বিপাকে ২০ মিলিয়ন আমেরিকান


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 05-11-2025

বিপাকে ২০ মিলিয়ন আমেরিকান

যুক্তরাষ্ট্রে ২০২৬ সালের জন্য জন্য ওবামাকেয়ার বা অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট (এসিএ)-এর আওতায় বীমা পরিকল্পনার দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ছে। ফেডারেল সরকারের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৬ সালে বীমার গড় প্রিমিয়াম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে বছরের শেষে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাচ্ছে সরকারি ভর্তুকি। এই ফেডারেল ভর্তুকি বাতিল হলে প্রায় ২০ মিলিয়ন আমেরিকানকে অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে হবে। ফেডারেল সরকারের ওয়েবসাইট হেলথকেয়ার ডট গভ-এ গত ২৮ অক্টোবর থেকে প্রকাশিত নতুন দামের তথ্য অনুযায়ী, ৩০টি ফেডারেল গভর্নমেন্ট পরিচালিত স্টেটে গড়ে ৩০ শতাংশ প্রিমিয়াম বৃদ্ধি হবে। অন্যদিকে নিজস্ব বাজার পরিচালনাকারী রাজ্যগুলোতে এ হার ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি হবে। বিশ্লেষক সংস্থা কাইজার ফ্যামিলি ফাউন্ডেশন (কেএফএফ) জানিয়েছে, এটি ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে বড় বৃদ্ধি।

এ প্রিমিয়াম বৃদ্ধির পাশাপাশি, ২০২১ সালে চালু হওয়া অতিরিক্ত ভর্তুকি ডিসেম্বরের শেষে হতে যাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসন তৎকালীন সময়ে এই ভর্তুকি চালু করেছিল, যাতে কম আয়ের মানুষ প্রায় বিনামূল্যে বীমা পান এবং মধ্যবিত্ত আমেরিকানরাও প্রথমবারের মতো সহায়তা পান। কিন্তু কংগ্রেসে এই ভর্তুকি নবায়ন নিয়ে কোনো সমঝোতা না হওয়ায় তা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। প্রায় এক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আংশিকভাবে বন্ধ অবস্থায় রয়েছে।

ডেমোক্র্যাটরা দাবি করছে, সরকারের তহবিল বিল পাস করার আগে ভর্তুকি নবায়নের নিশ্চয়তা দিতে হবে। কিন্তু রিপাবলিকান নেতৃত্ব বলেছে, সরকার চালু না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হবে না। কাইজারের হিসাব অনুযায়ী, ভর্তুকি বন্ধ হলে বীমা থাকা ২ কোটি ২০ লাখ মানুষের প্রিমিয়াম বাড়বে, আর বিমাহীন মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ২৯ মিলিয়ন। যুক্তরাষ্ট হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস দফতরের অধীনস্থ সংস্থা সেন্টার ফর মেডিকেয়ার অ্যান্ড মেডিকেইড সার্ভিসেস বলেছে, প্রিমিয়াম বাড়লেও বেশির ভাগ আমেরিকান ৫০ ডলার বা তার কম খরচে বীমা পরিকল্পনা পাবেন। তবে সেগুলোর ডিডাকটিবল অনেক বেশি থাকবে। সংস্থার প্রশাসক ড. মেহমেত ওজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটা নিঃসন্দেহে ব্যয়ের বৃদ্ধি, কিন্তু আসল সমস্যা ব্যয়ের নয়, বরং ওবামাকেয়ারের কাঠামোগত ত্রুটি। আইনটি ১৫ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। এখন সেটি নতুন বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছে না।

এ পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে সিনেট মেজরিটি লিডার চাকশুমার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটা আমেরিকার মধ্যবিত্তকে বাঁচিয়ে রাখার নীতি নয়; বরং তাদের ধীরে ধীরে আর্থিক শ্বাসরোধের পরিকল্পনা। তিনি অভিযোগ করেন, রিপাবলিকান নেতৃত্ব বীমা কোম্পানিগুলোর স্বার্থরক্ষা করছে এবং সাধারণ নাগরিকদের ওষুধ, পরীক্ষা, সন্তানদের নিয়মিত চিকিৎসাকে অপ্রাপ্য করে ফেলছে। শুমার আরো তীব্র ভাষায় বলেন, স্বাস্থ্যসেবাকে ধনীদের একচেটিয়া সুবিধায় পরিণত করা, মানে দরিদ্র ও শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া। এটি রাজনৈতিক শীতল নিষ্ঠুরতার অন্য নাম। রিপাবলিকানদের বাজেট কর্তনের পরিকল্পনাকে তিনি ‘বিধ্বংসী ওয়াল স্ট্রিট নীতি’ আখ্যা দিয়েছেন, যা লাখ লাখ মানুষের স্বাস্থ্যর অধিকারকে গলাটিপে হত্যা করবে।

অন্যদিকে জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষকরা বলছেন, যেসব নীতি জনগণের চিকিৎসা পাওয়া কঠিন করে তোলে, সেগুলো বাস্তবে হাসপাতালের ভিড়, মৃত্যু এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা ব্যয় আরো বাড়ায়। তবুও করপোরেট বীমা লবি যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে এমনভাবে প্রভাবিত করছে, যেন নাগরিকদের শরীর অজান্তেই লাভজনক বিনিয়োগ পণ্য হয়ে দাঁড়ায়। সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে জানাচ্ছেন, আমরা কর দিই, শ্রম দিই, কিন্তু অসুস্থ হলে আমেরিকার আইন বই পাশে দাঁড়ায় না দাঁড়িয়ে থাকে বীমার বিল। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে, অনেক পরিবার এখন নির্দিষ্ট ওষুধ বন্ধ করে দিচ্ছে এবং সামান্য লক্ষণেও চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার সাহস হারাচ্ছে। আর্থিক সন্ত্রাস-এই শব্দবন্ধটিই আজ প্রবলভাবে আলোচিত। চাকশুমার শেষ পর্যন্ত স্পষ্টভাবে বলেছেন, এই লড়াই শুধু স্বাস্থ্যবীমার বিল নিয়ে নয়; এটি আমেরিকার মর্যাদা রক্ষার সংগ্রাম। আইনপ্রণেতারা যদি নীরব থাকে, তবে সেই নীরবতা হবে জনগণের স্বাস্থ্য সমাধির স্তব্ধ প্রহরী। দেশের অভ্যন্তরে স্বাস্থ্যসেবা একটি নতুন রাজনৈতিক বারুদের পাহাড়ে পরিণত হয়েছে, যা ২০২৬ নির্বাচনের আগে বড় বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।

নিউইয়র্ক স্টেটে ২০২৬ সালে মাসিক প্রিমিয়াম বাড়বে কয়েকগুণ

যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যবীমার প্রিমিয়াম ২০২৬ সালে যে হারে বাড়তে চলেছে, তা শুধু দুর্ভাবনাই নয়; বরং মধ্যবিত্তের বিরুদ্ধে ঘোষিত অর্থনৈতিক যুদ্ধ বলে অভিহিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অনেক বীমা কোম্পানি এমন প্রিমিয়াম বৃদ্ধি প্রস্তাব করেছে, যার ফলে পরিবারগুলোকে মাসে আগের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি খরচ বহন করতে হবে। অথচ মুদ্রাস্ফীতি এবং স্থবির বেতনবৃদ্ধির যুগে এই নতুন আর্থিক বোঝা যুক্তরাষ্ট্রের কোটি মানুষের জন্য আশঙ্কাজনক এক দিশাহীনতা সৃষ্টি করেছে। ডিডাকটিবল এবং ওষুধের খরচও সমানতালে বাড়ায় মানুষ চিকিৎসা খরচ বহন করতে পারবে কি না, সে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়ছে। এটি এমন এক অবস্থা, যেখানে বীমা কোম্পানিগুলো লাভ বাড়ানোর অজুহাত হিসেবে পোস্ট-প্যানডেমিক অস্থিরতাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে, আর সরকারের কিছু প্রভাবশালী অংশ বিনিয়োগ লবি ও করপোরেট স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

নিউইয়র্ক স্টেটের পরিবারগুলোর জন্য আগামী বছর স্বাস্থ্যবিমার খরচ এক বিপুল আর্থিক চাপ হয়ে দাঁড়াতে যাচ্ছে। সর্বশেষ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৬ সালে স্বাস্থ্যবিমার মাসিক প্রিমিয়াম ২০২৫ সালের তুলনায় কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেতে চলেছে। এই বৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলবে মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর ওপর, যাদের বার্ষিক গড় আয় প্রায় ৮৫ হাজার ডলার। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, উত্তরাঞ্চলের প্ল্যাটসবার্গে (প্ল্যাটসবার্গ নর্থ কান্ট্রি) যেখানে চলতি বছরে স্বাস্থ্যবীমার মাসিক প্রিমিয়াম ছিল মাত্র ১২৪ দশমিক ৪৪ ডলার, সেখানে ২০২৬ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ১ হাজার ৫১৫ দশমিক ৯৮ ডলার অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ১২ গুণ বৃদ্ধি। রকল্যান্ড কাউন্টিতেও চিত্র একই, সেখানে প্রিমিয়াম ১৯১ দশমিক ৪২ ডলার থেকে বেড়ে হবে ১ হাজার ২৯৪ দশমিক ৫৮ ডলার।

পশ্চিম নিউইয়র্কের বাফেলোতে প্রিমিয়াম ৬৯৫ দশমিক ৭২ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ৩৫৪ দশমিক ৫০ ডলার, রচেস্টার অঞ্চলে ২৭৯ দশমিক ৯৬ ডলার থেকে ১ হাজার ৮৮ দশমিক ৬৪ ডলার আর বিংহ্যামটনে ৩০১ দশমিক ৭৪ ডলার থেকে ১ হাজার ১৭ দশমিক ০২ ডলার হবে বলে জানা গেছে। ইউটিকা, সিরাকিউস, আলবানি ও ওয়াটারটাউনেও গড়ে ১ হাজার ডলারের বেশি দিতে হবে মাসে। রাজধানী আলবানিতে ২০২৬ সালের প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৪ দশমিক ৮৮ ডলার, আর কিংস্টনে ১ হাজার ১৯৬ দশমিক ৮৬ ডলার। নিউইয়র্ক সিটিতেও প্রিমিয়াম ১৯১ দশমিক ৪২ ডলার থেকে বেড়ে ১ হাজার ২৯৪ দশমিক ৫৮ ডলার হয়েছে, যা এক বছরে প্রায় সাতগুণ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ হলো ওবামাকেয়ারের অধীনে প্রাপ্ত অতিরিক্ত ভর্তুকির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া। কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক অচলাবস্থা থাকায় ভর্তুকি নবায়ন করা সম্ভব হয়নি। ফলে সরকারি সাহায্য না থাকায় বেসরকারি বীমা কোম্পানিগুলো তাদের প্রিমিয়াম হারের বিপুল বৃদ্ধি ঘটিয়েছে। ডেমোক্র্যাট নেতারা দাবি করেছেন, রিপাবলিকানদের অনমনীয় অবস্থানের কারণেই স্বাস্থ্যবীমার এই সংকট তৈরি হয়েছে। তাদের মতে, ওবামাকেয়ারের আওতায় ভর্তুকি অব্যাহত থাকলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারগুলো স্বাস্থ্যসেবা বজায় রাখতে পারতো। অন্যদিকে রিপাবলিকান নেতারা বলছেন, বর্তমান আইনটির গঠনগত ত্রুটি ও বাড়তি সরকারি ব্যয়ের জন্যই এই খরচ বৃদ্ধি অনিবার্য হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্যনীতি বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এই অস্বাভাবিক প্রিমিয়াম বৃদ্ধির ফলে বহু পরিবার বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যবীমা বাদ দিতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্রে বীমাহীন মানুষের সংখ্যা আরো বাড়িয়ে তুলবে। বর্তমানে প্রায় ২৭ মিলিয়ন আমেরিকান স্বাস্থ্যবীমাহীন। এই নতুন পরিস্থিতিতে সেই সংখ্যা আরো কয়েক মিলিয়ন বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মধ্যবিত্ত শ্রেণির অনেকেই বলছেন, মাসে ১ হাজার ডলার বা তার বেশি স্বাস্থ্যবিমার প্রিমিয়াম দেওয়া তাদের পক্ষে অসম্ভব। কেউ কেউ বাড়তি আয় করার চেষ্টা করছেন, কেউবা অন্য খরচ কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। বর্তমানে নিউইয়র্ক রাজ্যের প্রায় প্রতিটি অঞ্চলের বাসিন্দাকে মাসে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০০ ডলারের মধ্যে খরচ করতে হবে শুধু স্বাস্থ্যবীমার জন্য। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো নতুন সহায়তা কর্মসূচি বা ভর্তুকি সম্প্রসারণের ঘোষণা আসেনি। ফলে স্বাস্থ্যসেবা খরচ যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে সাধারণ মানুষের জন্য এক নতুন আর্থিক সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

২০২১ সালে অতিরিক্ত ভর্তুকি চালুর পর থেকে ওবামাকেয়ারের আওতায় নাম লেখানো মানুষের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি হয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় স্টেটগুলোতে বিশেষ করে টেক্সাস, লুইজিয়ানা, মিসিসিপি, টেনেসি, জর্জিয়া ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াতে। বীমা কোম্পানিগুলো বলছে, এই রাজ্যগুলোতে নতুন প্রিমিয়াম হার বেশি প্রভাব ফেলবে। কারণ সেখানকার মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠী তুলনামূলকভাবে বেশি ভর্তুকি নির্ভর।

ব্লু ক্রস ব্লু শিল্ড অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র ডেভিড মেরিট বলেন, সবচেয়ে দাম সংবেদনশীল গ্রুপ হলো তরুণ ও তুলনামূলকভাবে সুস্থ ভোক্তারা। তারা ভাবতে পারে, বীমা নেওয়া দরকার নেই। কিন্তু এতে বাজারে ভারসাম্য নষ্ট হবে এবং প্রবীণ ও অসুস্থদের বীমা খরচ আরো বাড়বে। বীমা কোম্পানিগুলো বলছে, এই প্রিমিয়াম বৃদ্ধি শুধু রাজনৈতিক অচলাবস্থার ফল নয়, বরং চিকিৎসা ব্যয় নিজেই দ্রুত বাড়ছে। হাসপাতালের বিল, নতুন ওষুধের দাম, এমনকি আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যয়ের কারণে খরচ বেড়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার প্রিমিয়াম বাড়াচ্ছে সম্ভাব্য ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, যদি ভর্তুকি না বাড়ায় তরুণ গ্রাহকরা বীমা থেকে সরে যান।

১ নভেম্বর থেকে নতুন বীমা পরিকল্পনায় নাম লেখানো শুরু হয়েছে। মানুষ রাজ্যভিত্তিক ওয়েবসাইটে গিয়ে বীমা বেছে নিতে পারবে। নিবন্ধনের শেষ সময় মধ্য ডিসেম্বর, যাতে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে পরিকল্পনা কার্যকর হয়। কিন্তু বীমা ও নীতিনির্ধারকরা বলছেন, এখনই বীমা না নিলে অনেকেই উচ্চমূল্য দেখে বীমা বাদ দিতে পারেন। পরে কংগ্রেস যদি ভর্তুকি নবায়ন করেও, তখন অনেক গ্রাহক হয়তো আর ফিরে আসবেন না।

ওরেগনের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান আন্দ্রেয়া সালিনাস বলেন, মানুষ হতবাক হবে যখন দেখবে, আগের মতো ভর্তুকি আর নেই। প্রিমিয়াম ও ডিডাকটিবল দুইই বাড়ছে, যা পারিবারিক বাজেটের ওপর মারাত্মক চাপ ফেলবে। অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, বীমা প্রিমিয়াম বৃদ্ধি ও ভর্তুকি হ্রাসের যুগপৎ প্রভাব দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে পারে। কংগ্রেসনাল বাজেট অফিসের হিসেবে, ভর্তুকি বন্ধ হলে ২০২৬ সালে বীমাহীন মানুষের সংখ্যা ২ মিলিয়ন বাড়বে। অন্য গবেষণায় বলা হয়েছে, এর সংখ্যা আরো বেশি হতে পারে। স্বাস্থ্যনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরে ওবামাকেয়ার মধ্যবিত্ত আমেরিকানদের স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখন সেই অগ্রগতি বিপরীতমুখী হতে পারে। ২০২৬ সালের জন্য ওবামাকেয়ার বীমার দাম বৃদ্ধির ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। প্রশাসন বলছে, এ বৃদ্ধি বাস্তব খরচের প্রতিফলন; কিন্তু সাধারণ মানুষ বলছে, এটি তাদের মৌলিক চিকিৎসা অধিকারকে অপ্রাপ্য করে তুলছে।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)