নিজ দলের কর্মীর গলাধাক্কা খেলেন খোকন


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 01-10-2025

নিজ দলের কর্মীর গলাধাক্কা খেলেন খোকন

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের ওপর ২২ সেপ্টেম্বর থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। কারণ আনোয়ার হোসেন খোকনের ভুল সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনায় জেএফকে এয়ারপোর্টে অপদস্ত হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে ডিম নিক্ষেপ করা হয়েছে এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের ওপর। অশ্লীল ভাষায় গালি দেওয়া হয়েছে এনসিপির জ্যেষ্ঠ সদস্য সচিব তাসনিম জারাকে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশে অংশগ্রহণ করতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফরসঙ্গী হিসেবে ওইদিন জেএফকে এয়ারপোর্টে অবতরণ করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্যরা। 

প্রধান উপদেষ্টা এবং তার সফরসঙ্গীদের কালো পতাকা দেখানোর কর্মসূচি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং বিএনপির অঙ্গসংগঠন প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির মহাসচিবকে স্বাগত জানাতে কর্মসূচি ঘোষণা করে। 

স্থানীয় পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে দুদলকেই ৮ নম্বর টার্মিনালে কর্মসূচি পালন করার জন্য স্থান নির্ধারিত করে দেয়া হয়। দুদলই যেখানে যার যার কর্মসূচি পালন করে। তবে আওয়ামী লীগের কিছু নেতা পরিকল্পনা করে আগেই থেকেই এয়ারপোর্টের ভেতরে অবস্থান করছিল। অন্যদিকে আনোয়ার হোসেন খোকনের কারণে বিএনপির নেতাকর্মীরা ৮ নম্বর টার্মিনাল থেকেই চলে আসে। বিএনপির নেতাকর্মীদের অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আনোয়ার হোসেন খোকন পরিকল্পনা করেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সুযোগ করে দিয়েছেন। ৮ নম্বর টার্মিনালে স্বাগত সমাবেশ করে যদি তারা এয়ারপোর্টে চলে যেতে তাহলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাহস হতো না মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে হেনস্তা করার। আখতারের ওপর ডিম নিক্ষেপ করা ও তাসনিম জারাকে গালি দেওয়ার। এক্ষেত্রে মিশনের কর্মকর্তাদেরও কারসাজি রয়েছে। তারা কেন বলেছেন, মির্জা ফখরুলসহ অন্যরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে চলে গিয়েছেন। আবার তাদের কথাকেই কেন বিশ্বাস করতে হবে। বিএনপির মহাসচিব আসছেন তার আইটিনারি অবশ্যই আনোয়ার হোসেন খোকনের জানা উচিত ছিল। আনোয়ার হোসেন খোকন এখন এতোই শক্তিশালী যে কেউ তার কথা বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। যে কারণে সবাই এয়ারপোর্টে না গিয়ে আনোয়ার হোসেন খোকনের নির্দেশ পালন করছিলেন। ওইদিনের পর থেকেই বিএনপির একটি অংশের নেতাকর্মীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা সুযোগ খুঝতে থাকে আনোয়ার হোসেন খোকনকে শিক্ষা দেওয়ার। তাদের সাফ কথা হচ্ছে, আমরা এতো নেতাকর্মী থাকতে কীভাবে আমাদের মহাসচিবকে অপদস্ত করা হলো। 

বিএনপির নেতাকর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ করার সুযোগও সৃষ্টি হলো। ২৬ সেপ্টেম্বর ছিল জাতিসংঘের সামনে আওয়ামী লীগের ছিল বিক্ষোভ সমাবেশ, অন্যদিকে বিএনপির ছিল স্বাগত সমাবেশ। সেই সমাবেশে অন্যান্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আনোয়ার হোসেন খোকনও গিয়েছিলেন। সমাবেশের এক পর্যায়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি অংশ সুযোগ খুঁজতে থাকে। যখনই তারা আনোয়ার হোসেন খোকনকে দেখতে পায়, তার ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তাকে গলাধাক্কা দেয়া হয়। এরই মধ্যে কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে, অন্যদিকে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। দেখা যায়, চরম উত্তেজনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আনোয়ার হোসেন খোকন অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে সম্মত হন। যদিও পুলিশ এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। হঠাৎ করে এভাবে অপদস্ত হবে এটা কোনভাবেই চিন্তা করতে পারেননি আনোয়ার হোসেন খোকন। তিনি মোটেও চিন্তা করেন না তার কারণেই যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির মতো একটি শক্তিশালী সংগঠনের কবর রচিত হয়েছে। তিনি যা করছেন তা সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্রবিরোধী। নিজের আখেরের কথা চিন্তা করেই তিনি কাজ করছেন। নিউইয়র্ক স্টেট, নিউইয়র্ক মহানাগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সম্মেলনে হয়েছে অনেক দিন হয়েছে। ভোটের মাধ্যমে সুপার নির্বাচন করা হয়েছে। কিন্তু এক বছরের ওপর হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেননি আনোয়ার হোসেন খোকন। তিনি যতবারই আমেরিকায় আসেন ততবারই সংগঠনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। এটার যবনিকাপাত হওয়া উচিত বলে অনেকেই মনে করেন। 


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)