২৮ মার্চ ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৫:৩৮:৫৪ অপরাহ্ন


কমিউনিটির পরিচিত মুখ জহির মিয়ার দাফন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৩
কমিউনিটির পরিচিত মুখ জহির মিয়ার দাফন জহির মিয়ার দাফনের সময় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ


কমিউনিটির অত্যন্ত পরিচিত মুখ, মৌলভীবাজারের কৃতী সন্তান অবসরপ্রাপ্ত কারেকশন কর্মকর্তা, একজন নিভৃত সমাজসেবক, দানশীল ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষানুরাগী মোহাম্মদ জহির মিয়া ১৮ মে লং আইল্যান্ডের নিজ বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে ল্যাডার (মই) থেকে পড়ে  মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হন। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে লং আইল্যান্ডের স্টনিব্রুক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মাথায় অস্ত্র পচার করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। দুই সপ্তাহ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গত ১ জুন বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সময় ভোর রাত ২টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহে... রাজেউন)। মরহুমের নামাজে জানাজা গত ২ জুন বাদ জুমা লং আইল্যান্ডস্থ মাউন্ট সিনাই ইসলামিক সেন্টারের পার্কিং লটে বিপুল সংখ্যক মুসল্লিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়। মরহুমের নিজ জেলা মৌলভীবাজার শহরের বিশিষ্টজনরা ছাড়াও বৃহত্তর সিলেট জেলার নানা প্রান্তের অভিবাসীরা যোগ দেন। দীর্ঘদিন লং আইল্যান্ডের মাউন্ট সিনাই শহরে বসবাসকারী মোহাম্মদ জহির মিয়া জানাজার নামাজে নানা দেশের এবং নানান ভাষাভাষীর অভিবাসীরা ব্যথিত চিত্তে যোগ দিন ও মরহুমের মাগফিরাত কামনা করেন। নিজের তিন পুত্র সন্তানের উপস্থিতিতে জানাজার নামাজ সম্পন্ন করে লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল গ্রেভইয়ার্ডে স্মরণকালের বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশিসহ ভিন্ন ভাষাভাষী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দাফন কার্যসমাধা হয়। দাফন পরবর্তী দোয়ায় উপস্থিত সব মুসল্লি মরহুমের জন্য আন্তরিরকতার সঙ্গে দোয়া করেন। মৃত্যুকালে মরহুম মোহাম্মদ জহির মিয়া স্ত্রী, তিন পুত্রসহ ১৫ জন ভাই ও ৮ বোন রেখে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তার মৃত্যুতে পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে।

শেয়ার করুন