১২ এপ্রিল ২০১২, বুধবার, ০৮:১৯:৩৯ পূর্বাহ্ন


গণঅধিকার পরিষদ এর বিক্ষোভ সমাবেশ
অর্থনীতিকে ফরমালিনে বেঁচে আছে- ড. রেজা কিবরিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৫-২০২২
অর্থনীতিকে ফরমালিনে বেঁচে আছে- ড. রেজা কিবরিয়া সারা দেশে বিরোধী ও ভিন্নমতের মানুষের উপর বর্তমান সরকারের দমন-পীড়ন, হামলা- মামলা, হয়রানি-হুমকির প্রতিবাদ ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ এর বিক্ষোভ সমাবেশ/নিজস্ব ছবি


গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড.রেজা কিবরিয়া বলেছেন, দেশের অর্থনীতি ফরমালিন অর্থনীতি হয়ে গেছে। সরকার ফরমালিন দিয়ে অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। আমি ভবিষ্যৎবাণী করে দিলাম। এই সরকার যেভাবে টাকা পাচার করেছে, অল্প সময়ের মধ্যে দেশকে শ্রীলঙ্কার মতো পরিনতি ভোগ করতে হবে।

সারা দেশে বিরোধী ও ভিন্নমতের মানুষের উপর বর্তমান সরকারের দমন-পীড়ন, হামলা- মামলা, হয়রানি-হুমকির প্রতিবাদ ও গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের দাবিতে  গণঅধিকার পরিষদ এর বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। 

ড.রেজা কিবরিয়া আরো বলেন, দেশের অর্থনীতি যখন ভেঙে পড়বে, মন্ত্রী-এমপিরা বউ-বাচ্চা নিয়ে বিদেশে চলে যাবে। তারা সেখানে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। তাই সেখানে চলে যাবে। আপনারা অল্প সময়ের মধ্যে জানতে পারবেন, পত্র-পত্রিকায় আসবে- তাদের স্বজনরা কি পরিমাণ টাকা পাচার করেছে। অনেকে সেগুলো নিয়ে ধরা পড়েছে। এই সব টাকা ফেরত আনা হবে।

গণঅধিকার পরিষদ এর সদস্যসচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর বলেন,জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে এই সরকার পালানোর পথ পাবে না। ক্ষমতা পরিবর্তন হলে এই সকারের নেতারা বিদেশে পালিয়ে যাবে,তার জন্য তারা বিমানের অগ্রিম টিকিটও কেটে রেখেছে। নুর আরও বলেন,২৪ সাল লাগবে না ২৩ সালেই ক্ষমতার পরিবর্তন হবে।সরকারের এতো দমন পীড়নের পরও ভিন্নমতের যারা মাঠে আছেন তাদের আমরা সাধুবাদ জানাই। সরকারি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে নুর বলেন আপনারা হয়তো নেশায় বুদ হয়ে আছেন,আপনাদের বলবো আশেপাশে একটু খোঁজখবর রাখবেন। নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে দেখেছেন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা কিভাবে প্রশাসনের লোকদের কে উচিত শিক্ষা দিয়েছে,সেটা মনে রাখবেন আপনারা। শেখ হাসিনা অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থাকতে চট্টগ্রামের বন্দর ভারতকে দিয়ে দিতে চায়, একই ভাবে রাশিয়াকেও খুশি রাখতে চায় এই হাসিনা সরকার।


গণঅধিকার পরিষদ যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন,এই সরকার মানুষকে বন্দুকের নল দেখিয়ে চুপ রাখতে চায়, কিন্তু তার যে পায়ের নীচে মাটি নেই, ক্ষমতায় থাকার মত জনভিত্তি নেই, সেটি ভুলে গেছে। ফাসিস্ট সরকার শেষের দিকে এভাবেই মরণকামড় দেয়। নির্যাতন নিপীড়নের মাত্রা যতো বাড়বে, ক্ষমতার মসনদ ততো নড়বড়ে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে এই সরকারের পতনের আন্দোলন শীঘ্রই শুরু করবে গণঅধিকার পরিষদ।

গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন,এই সরকারের আমলে যত গুলো গুম খুন হয়েছে সব গুলোর বিচার একদিন বাংলাদেশের মাটিতে হবে। সরকার ২০২৩ সালের নির্বাচন নিয়ে ১৪ কিংবা ১৮ সালের মতো ছক আঁকছে।গণঅধিকার পরিষদ সরকারের সেই চক বাস্তবায়ন করতে দিবে না।

গণঅধিকার পরিষদ এর কার্যালয়ের নিচ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে পল্টন, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট ঘুরে পল্টন মোড়ে সমাবেশ হয়,সমাবেশে   যুগ্ম সদস্যসচিব মুহাম্মদ আতাউল্লাহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান,মাহফুজুর রহমান,সোহরাব হোসেন,কর্ণেল মিয়া মশিউজ্জামান, যুগ্ম সদস্যসচিব তারেক রহমান,ফাতেমা তাসনিম,সহকারি আহ্বায়ক এড.এরশাদ সিদ্দিকী। বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ এর সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এর সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। 


শেয়ার করুন