জোহরান মামদানির প্রশাসনে অভিজ্ঞ ও তরুণ নেতৃত্ব


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 12-11-2025

জোহরান মামদানির প্রশাসনে অভিজ্ঞ ও তরুণ নেতৃত্ব

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র-ইলেক্ট জোহরান মামদানি তার আসন্ন প্রশাসনের শীর্ষ পদে প্রথম অফিসিয়াল নিয়োগ ঘোষণা করেছেন। গত ১০ নভেম্বর সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রবঢু প্রশাসনিক অভিজ্ঞ ডিন ফুলিহানকে ফার্স্ট ডেপুটি মেয়র এবং দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা এল বিসগার্ড-চার্চকে চিফ অব স্টাফ হিসেবে মনোনীত করেন। মামদানি জানান, সিটির দৈনন্দিন শাসনব্যবস্থা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন ৭৪ বছর বয়সী ডিন ফুলিহান। তরুণ, প্রগতিশীল এবং তুলনামূলক কম অভিজ্ঞ মেয়র হিসেবে সমালোচনার জবাব দিতে এমন একজন অভিজ্ঞ প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব নিয়োগকে অনেকে দেখছেন কৌশলগত সিদ্ধান্ত হিসেবে। তিনি বলেন, ডিনের স্থিরতা, ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা ও দৃষ্টি আমাদের রক্ষণশীল রাজনীতির ধারাবাহিকতা থেকে বের করে নতুন, মানবকেন্দ্রিক রাজনীতি গড়তে সহায়তা করবে।

সত্তরের দশকের শেষভাগে নিউইয়র্ক স্টেট সরকারের নীতিমালা বিভাগে কর্মজীবন শুরু করা ফুলিহান নগর প্রশাসনের নানা শক্তিক্ষেত্র সম্পর্কে সুপরিচিত। নিউইয়র্কের কর্পোরেট ও প্রশাসনিক মহলে তার পরিচিতি এমন যে, নিউইয়র্ক সিটি পার্টনারশিপের প্রধান ক্যাথি ওয়াইল্ড রসিকতা করে বলেন, তিনি জানেন কোথায় কী লুকিয়ে আছে। ২০১৩ সালে সাবেক মেয়র বিল ডি ব্লাসিও তাকে বাজেট পরিচালক হিসেবে মনোনীত করেন। পরে ২০১৮ সালে তিনি সিটির ফার্স্ট ডেপুটি মেয়র পদে উন্নীত হন এবং ২০২১ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব পালন করেন। ডি ব্লাসিও প্রশাসনের বহু উল্লেখযোগ্য সাফল্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি-বিশেষত ইউনিভার্সাল প্রি-কে প্রকল্প বাস্তবায়নে তার ভূমিকা ছিল প্রধান। সহকর্মীরা তার কাজের নেশা সম্পর্কে বলেন, ডিন খেতে ভুলে যান, কেবল কালো কফি দিয়েই চলেন।

রাষ্ট্রীয় রাজনীতিতে ৩০ বছরের বেশি সময় কাজ করেছেন ফুলিহান। প্রয়াত অ্যাসেম্বলি স্পিকার শেলডন সিলভারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবেও তিনি পরিচিত ছিলেন। নিউইয়র্কের ১৩০ বিলিয়ন ডলারের রাজ্য বাজেটের প্রধান আলোচক হিসেবে তার মতামত ছিল অত্যন্ত প্রভাবশালী। মামদানির নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলোর মধ্যে যেমন বিনামূল্যে বাস পরিষেবা, ধনীদের ওপর অতিরিক্ত কর, সর্বজনীন শিশু-যত্ন বাস্তবায়ন। এসব কার্যকর করতে আলবানির আইন সমর্থন জরুরি হবে। ফলে ফুলিাহানের অভিজ্ঞতা মামদানির জন্য বড় হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।

সংবাদটি প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর গভর্নর ক্যাথি হোচুল সামাজিক মাধ্যমে ফুলিহানকে অভিজ্ঞ, নীতিগত ও নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা হিসেবে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এটি নিউইয়র্কারদের জন্য একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। লেবানন থেকে অভিবাসী হয়ে আসা পরিবারে জন্ম ফুলিহানের। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মামদানির প্রচারণার বার্তা আমার পরিবারের মতো অনেক অভিবাসী পরিবারের জন্য আশার কথা ছিল। এই শহরের মতো বৈচিত্র‍্যময় সরকারে কাজ করতে পারা গর্বের। বর্তমানে তিনি ম্যানহাটনের মারি হিল এলাকায় বসবাস করেন।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)