২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৪:৫২:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


অবস্থান-গণসংযোগের নতুন কর্মসূচি বিএনপির
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৩-২০২৩
অবস্থান-গণসংযোগের নতুন কর্মসূচি বিএনপির


বিদ্যুত-গ্যাসসহ দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি, সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতি এবং ১০ দফা দাবিতে মহানগর থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত অবস্থান-গণসংযোগের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। শুক্রবার বিকালে ইস্কাটন গার্ডেনের লেডিস ক্লাবে বিএনপির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

কর্মসূচি সমূহ হচ্ছে: ১ এপ্রিল সকল মহানগর ও জেলায় বেলা ২টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্য়ন্ত, ৮ এপ্রিল সকল মহানগরের থানা ও জেলা-উপজেলার থানায় বেলা ৩টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্য়ন্ত অবস্থান কর্মসূচি।


৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬ পর্যন্ত ১০ দফার প্রচারপত্র, রাষ্ট্র মেরামতের প্রচারপত্র এবং আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রচারপত্র বিলি/ মানববন্ধন/অবস্থান কর্মসূচি।

ইউনিয়ন পর্য়ায়ের এই কর্মসূচি বিভাগ অনুযায়ী হবে-- ৯ এপ্রিল রংপুর বিভাগে, ১০ এপ্রিল রাজশাহী ও সিলেট বিভাগে, ১১ এপ্রিল খুলনা ও কুমিল্লা বিভাগে, ১২ এপ্রিল ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে এবং ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ ও ফরিদপুর বিভাগে হবে।


২৮ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশের সকল মহানগর-জেলা-উপজেলা-থানা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ে বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা, দুঃস্থ অসহায় ও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের সহায়তা প্রদানসহ বিভিন্ন গণসংযোগ কর্মসূচিতে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ গ্রহন করবে।

রমজানে কেনো এই কর্মসূচি ঘোষণা করলেন তার ব্যাখ্যাও দেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘‘ রমজান মাসে আমাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়া কথা নয়। কিন্তু আজকে দেশের যে অবস্থা তৈরি হয়েছে আমরা বাধ্য হয়েছি এই রমজান মাসেও আমাদের সাধারণ মানুষকে এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবার যে আন্দোলনল, আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার যে আন্দোলন, ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের যে আন্দোলন, সর্বপরি এদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে আন্দোলন তাকে আমরা চলমান রাখতে চাই সেজন্য আমরা এই কর্মসূচি দিয়েছি। আমরা আশা করব, এই কর্মসূচিগুলোতে দেশে আপামর জনসাধারণ অংশ গ্রহন করবেন এবং তাদের যে অধিকার ভোট দেয়ার অধিকার, তাদের যে অধিকার কথা বলার অধিকার সেই অধিকারগুলোতে বাস্তবায়িত করবার জন্য তারা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘ আজকে দেশ ও জাতি চরম সংকটে উপস্থিত হয়েছে। এখন আমাদের সকলের দলমত নিবির্্শেেষ সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট যে সরকার আছে তাকে সরিয়ে জনগনের সরকার, জনগনের পার্লামেন্ট গঠন করতে হবে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে।”

এতিম-উলামা-মাশায়েখদের সন্মানে বিএনপির উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিল হয়। এতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জাতীয়তাবাদী উলামা দলের আহ্বায়ক শাহ নেছারুল হক ও সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম তালুকদার প্রমূখ নেতারা ছিলেন।





শেয়ার করুন