২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ১১:৩২:১৯ পূর্বাহ্ন


নির্বাচন ইস্যুতে একাট্টা রাষ্ট্রদূতরা
মাসউদুর রহমান
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৭-২০২২
নির্বাচন ইস্যুতে একাট্টা রাষ্ট্রদূতরা বৈঠক শেষে প্রতিনিধি দলের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথাল চুয়ারড/ফাইল ছবি


পদ্মা সেতু যান চলাচলের উন্মুক্ত হওয়ার আনন্দে বিভোর বাংলাদেশ। মানুষ ব্যাস্ত এর সুফল নিয়ে। রাজনৈতিক সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব নিয়েও কম ব্যস্ততা নয়। এককথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় নিজস্ব অর্থায়নে এতো বড় সাফল্যে ১৭ কোটি মানুষ তৃপ্ত। ‘আমরাও পারি’। এ আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান দেশ। কোনো কিছু করতে হলে বিদেশের সাহায্য লাগবেই, সে মনমানসিকতা থেকে সরে আসতে সহায়তা করেছে পদ্মা সেতু। বাংলাদেশের এ সফলতায় বিদেশিরাও বিস্মিত। তারাও বলছে, বাংলাদেশ চাইলে অনেককিছুই পারে। এবার সে ‘পারা’টা জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও হোক- সে প্রত্যাশা এখন দাতা দেশসমূহ বা বাংলাদেশের ভাষায় উন্নয়ন সহযোগী দেশসমূহের। 

পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ডামাডোলের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়ে গেছে। এখনো দেড় বছরের ওপর বাকি। কিন্তু এখন থেকেই তাড়া দিয়ে যাচ্ছেন তারা। এর মূল কারণ বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সনের জাতীয় নির্বাচন। যাতে ছিলনা সব দলের অংশগ্রহণ। ওই দুই নির্বাচনের স্টাইলটা ভালো লাগেনি পশ্চিমা বা উন্নয়ন সহযোগীদের। এতোদিন তারা দেখেছে। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণে বিশেষ করে প্রত্যাশা ছিল ২০১৪ সনের পর ২০১৮ সনের নির্বাচনটা অন্তত সবার অংশগ্রহণে হবে। কিন্তু সেটা সরকার বিরোধীদের ভাষায় ‘দিনের ভোট রাতে হয়ে যাওয়া’ এ বিষয়টা খুব চিন্তিত করে ফেলেছে উন্নয়ন সহযোগীদের।

ফলে নতুন হাবিবুল আউয়াল কমিশন যাতে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষম হন, সে জন্য তার ওপর একের পর এক চাপ তৈরি করা হচ্ছে। আগামী বছরের শেষ নাগাদ অথবা ২০২৩ এর একেবারে সূচনায় অনুষ্ঠেয় ওই নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ করা নিয়ে ইতিমধ্যে অনিশ্চিয়তা তৈরি হয়ে গেছে। কারণ দেশের অণ্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের জোট পরিষ্কার ভাষায় বলে দিয়েছে- দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।

কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দেশের ওই বৃহৎ রাজনৈতিক দল অংশ নেবেনা। এটাই এখন মাথা ব্যাথার কারণ। নির্বাচন কমিশনের ওপর দুটি চাপ এখন স্পষ্ট। একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি, যেটা বিএনপি ও তাদের মিত্রদের। অন্যটি সব দলের অংশগ্রহণে দেশের মানুষ যেন ভোট দিয়ে তাদের নেতা বেছে নিতে পারেন সে নিশ্চয়তা নিয়ে কাজ করা। নির্বাচন কমিশন এখন এমন প্রেশারে চ্যাপ্টা হবার উপক্রম। 

বিএনপি ও তাদের মিত্ররা বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে পাত্তাই দিচ্ছেনা। তাদের আহ্বান,ডাক আমন্ত্রণ কিছুই বিএনপি ও মিত্রদের কর্ত স্পর্শ করছে না। তাহলে কীভাবে সম্ভব সবাই নিয়ে নির্বাচন আয়োজনের। তাদের দাবিতে এ নির্বাচন কমিশনই তারা মানছে না। অপরদিকে উন্নয়ন সহযোগীরা বলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতেই হবে। তাহলে কোনদিকে যাবে নির্বাচন কমিশন?

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে বারবার বলা হচ্ছে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে আসবে। না হয় তাদের অস্থিত্ব বিলীন হয়ে যাবে। এটা তাদের কৌশলী বক্তব্য। গত ৩০ জুন সংসদে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য হয়। সেখানে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেছেন, বিএনপিকে কীভাবে নির্বাচনে আনবে, সেটা সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অবশ্যই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার আনতে হবে।

হারুনুর রশীদের ওই বক্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে উচ্চ আদালতের রায়ের এক সুতাও বাইরে যাবে না সরকার।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘বিএনপি কী পাকিস্তানে থাকে যে সেখান থেকে ডেকে আনতে হবে?’ আইনমন্ত্রীর বক্তব্য স্পষ্ট। তারা বর্তমান ধারায়ই দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে। সেটা ২০১৪ বা ২০১৮ স্টাইল যা-ই হোক না কেন। সরকারের অবস্থান আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট।  

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ আরো বলেন, ‘আওয়ামী লীগ একসময় বলেছিল, আওয়ামী লীগকে ছাড়া নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। এখন বিএনপিকে ছাড়া কি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে? পারবেন না।’  

সরকারের সদিচ্ছা না থাকলে কোনোভাবেই নির্বচান সুষ্ঠু হবে না মন্তব্য করে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, ‘গত ১০ বছরে নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের অনাস্থা তৈরি হয়েছে। এখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন করে না। নির্বাচন করে প্রশাসন।’ বিএনপির সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেন, যখন দেশে নির্বাচন থাকে, তখন নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন আসে।যদি নির্বাচন না থাকে, দিনের ভোট রাতে হয়, তখন নির্বাচন কমিশন দিয়ে কী হবে?

নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খানের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করে রুমিন বলেন, ‘গোপন বুথে ডাকাত বড় চ্যালেঞ্জ। এই ডাকাত শুধু দলীয় ডাকাত নয়, পুলিশ প্রশাসনও এই ডাকাতি করে। এই ডাকাতির পর যেভাবে পুরস্কৃত করা হয়, ভবিষ্যতে ডাকাত আরো বাড়বে।’ তিনি আরো বলেন,‘যখন দেশে নির্বাচন থাকে, তখন নির্বাচন কমিশনের প্রশ্ন আসে। যদি নির্বাচন না থাকে, দিনের ভোট রাতে হয়, তখন নির্বাচন কমিশন দিয়ে কী হবে?রুমিন সংসদে বলেন, ‘সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীনকে পুরষ্কার হিসেবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়। অবসরে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে তিনি ইউরোপ সফরে যান। সে সফরের অভিজ্ঞতা তিনি অবসর জীবনে কাজে লাগাবেন। এভাবে পুরস্কৃত করতে থাকলে বিনা ভোটে সংসদ গঠন চলতেই থাকবে।’

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রুমিন বলেন, ‘সেখানে একজন সংসদ সদস্যকে নির্বাচন কমিশন সামাল দিতে পারেনি। তার হুমকি-ধমকি সহ্য করতে পারেনি। বারবার অনুরোধ করে তাঁকে এলাকা থেকে সরাতে পারেনি। যে কমিশন একজন সংসদ সদস্যকে সামলাতে পারে না, তারা জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ সংসদ সদস্যকে কীভাবে সামলাবেন। এই কমিশনের অধীনে ভোট কোনোভাবেই সুষ্ঠু হবে না।’ 

এদিকে পদ্মা সেতু উন্মুক্ত করে দেয়ার পরপরই গত ২৬ জুন প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত। ওই বৈঠক শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় গণ্ডগোলের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার।সিইসি বলেন, বাংলাদেশে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় অস্ট্রেলিয়া। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় গোলযোগের বিষয়ে হাইকমিশনার জানতে চেয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। তার সঙ্গে দুই দেশের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বিনিময় হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ভোটিং সিস্টেম নিয়ে কথা হয়েছে।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, তার সঙ্গে বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে। জেরেমি ব্রুয়ার বলছেন, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। তিনি আগামী নির্বাচনের সময় বাংলাদেশে থাকবেন। 

এর আগে ৮ জুন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের হাইকমিশনার পিটার হাস এক সৌজন্য সাক্ষাতে যান প্রধান নির্বাচন কমিশনে। সেখানে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করেন এবং পরে সাংবাদিকদের বলেন, আমি আগে যা বলেছি আবারো সেটাই বলবো যে, নির্বাচনে (দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন) কে জিতলো সেটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ভাবে না। আমরা কেবল এমন একটি নির্বাচন চাই, যেখানে বাংলাদেশের জনগণ তাদের নেতা বেছে নিতে পারে।

সর্বশেষ একই প্রক্রিয়ায় এক সৌজন্য সাক্ষাতে গিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাইকমিশনের নেতৃত্বে ওইসিডিভুক্ত ১৪টি দেশের কূটনৈতিকরা। তারাও দেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। গত ৩ জুলাই অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ওইসিডি) বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক সংসদ নির্বাচন দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন ওই দলটির প্রতিনিধি হিসেবে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড। 

নাথালি বলেন,নাগরিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে, দেশের গণতন্ত্র আরো কার্যকর ও শক্তিশালী করতে, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে গণমাধ্যম ও সুশীলসমাজের কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিতে সহায়ক অবস্থা তৈরি করতে এবং সব অংশীজনের যথাযথ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমাদের দেশগুলো নির্বাচন কমিশনকে যেকোনো প্রকার সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। নাথালি চুয়ার্ড বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাকে আরও শানিত করার মধ্যদিয়ে নাগরিকদের আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে সহায়তা করতে চায় ওইসিডির সদস্য দেশগুলো। জানা গেছে, বৈঠকে ওসিডির ১৫ সদস্যের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও ছিলেন ১৪ জন।

প্রতিনিধিদলে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস, কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতউ ইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, ফ্রান্সের সহকারী রাষ্ট্রদূত গুইলাম অড্রেন ডি কেরড্রেল, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আছিম ট্রস্টার, ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াটা, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন, স্পেনের রাষ্ট্রদূত ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিটেজ সালাস, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি চুয়ার্ড, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তোরান এবং জাপানের ডেপুটি হেড অব মিশন ইয়ামায়া হিরোউকি।

এছাড়াও বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.), বেগম রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর, ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

ফলে নির্বাচন কমিশনের উপর প্রচণ্ড প্রেশার, যেটাকে পাহাড়সম ওজনের সঙ্গে তুলনা করলেও বেশি হয়ে যাবে না।

এ থেকে উত্তরণের কী উপায় তা অজানা। কারণ নির্বাচন কমিশনকে বলেই বা লাভ কী। তিনি কী গ্যারান্টি দেবেন। সে গ্যারান্টিই বা বিএনপি ও তার মিত্ররা কেন মানতে যাবে। মূলত নির্বাচন কমিশন কাগজে কলমে সম্পূর্ণ স্বাধীন! আসলেই কী। ক্ষমতাসীন দলের ইশারা ঈঙিত ছাড়া তার সাধ্য কী। তাছাড়া সরকার বিরোধীদের দাবি তো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে নয়। ফলে যত চাপ সেটা সবই আওয়ামী লীগ সরকারের উপরেই। যা স্পষ্ট আরেকবার প্রমাণ ৩০ জুন সংসদে আইনমন্ত্রীর বক্তব্যে। ফলে সমস্যা তো ওইখানেই। সেটা ম্যানেজ করতে হলে নির্বাচন কমিশনকে তো অনেকগুলো প্রসেসের মধ্যে হাঁটতে হবে। কিন্তু সেগুলোতে সহায়তা দানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার জিরো টলারেন্সে এখনও। 

যদিও উন্নয়ন সহযোগীদের এমন চাপ একটা প্রক্রিয়া মাত্র। এটা চলবে। তারা এর সুফলও দেখতে চাইবে। এভাবেই একটা সুস্পষ্ট রেজাল্টের দিকে হয়তো এগুবে পরিস্থিতি। তবে সেটা কখন কীভাবে? বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে? সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিএনপি ও তার মিত্রদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের মিলতে হবে। সমঝোতায় আসতে হবে। কিন্তু দুপক্ষের যে আচরন বা অবস্থান সেটা দুই মেরুতে। সেটা থেকে এক টেবিলে নিয়ে এসে সমঝোতা করবেন কে?


শেয়ার করুন