ক্রেতাকে মারধরের অভিযোগে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অবরুদ্ধ


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 17-09-2025

ক্রেতাকে মারধরের অভিযোগে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান অবরুদ্ধ

বাফেলোর ইস্ট সাইড মার্কেটে কর্মচারী ও ক্রেতার মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে স্থানীয় কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটি। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে বাফেলোর ইস্ট সাইডে একটি মার্কেটে কর্মচারী ও এক ক্রেতার মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি সহিংস ঘটনার পর গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে মার্কেটটির সামনে প্রতিবাদে অংশ নেন। অন্যদিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে বাফেলোর পল্লী সুপার মার্কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা তিনটি ক্যাশ রেজিস্ট্রার ও কিছু খাবার নিয়ে চলে যায়।

জানা যায়, প্রথম ঘটনাটি ঘটে গ্যাস স্টেশন ও কনভেনিয়েন্ট স্টোরে। এটির মালিক বাংলাদেশি। ঘটনার জেরে শহর কর্তৃপক্ষ মেন্ডেলা মার্কেটের (যা জেফারসন ও ব্রডওয়ে কর্নারে অবস্থিত) দরজায় সব কার্যক্রম বন্ধ নির্দেশনার পোস্টার ঝুলিয়ে দিয়েছে। মার্কেটের বাইরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা ও ন্যায়বিচার দাবি করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার রাতে মার্কেটে এক তরুণী গ্রাহকের সঙ্গে বেশ কয়েকজন কর্মচারী জড়িয়ে পড়েন একটি সহিংস ঘটনায়। এ নিয়ে কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট নেট বয়েড বলেন, প্রায় ১২৫ পাউন্ড ওজনের এক তরুণী কৃষ্ণাঙ্গ নারীকে লাঠি দিয়ে মারধর করা হচ্ছিল, যখন চার-পাঁচজন পুরুষ তার হাত ধরে রেখেছিল।’

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জেলিন ওয়াটসন জানান, ‘পুরো দোকানে মোট সাত থেকে ১০ জন পুরুষ তাকে আক্রমণ করছিল। আমি নিজে তিনজনকে থামিয়েছি।’

বাফেলো পুলিশ জানিয়েছে, তারা রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি ‘ট্রেসপাসিং’ কলের (অনধিকার প্রবেশ) জবাবে ঘটনাস্থলে যায়। তবে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক পুলিশ রিপোর্ট দায়ের হয়নি, যদিও গোয়েন্দারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঘটনার পরদিন স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা মার্কেটের সামনে প্রতিবাদে অংশ নেন এবং ভুক্তভোগী নারীর প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন।

জেলিন ওয়াটসন বলেন, ‘আমি চুপ থাকতে পারিনি, যা ঘটেছে তা অন্যায়। আমি মুখ ফিরিয়ে নিতে পারিনি, তাই হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয়েছি।’ স্টপ দ্য ভায়োলেশন কোলিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক মারে হলম্যান বলেন, ‘আমাদের সম্প্রদায়ের নারীদের প্রতি কিছু মানুষ অসম্মান দেখিয়েছে। আমরা তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করব না।”

বাফেলো সিটি কাউন্সিলের সদস্য লিয়া হালটন-পোপ বলেন, ‘আমরা এখনো সব তথ্য জানি না। কিন্তু যদি কেউ আমাদের কমিউনিটিতে একটি অনিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে, তবে তা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। সবাইকে নিরাপদভাবে দোকানে আসার সুযোগ থাকা উচিত’।

কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট টিনিকোয়া সিমন্স বলেন, ‘এ ধরনের দোকানগুলোর অবস্থা ও আমাদের কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটিতে কী ঘটছে, সে বিষয়ে যথেষ্ট মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে না’।

পাস্টর টিম নিউকার্ক বলেন, ‘আমরা মানুষ, আমাদেরও মর্যাদা আছে। আমাদের কমিউনিটিতে যা ঘটে, তার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। আমাদের নিজস্ব কমিউনিটির প্রহরী হিসেবে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। আমরা বাফেলো শহরের সবচেয়ে অবহেলিত সম্প্রদায়’। অন্যদিকে গত ১৩ সেপ্টেম্বর সমঝোতা বৈঠকে বসেন কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। এখনো অচলাবস্থা চলছে। তবে সমঝোতার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)