২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ১০:০২:৩০ অপরাহ্ন


জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে মির্জা ফখরুল
‘নতুন শপথ নিয়েছি হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব’
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৫-২০২৩
‘নতুন শপথ নিয়েছি হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব’ শেরে বাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন/ছবি সংগৃহীত


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে বলে জানালেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার রাজধানী শেরে বাংলা নগরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি ওই কথা জানান।

আজ  মঙ্গলবার ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎবার্ষিকী । এ উপলক্ষে তার মাজারে ফুলের শ্রদ্ধা দিতে ও দোয়া করতে আসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ একদলীয় শাসনের দিকে যাত্রা করছে। যখন দেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে। যারা জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদেরকে পরাজিত করার জন্য, সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য, নির্বাচন নির্দলের নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। আজকের এই সময়ে আমরা আমাদের মহান নেতার শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করছি। আমাদের সমগ্র জাতির কাছে তা প্রাসঙ্গিক।’

ফখরুল বলেন, ‘এই মহান নেতা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে জাতিকে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময় যখন দেশ রাজনৈতিক ব্যর্থতায় চলছিল তখন এই মহান মুক্তিযোদ্ধা দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নেয়ার জন্য ত্রাণকর্তা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছিলেন। জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। সিপাহী বিপ্লবের মাধ্যমে দায়িত্ব পাওয়ার তিনি পুরো বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আজ গণতন্ত্রের নেত্রী খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দী করে রেখেছে এই সরকার। তার সন্তান তারেক রহমান আজ প্রবাসে নির্বাসিত, জীবনযাপন করছেন। ৩৫ লাখ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে দমন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সময়ে আমাদের এই নেতার শাহাদত বার্ষিকী নতুন করে প্রেরণা যোগাবে। নতুন করে শপথ নিয়েছি হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করব। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার শপথ নিয়েছে বিএনপি।’ 

সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র নির্মাণে একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। আমরা এই শপথ এখান থেকে নিয়েছি বলে জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মামলাগুলোর রায়ে বুঝা যায় সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, আমাদেরকে দমন করতে চায়। তারা আমাদেরকে নানাভাবে আমাদের আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে চায়। এ আন্দোলনে এক দিনের না, দীর্ঘ ১২ বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছি।’

এ মামলার রায়ের তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এটা একটা ফরমায়েশি রায়। এ ধরনের রায় দিয়ে কোনো আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না। জনগণ তাদের অধিকার অবশ্যই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আদায় করবে। আগামী নির্বাচনে একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। এই অবস্থান থেকে এক মুহূর্তের জন্য আমরা সরে দাঁড়াবো না।’

মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান উমর বীর উত্তম, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ফজলুল হক মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খানসহ দলটির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন