ও পাড়ার সুনীতি করে শুধু রাজনীতি,
নাম সুনীতি বটে, তবে ‘নীতি কি সুনীতি’?
বুঝি না রাজা নেই, তবু কেন রাজার নীতি?
কোথায় সে তোমার রাজা বলতো সুনীতি?
তুইতো বুঝিস না কিছুই, আরে ধুর বোকা!
‘রাজ করা’ মানে শাসন, গণতন্ত্র এক ধোঁকা।
যে নীতি রাখে দাবিয়ে, বেওকুফ জনতাকে-
বসে রাজ জাঁকিয়ে, রাজনীতি বলে তাকে।
লোভের বেসাতি মেলে, ভুলিয়ে ভালিয়ে!
মিছেমিছি মিষ্টি কথার শত ফিকির চালিয়ে।
কি বলিস! আমি জানি সব নাকি গণতন্ত্র?
জনগণ যাই বলে, তাই নাকি হয় সব মন্ত্র?
কি বলিস নতুন কথা! মাথা দেখি বড় শক্ত!
তোর সেই বক্তৃতা ‘বন্ধুরা, শেষবিন্দু রক্ত
দিয়ে করবো রা, সোনার বাংলার স্বাধীনতা’।
আজ সেটা কৌতুক! পেয়েছিস পরাধীনতা?
আদর্শের পরছায়া জমিয়েছে কঠিন প্রস্তর
তোর বুদ্ধিহীন মস্তিষ্ক তাই শুধু খায় টক্কর!
বাউন্সিং বল যেমন প্রতিপদে জীবন চক্করে।
এ প্যাঁচাল কিছুতে ঢুকবে না আমার মাথাতে।
সব জানি, তাই আমি প্রস্তর আজ। চাস ভোট!
জানি, তোর চক্কর বক্কর! পাবি না, চল ফোট!
এসেছিস পাঁচ বছর পরে, তোর নেই নীতি!
কোন আক্কেলে কে রেখেছে নাম তোর সুনীতি?