ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। যা কিছু ঘটতে পারে। শ্রীলঙ্কা সম্ভবত সে অনিশ্চয়তার চেয়েও একধাপ এগিয়ে কিছু একটা করে ফেললো! নিজ মাঠে এভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার মত শ্রীলঙ্কা নয়। বিশেষ করে ক্রিকেট বিশ্বের পরাশক্তি পাকিস্তানের বিপক্ষে যেভাবে ক্যালকুলেটর টিপে ম্যাচ অনুকুলে নিয়েছিল, সে দলটি ফাইনালের ওজনটা সহ্য করতে পারবে না এটা হয় না। ভারত শক্তিশালী। কিন্তু এ ভারত তাদের আগের ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে হেরে মনবল কিছুটা হলেও দুর্বলতা নিয়ে মাঠে নেমেছে। শ্রীলঙ্কা বরাবর ব্যালেন্ডস। নিজ মাঠে তারা আরো দুর্দান্ত। সে দলটিই ব্যাট হাতে ৫০ রানে অলআউট। খেলা যারা দেখেনি, তারা এমন কথায় বিস্ময়ের ঘোর কাটাতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবতা সেটাই। ভারত এ রান করতে কোনো উইকেট খরচা না করেই জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ২০২৩ সনের এশিয়া কাপ।
তবে এমন ফাইনাল কেউই চান না। না আয়োজক। না অংশ নেয়া দুই দলও। এতটা অসম। এতটা স্বল্প সময়ের ম্যাচ। এতটা অতৃপ্ত হবে একটা ফাইনাল এটা কল্পনাতীত।
প্রেমাদাসায় শিরোপা নির্ধারনি এ ম্যাচে টেনশন মুক্ত হতেই টসে জিতে প্রথম ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু ভারতের মোহাম্মাদ সিরাজের দুর্দান্ত ফাস্ট বলে উড়ে যায় তাদের স্বপ্ন মুহুর্তে। প্রথম ওভারেই কুশল পেরেরাকে আউট করার পর ৮ রানের মাথায় নেই শ্রীলঙ্কার চার উইকেট। আশা তখনও। কারন ওয়ানডেতে এমন হয়। নতুন বলে, নতুন উইকেটে। কিন্তু কে জানতো এমন উইকেট পতন ধারা অব্যাহতই থাকবে। থামবে না। এক এক ৫০ রানে অলআউট শ্রীলঙ্কা। তখনও ম্যাচের মাত্র ১৫.২ ওভার। সিরাজ তার টানা ৭ ওভারে এক মেডেন ২১ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। পান্ডিয়া তিনটি আর বাকী উইকেট নেন বুমরাহ। শ্রীলঙ্কার দুইজন ব্যাটসম্যান টেলিফোন নাম্বার এড়াতে পেরেছেন। কুশাল মেন্ডিস ১৭ ও হেমন্ত ১৩।
এরপর খেলতে নেমে ভারতের দুই ওপেনার ইশান কিষান ও গিল মিলে ৬. ১ ওভারেই পৌছে যান জয়ের ঠিকানায়। ভারত জিতে যায় এশিয়া কাপ ২০১৩ এর শিরোপা ১০ উইকেটের বিশাল ব্যাবধানে। ভারতের এটি এশিয়া কাপের অষ্টম শিরোপা।