্রতারণা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


‘১/১১ ছিলো বিএনপিকে মাইনাসের ষড়যন্ত্র’

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘ ১/১১ ছিলো বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। গায়ের জোরে অসাংবিধানিক সরকার ছিলো সেটি। বিএনপিকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দেয়ার জন্য্ তারা নামে মাইস টু থিওরি ও বিরাজনীতিকরনের কথা বলেই কিন্তু ওপেনলি ক্ষমতায় এসেছিল। মাইনাস টু তারা বুঝাতে চেয়েছিলো এর মধ্যে শেখ হাসিনার নাম আছে। কিন্তু আসলে তা না। মাইনাস টু ছিলো মাইনাস বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান। আর বিরাজনীতিকরণের অর্থ ছিলো বিএনপিকে সম্পূর্ণভাবে ধবংস করে দেয়া। সেই সময়ে খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন সাহসের সাথে সংগঠনের হাল ধরেছে।”

খোন্দকার দেলোয়ার বিএনপির দু:সময়ে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য দলের নেতা-কর্মীরা সবসময় তাকে স্মরণ রাখবে বলে জানান তিনি। খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কবি আবদুল হাই শিকদার।

মহানগর বিএনপি নেতা হাজী মোহাম্মদ ইউসুফের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, নির্বাহী কমিটির অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, যুব দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইছহাক সরকার, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, প্রয়াত খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে খোন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, খোন্দকার আবদুল হামিদ পবন এবং মেয়ে ডা. দেলোয়ারা হোসেন পান্না বক্তব্য রাখেন।




শেয়ার করুন