অনেকদিন ধরেই অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে একটা অস্বস্তি ভাব ছিল। কয়েকদিন পরই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কড়া বার্তা দিতেন। তার এসব বার্তা শুনে বাংলাদেশে থাকা তার নেতাকর্মীরা বেশ চাঙ্গা ভাব দেখাতো। দেশের মানুষের পাশাপাশি তাদের প্রিয় নেত্রীকে বার্তা দিতো ‘বাংলাদেশে আমরা রেডি’, ঢুকে পড়লেই ক্ষমতা। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বার্তায় তারই বড় ধরনের বিপত্তি ঘটে। এমন বার্তার কারণে একবার তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়। গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার ব্যানারে ওই গুড়িয়ে দেওয়া। পাঁচ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের শাসনের অবসানের পর নিষিদ্ধ হওয়া সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ঘোষণা দেওয়ার পরই এই ধরনের ঘটনা ঘটে।
কিন্তু এরপরেও নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার লাগাতার ভার্চুয়াল নির্দেশ দেওয়া থামেনি। সর্বশেষ শেখ হাসিনাকে ভারতের মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও মতবিনিময়ের সুযোগ দেওয়ায় ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার পবন বাদেহকে তলব করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের ওই উদ্বেগে জানিয়েছে যে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারাধীন এক কুখ্যাত পলাতক আসামিকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাকে বাংলাদেশবিরোধী বিদ্বেষ ছড়ানো ও দেশে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে উসকানি দেওয়ার মতো বক্তব্য প্রচারের সুযোগ করে দেওয়া দুই দেশের গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্য ‘অসহায়ক ও অনভিপ্রেত’।
কিন্তু এরপরেও না ভারত; না শেখ হাসিনা কেউ কোনো সাড়া দেয়নি। এতে দিনের পর দিন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল বেড়েই চলেছে। এতে করে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কার্যত একধরনের বিব্রত বোধই করছিল। কারণ বিশ্বে তার মতো একটি ক্ষমতাধর ব্যক্তিত্বের অনুরোধ-আহবান উপেক্ষা করাটা সহজ ব্যপার নয়। কিন্তু বারবার তা-ই করা হয়েছে। কিন্তু এখন? গত ১৭ নভেম্বর সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ভারতে পলাতক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
কি করবে ভারত?
এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্ত এই আসামীতে ভারত কিভাবে আশ্রয় দেবে? তা-র বক্তব্য ভারত বাংলাদেশের মানুষের সমর্তন চাইলে কি-ভাবে মূল্যায়ণ করবে? কেননা তাকে নিয়ে একদিকে দেশের ভেতরে যেমন ফিরিয়ে আনার দাবি বা চাপ সৃষ্টি হতে পারে তেমনি তার ভারতের ভেতরে নানান প্রশ্ন আসতে পারে। বাংলাদেশের ভেতরে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি একসময়ে মাঠে সক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলির ইস্যুও হয়ে উঠতে পারে। অপরদিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এমন একজন মৃত্যুদন্ডাদেশ প্রাপ্তকে ভারতের মাটিতে আশ্রয় দেওয়া নিয়েও সে-দেশের ক্ষেত্রে বিব্রতকর হয়ে উঠতে পারে।
দেশের ফেরানো একটি ইস্যু হয়ে উঠবে
ইতোমধ্যে জুলাই হত্যাকান্ডের মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালকে হস্তান্তরের জন্য ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। ১৭ নভেম্বর সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই হত্যাকান্ডের মামলায় দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে।
অন্যদিকে রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, শেখ হাসিনার যে বিচার হয়েছে তা অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়, কিন্তু এটি শুধু অতীতের বিচার নয় বরং ভবিষ্যতের জন্য একটি শিক্ষা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে দিল্লি থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে আনতে হবে। নিরাপত্তা উপদেষ্টা ভারত সফর করছেন। আশা করব তিনি শেখ হাসিনাকে সাথে নিয়েই দেশে ফিরবেন। আগামী এক মাসের মধ্যে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।
এদিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, গণতন্ত্র, সৎ প্রতিবেশী সুলভ আচরণ দাবি করলে প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আর বিলম্ব না করে তাকে আইনের কাছে সোপর্দ করা।
অন্যদিকে ভারতেও অবস্থা সুবিধার না
যদিও জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের পর ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। এটাকে অনেকে সাদামাটা প্রতিক্রিয়া বলে মনে করছে। এতে বলা হয় বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়ের বিষয় জেনেছে ভারত। নিকট প্রতিবেশী হিসেবে ভারত বাংলাদেশের জনগণের সর্বোচ্চ স্বার্থের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে দেশটির শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি এবং স্থিতিশীলতার বিষয় রয়েছে। সেদিক বিবেচনায় আমরা সব অংশীজনের সঙ্গে সর্বদা গঠনমূলকভাবে সম্পৃক্ত হব।
তবে সেদেশে পত্রপত্রিকায়ও এসেছে দেশটির জনগণের একটি অংশ কিন্তু অন্যরকম তথ্যও দিয়েছে। এতে দেখা গেছে, ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি আওয়ামী লীগের সুরেই রায়কে ষড়যন্ত্র এবং প্রতিহিংসা বলছে। কিন্তু মৃত্যুদন্ডকে সমর্থন না জানালেও মানবতাবিরোধী অপরাধের কারণে রায়কে স্বাগত জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরসহ সমাজের সুশীল সমাজের একাংশ। গণমাধ্যমে এসেছে কলকাতার আইনজীবী এ জামান বলেছেন, বাংলাদেশে গণহত্যা হয়েছে। শেখ হাসিনার ভূমিকা কোনো অবস্থাতেই আমরা মেনে নিতে পারিনি। তাঁকে কোনোভাবেই ক্ষমা করা যায় না। মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের রাজ্য সম্পাদক রঞ্জিত সুর বলেন, ‘আমরা মৃত্যুদন্ডের বিরোধী, তাই শেখ হাসিনার সাজাকে সমর্থন জানাতে পারছি না। কিন্তু তাঁর শাসনামলে যেভাবে লুট, খুন, জখম, সন্ত্রাসের রাজত্ব চলেছে, জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগ এসেছে, এর বিচারে কঠোর সাজা হওয়া উচিত ও অনিবার্য ছিল। ভারত সরকারের স্পষ্ট করা উচিত, শেখ হাসিনা আশ্রয়ে আছেন কিনা।’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও কড়া বিবৃতি
যদিও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৭ নভেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ২০২৪ সালের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভ দমনে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করার বিষয় উল্লেখ করেছে। তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এটাও বলেছে, দুজনেরই অনুপস্থিতিতে এ বিচার করা হয়েছে। তাঁরা নিজেদের পছন্দের আইনজীবীর মাধ্যমে প্রতিনিধিত্ব পাননি। আদালত তাঁদের মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন, যা গুরুতর মানবাধিকার উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক এই মানবাধিকার সংগঠনটির এশিয়া বিভাগের উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, হাসিনার দমনমূলক শাসন নিয়ে বাংলাদেশে এখনো ক্ষোভ ও বেদনা বিদ্যমান। তবে সব ফৌজদারি বিচারপ্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক মানের ন্যায়বিচারের মানদন্ড মেনে চলা আবশ্যক।
এখন প্রশ্ন হাসিনাকে নিয়ে কে খেলবে
এদিকে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে ভারত কি আসলে শেখ হাসিনাকে ফেরত দিবে? তুলে দেবে বাংলাদেশের হাতে জনতার চাপের মুখে? কেননা ২০১৩ সালে ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ সংক্রান্ত চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তিতেই বলা হয়েছিল, আদালতের রায়ে প্রত্যর্পণ করানোর মতো অপরাধ করে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এক দেশ অপর দেশের হাতে তুলে দেবে। এই বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা দিয়ে বলা হয়েছিল, ন্যূনতম এক বছরের জেল হতে পারে, এমন অপরাধ করে থাকলে সেই ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করা হবে। এদিকে শেখ হাসিনার আমলে ২০১৬ সালে প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করতে চুক্তি সংশোধন করা হয়। সংশোধিত চুক্তিতে বলা হয়, কারও নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেই তাঁকে প্রত্যর্পণ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে অপরাধের প্রমাণস্বরূপ কোনও তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে হবে না।
এখন প্রশ্ন এক্ষেত্রে ভারত কি করবে? অনেকের মতে, এক্ষেত্রে যদি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কোনো আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক চাল দেয়? যদি প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস তার আন্তর্জাতিক ইমেজকে কাজে লাগিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ঘায়েল করতে চায়? কেননা ভারতের সাথে মার্কিন সর্ম্পক এখন তলানীতে। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে হোয়াইট হাউসে ফিরে এলে ভারত বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলো। ধারণা করা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে তৈরি হওয়া যেকোনো সঙ্কট থেকে ভারতকে রক্ষা করবে। কিন্তু দিনের পর দিন আশা গুড়েবালিতে পরিণত হয়েছে। যদিও রাশিয়া থেকে তেল না কিনতে যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মধ্যেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি চুক্তি সই করেছে ভারত। রাশিয়া থেকে ভারতের অপরিশোধিত তেল কেনার কারণে সম্প্রতি তা দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশে উন্নীত করে। ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে উপনীত হতে মস্কোকে চাপে ফেলার চেষ্টার মধ্যে ট্রাম্প ভারতের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নিয়েছিল। তবে এখন চাপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানি চুক্তি করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অবস্থান কতটা ভালো হবে তা হয়তবা সময় বলে দেবে। কারণ ইতোমধ্যে ভারত যুক্তরাষ্ট্রকে বাগে আনতে চীন রাশিয়ায় দৌড় ঝাপ দিয়েছিল, যা ট্রাম্পের দৃষ্টি এড়ায়নি। তবে আমেরিকার এই শুল্ক কূটনীতিকে মোকাবেলা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বেশ ভালোভাবে মোকাবেলা করেছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। সেক্ষেত্রে দেখা গেছে, মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কেউ কেউ মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক বাড়ানোর কৌশলের ক্ষেত্রে বাণিজ্যের পাশাপাশি ভূ-রাজনীতি ও বৈশ্বিক চিন্তাও ছিল, যা প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস মাথায় আছে। আর সেজন্যে এখন অনেকে মনে করেন, ভারতে পলাতক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দেওয়ার পর তাকে নিয়ে আসল খেলা কে খেলে? অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস? না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? কারণ ইতোমধ্যে মুহাম্মদ ইউনূসের অনেক কৌশলী বক্তব্য ভারতকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে। আর এই পরিপ্রেক্ষিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও যদি মোদি সরকার শেখ হাসিনাকে সেদেশে বসে বেশি মাতামাতিতে প্রশ্রয় দেয় তাহলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস হয়তবা বসে থাকবেন না। তা-ই সবার চোখ এখন দোষি সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনাকে নিয়ে এখন কে খেলবে? মোদি না ইউনূস...। কেননা কারো কারো মতে, শেখ হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দিয়ে দেশটি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নানান চাপে রাখতে চাইছে, এবং ভবিষ্যতেও চাইবে। সেক্ষেত্রে দোষি সাব্যস্ত হওয়ার পর হাসিনাকে নিয়ে মোদি খেলাধুলা করতে গেলে ভারতের নৈতিক অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক অবস্থানে বেশ প্রশ্ন দেখা দেবে বলে বিশ্লেষকরা মনে করেন। তা-ই সময় বলে দেবে বল আসলে এখন কার কোর্টে।