‘বর্তমান আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি এক বহুমাত্রিক এবং জটিল সমীকরণের দ্বারপ্রান্তে এসে উপনীত হয়েছে। বিশ্ব রাজনীতির ক্ষমতাকেন্দ্রের গতিমুখ এবং ভারকেন্দ্রের পরিবর্তন, বিশ্ব পুঁজিবাদের অন্তর্নিহিত সংকট, পারমানবিক যুদ্ধের হুমকি, চলমান সামরিক সংঘাত, তথ্যপ্রযুক্তির অভাবনীয় অগ্রগতি এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সংকট গোটা বিশ্বকে এক বিরাট চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করিয়েছে। সিপিবি’র ত্রয়োদশ কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্টে এসব কথা বলা হয়।
সমাজ বদলের লক্ষ্যে শোষণ-বৈষম্যবিরোধী বাম গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা কর এই স্লোগানকে ধারণ করে সিপিবির কংগ্রেস গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে কংগ্রেসসের দ্বিতীয় দিনে কাউন্সিল অধিবেশন চলছে। আজ কংগ্রেসের বিভিন্ন অধিবেশন চলছে। কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্ট কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে উত্থাপন করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।
কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ৫৪ বছর পেরিয়ে গেছে। এ সময়কালে ১৯৯০ ও ২০২৪-এ অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হলেও দেশের মানুষের মুক্তি আসেনি। গণতন্ত্র ও ১৩ বৈষম্যমুক্তি এবং মানুষের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার বিপরীতমুখী অবস্থানে দেশ চলছে। দীর্ঘদিন ধরে দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতি আর মুক্তবাজারের নামে পুঁজিবাদী অর্থনীতির লুটপাটের ধারায় দেশ চলছে। এর মধ্য দিয়ে তৈরি হয়েছে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংকট। এ সংকট উত্তরণে প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সংগ্রামের মধ্যে মানুষের দিন পার হলেও মুক্তি আসেনি। রাষ্ট্রীয় ও সমাজজীবনে সংকট নানাভাবে তীব্র হয়ে উঠছে। মানুষের হতাশা বাড়ছে। শ্রমিক, ক্ষেতমজুর, কৃষক, মেহনতি খেটেখাওয়া মানুষ, নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্তের জীবন চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে। দিন দিন এই সংকট নানা মাত্রায় গভীর হয়ে উঠছে।
কেন্দ্রীয় কমিটির রিপোর্টে বলা হয়, ‘পুরো ব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন ছাড়া মুক্তি সম্ভব না এবং এজন্য প্রয়োজন বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির উত্থান। দেশ ও বিশ্ব পরিস্থিতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদী।