১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০২:০৫:১৯ অপরাহ্ন


মতবিনিময় সভায় নিপুণ রায় চৌধুরী
হাসিনার পতন নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরে যাবো
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৫-২০২৩
হাসিনার পতন নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরে যাবো স্টেট বিএনপির সভায় বক্তব্য রাখছেন নিপুণ রায় চৌধুরী


আগামীতে শহিদি মৃত্যুর মাধ্যমে হলেও ঢাকার রাজপথ বিএনপির দখলে থাকবে। ভোট চোর, ভোট ডাকাত, মাফিয়াতন্ত্রের পতন করতে হলে আমাদের শপথ নিতে হবে। ঢাকার রাজপথ দখল করে হাসিনার মৃত্যু নিশ্চিত করেই আমরা ঘরে ফিরে যাবো। গত ১৮ মে সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ঢাকার সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী এসব কথা বলেন।

নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির আহ্বায়ক মাওলানা অলিউল্যাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব সাঈদুর রহমান সাঈদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নিপুন রায় চৌধুরী, গেস্ট অব অর্নার ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম দুলাল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এমদাদুল হক কামাল, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর এম আলম, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বৃহত্তর কুমিল্লা জাতীয়তাবাদী ফোরামের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান দুলাল, নিউইয়র্ক মহানগর উত্তরের যুগ্ম-আহ্বায়ক এ জি এম জাহাঙ্গীর, স্টেটের যুগ্ম-আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, নাসিম আহমেদ, দেওয়ান কাওসার, বদরুল হক আজাদ, যুগ্ম সদস্য সচিব রিয়াজ মাহমুদ, অন্যতম সদস্য ভিপি জসীম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর রহমান আনোয়ার, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, আশরাফ হোসেন, আনিসুর রহমান, আলমগীর হোসেন, তাজুল ইসলাম, মোস্তাক আহমেদ, সালাবত জং, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, আবুল কালাম, আরিফ হোসেন, জাফর তালুকদার, লং আইল্যান্ড বিএনপির সভাপতি মিয়া আলম পাখি প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নিপুণ রায় চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা হচ্ছেন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী, ভোট চোর প্রধানমন্ত্রী, ভোট ডাকাত প্রধানমন্ত্রী, এই সরকার হচ্ছে অবৈধ সরকার। তিনি বাংলাদেশে বাকশাল কয়েম করেছেন। এটা এখন দেশে এবং বিদেশে সবাই জানে। তিনি বলেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন। আর আওয়ামী লীগের নেতারা পাকিস্তানিদের সঙ্গে সমঝোতা করে কেউ পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন, আবার অনেকেই ভারতে পালিয়ে গিয়েছিলেন। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, তিনি বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। অন্যদিকে গণতন্ত্রের মা, আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। দীর্ঘ ৯ বছর তিনি স্বৈরাচার এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেন। অন্যদিকে শেখ হাসিনা এরশাদের সঙ্গে সমঝোতা করে ’৮৬ সালে নির্বাচনে গিয়ে জাতীয় বেইমানে পরিণত হয়েছিলেন। ১/১১-এর অবৈধ সরকারে সঙ্গে সমঝোতায় এসে এখন বাংলাদেশে মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন। তার ভয় আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। তাকে দেশান্তরী করেছেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা একজন মিথ্যাবাদী। ২০১৪ সালে নির্বাচনে বলেছিল এটা নিয়মরক্ষার নির্বাচন। কিন্তু জাতির সঙ্গে মিথ্যা বলে তিনি ক্ষমতা দখল করেন। ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে ডাকাতি করে ক্ষমতা দখল করেছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর জাতীয় বেইমান এবং মিথ্যাবাদীকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তার অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, আমাদের শপথ নিতে হবে। প্রয়োজনে শহিদি মৃত্যুর মাধ্যমে রাজপধ দখল করতে হবে। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি আগামীতে রাজপথ থাকবে বিএনপির দখলে, প্রয়োজনে জীবন দেবো, তারপরও রাজপথ ছাড়বো না। সোজাকথা শেখ হাসিনার পতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে আমরা জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। আর সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রী হবেন বেগম খালেদা জিয়া আর আমাদের নেতৃত্ব দেবেন ভবিষ্যতের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান। তিনি বলেন, আপনারা ওয়াশিংটন এবং বিশ্বব্যাংকের সামনে যেভাবে প্রতিবাদ করেছেন, তা আমাদের উৎসাহ জুগিয়েছেন। আপনাদের আন্দোলন এবং বিবিসির সাক্ষাৎকারের পর তিনি আবোল-তাবোল বলা শুরু করেছেন। তিনি অতি সম্প্রতি কয়েকটি দেশ সফর করে কূন্য হাতে ফিরে গেছেন, বুঝে গেছেন তার পায়ের নিচে মাটি নেই। যে কারণে প্রলাপ বকা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে আমাদের বাংলাদেশ, জনগণের বাংলাদেশ, খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ এবং তারেক রহমানের বাংলাদেশ।

গিয়াস আহমেদ বলেন, ১/১১ এবং এরশাদবিরোধী আন্দোলনে আমরা সক্রিয় ছিলাম, জাতিসংঘের সামনে, হোয়াইট হাউসের সামনে, স্টেট ডিপার্টমেন্টের সামনে আমরা সমাবেশ করেছি। শেখ হাসিনার পতনেও আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করবো। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র হত্যাকারী, ব্যাংক লুটকারী, হত্যা এবং গুমের এই সরকারের পতন নিশ্চিত করেই আমরা ঘরে ফিরবো। তিনি বলেন, আপনারা ঢাকা রাজপথ অচল করেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।

সভাপতি অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নিপুন রায়কে বেশ কয়েকটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল অভিনন্দন জানানো হয়।

শেয়ার করুন