মুসলিম সিভিল রাইটস গ্রুপ ‘কেয়ার’কে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 26-11-2025

মুসলিম সিভিল রাইটস গ্রুপ ‘কেয়ার’কে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা

টেক্সাসের রিপাবলিকান গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট গত ১৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম সিভিল রাইটস ও অ্যাডভোকেসি সংগঠন কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসকে (কেয়ার) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেন। তার জারি করা এক প্রোক্লেমেশনে বলা হয়, এ ঘোষণার মাধ্যমে টেক্সাস অঙ্গরাজ্য চাইলে সংগঠনটির কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে আইনগতভাবে উদ্যোগ নিতে পারবে। একই সঙ্গে গভর্নর অ্যাবটকেয়ারকে ‘ট্রান্সন্যাশনাল ক্রিমিনাল অর্গানাইজেশন’ হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং ঘোষণা দেন যে সংগঠনটি টেক্সাসে কোনো জমি কিনতে বা অধিগ্রহণ করতে পারবে না। এই প্রোক্লেমেশনে আরো যুক্ত করা হয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুড-এর নাম। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো কেয়ার বা মুসলিম ব্রাদারহুডকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার কোনো দিনই সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেনি।

অ্যাবট তার ঘোষণায় উল্লেখ করেন, এ বছরই তিনি একটি আইন স্বাক্ষর করেছেন যা টেক্সাসে বিদেশি প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র বা তাদের সহযোগীদের জমি কেনা নিষিদ্ধ করে। তিনি দাবি করেন, এই আইনের কারণেই কেয়ারকে চিহ্নিত করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বিলটির রিপাবলিকান স্পনসর স্টেট রিপ্রেজেন্টেটিভ কোল হেফনার এক্সে পোস্ট করে বলেন, আজকের ঘোষণাই প্রমাণ করে, আইনটি কেন প্রয়োজন ছিল। প্রায় ১০০ বছর আগে মিশরে প্রতিষ্ঠিত মুসলিম ব্রাদারহুড এখন বিভিন্ন দেশে শাখা বিস্তার করেছে। সংগঠনটি বহু বছর আগেই সহিংসতা পরিত্যাগ করেছে বলে দাবি করে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইসলামিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য তুলে ধরে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের অনেক স্বৈরশাসক সরকার এটিকে নিজেদের ক্ষমতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখে।

গভর্নরের ঘোষণার পর কেয়ার সরাসরি পাল্টা চিঠি পাঠিয়ে বলে, অ্যাবটের এ সিদ্ধান্তের কোনো আইনি বা বাস্তব ভিত্তি নেই। সংগঠনটি অভিযোগ করে, গভর্নরের এই পদক্ষেপ অ্যান্টি-মুসলিম উসকানি বাড়াবে। কেয়ার-এর সরকারি বিষয়ক পরিচালক রবার্ট এস ম্যাকাও চিঠিতে লেখেন, কোনো আমেরিকান নাগরিক বা মার্কিন প্রতিষ্ঠানকে একতরফাভাবে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করার ক্ষমতা আপনার নেই। আমাদের বিরুদ্ধে এমন অপবাদ তোলার কোনো ভিত্তিও নেই। গত কয়েক মাস ধরে টেক্সাস রিপাবলিকানরা ডালাসের কাছে একটি বৃহৎ মসজিদকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মুসলিম-প্রধান পরিকল্পিত কমিউনিটি নির্মাণ ঠেকাতে তৎপর হয়ে উঠেছিল। অ্যাবটসহ শীর্ষ রিপাবলিকান নেতারা ইস্ট প্লানো ইসলামিক সেন্টারের সংযুক্ত ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন। তাদের অভিযোগ এই কমিউনিটি মুসলিমদের জন্য আলাদা শহর গড়ে তুলছে এবং সেখানে ইসলামিক আইন প্রয়োগের লক্ষ্য রয়েছে।

কাউন্সিল অন আমেরিকান ইসলামিক রিলেশনস (কেয়ার)-এর দুটি টেক্সাস চ্যাপ্টার ডালাসফোর্ট অর্থ এবং অস্টিন গত ২০ নভেম্বর টেক্সাসের ফেডারেল আদালতে গভর্নর অ্যাবট এবং অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। গভর্নর দুদিন আগে কেয়ার এবং মুসলিম ব্রাদারহুডকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা দিয়ে টেক্সাসে তাদের ভূমি অধিগ্রহণ নিষিদ্ধ করেছিলেন। তার এই পদক্ষেপের ভিত্তি হিসেবে তিনি বছরের শুরুতে টেক্সাস আইনসভায় পাস হওয়া একটি নতুন আইনকে উল্লেখ করেন, যা গভর্নরকে কোনো দেশ বা গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করার অনুমতি দেয়। তবে এটি একমাত্র ভূমি মালিকানা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, গভর্নর অ্যাবট তার এই ঘোষণার মাধ্যমে সংগঠনের মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংগঠন গঠন এবং কার্যক্রম পরিচালনার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করেছেন। কেয়ারের অভিযোগ, তাদের কোনো নোটিশ বা আত্মপক্ষসমর্থনের সুযোগ না দিয়েই গভর্নর তাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে মার্কিন সংবিধানের চতুর্দশ সংশোধনীতে বর্ডুত ‘ডিউ প্রসেস’ বা যথাযথ প্রক্রিয়া অধিকার ক্ষুণ্ন করেছেন। মামলায় আরও বলা হয়েছে, গভর্নর অ্যাবট তার আদেশে অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটনকে কেয়ার এবং তাদের সদস্যদের টেক্সাসে কোনো প্রকার সম্পত্তি মালিকানা নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা ফেডারেল আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কেয়ার-এর আইনজীবীরা বলছেন, বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা নির্ধারণের ক্ষমতা শুধুমাত্র মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের, এবং কোনো অঙ্গরাজ্য এ ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে না। ফলে টেক্সাসের এই নতুন আইন সরাসরি ‘সুপ্রিমেসি ক্লজ’-এর বিরোধিতা করে।

গভর্নর অ্যাবট তার ঘোষণার যুক্তিতে দাবি করেন, কেয়ার নাকি বহুবার সন্ত্রাস-সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডে যুক্ত বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সমর্থন করেছে এবং বিভিন্ন সময়ে এমন ব্যক্তি নিয়োগ দিয়েছে যারা চরমপন্থী মতাদর্শ প্রচার করে। তবে কেয়ারের নেতারা এ অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও অবাস্তব বলে খারিজ করেছেন। সংগঠনের উপপরিচালক এডওয়ার্ড আহমেদ মিচেল বলেন, কেয়ার একটি আমেরিকান প্রতিষ্ঠান। আমরা কোনো বিদেশি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নই যে মুসলিম ব্রাদারহুড বা হামাসের মতো এমন কোনো সম্পর্ক আমাদের ইতিহাসে কখনো ছিল না। তিনি গভর্নরের দাবিকে ‘ষড়যন্ত্রমূলক এবং হাস্যকর’ বলে বর্ণনা করেন। কেয়ারের ভাষ্য অনুযায়ী, সংগঠনটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ প্রচারণা মোকাবিলা, নাগরিক অধিকার রক্ষা এবং বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। তারা সব ধরনের সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদকে বহুবার প্রকাশ্যে নিন্দা করেছে।

মামলা ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগেই গভর্নর অ্যাবট টেক্সাস ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক সেফটিকে কেয়ার এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানোর নির্দেশ দেন যা পরিস্থিতিকে আরো উত্তপ্ত করে তোলে। তার অভিযোগ, টেক্সাসে নাকি কিছু গোষ্ঠী ‘শরিয়া আইন’ চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং একটি বিকল্প আদালত ব্যবস্থার উদাহরণ তৈরি করছে। বিশেষ করে ডালাসের ইসলামিক ট্রাইব্যুনালকে তিনি একটি ‘শরিয়া কোর্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, এটি মার্কিন বিচার ব্যবস্থার বাইরে একটি বেআইনি আদালত পরিচালনা করছে। যদিও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা কোনো আইনগত আদালত নয়; বরং খ্রিস্টান, ইহুদি ও অন্যান্য ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মতোই তাদের মধ্যকার বিরোধ সমাধানে ধর্মীয় ও নৈতিক দৃষ্টিতে একটি স্বেচ্ছাসেবী মধ্যস্থতা কাঠামো হিসেবে কাজ করে। তারা কারো ওপর রায় চাপিয়ে দেয় না এবং কোনো আইনি সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ক্ষমতাও তাদের নেই। কেয়ার তাদের বিবৃতিতে বলেছে, গভর্নর অ্যাবট হয় আইন জানেন না, নয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। ধর্মীয় মধ্যস্থতা মার্কিন সংবিধানে সুরক্ষিত অধিকার।

কেয়ার, ডালাসের নির্বাহী পরিচালক মুস্তাফা ক্যারল বলেন, গভর্নর ইসলাম ও শরিয়া সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, সেগুলো বিভ্রান্তিকর এবং ইসলামফোবিক বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি ছাড়া আর কিছু নয়। শরিয়া মূলত ইসলামিক নৈতিকতা ও ধর্মীয় চর্চার দিকনির্দেশনা যা মার্কিন আইনের বিকল্প কোনো আদালত নয়। তার দাবি, অ্যাবটের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং মুসলিম সম্প্রদায়কে ভয় দেখানোর কৌশল। তিনি বলেন, এটি গভর্নর অ্যাবটের সাম্প্রতিক চেষ্টার অংশ, যেখানে তিনি মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর সুরক্ষা নস্যাৎ করতে চাইছেন। আমরা আদালতে তার জবাব দিতে প্রস্তুত।

কেয়ারের আইনজীবী চার্লস সুইফট বলেন, গভর্নর অ্যাবট দীর্ঘদিন ধরে কেয়ারের ইসরায়েল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে সমালোচনামূলক অবস্থানের কারণে ক্ষুব্ধ এবং এই রাজনৈতিক মতভেদের প্রতিশোধ হিসেবেই তিনি সংগঠনটিকে টার্গেট করেছেন। সুইফট বলেন, এখন এমন এক সময় চলছে যখন সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললেই তা দেশদ্রোহিতা বলে চিহ্নিত করা হয়। গভর্নর অ্যাবট আইনের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করছেন। কেয়ারকে লক্ষ্য করা হয়েছে তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কারণে।

গভর্নর অ্যাবটের সিদ্ধান্ত তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে জাতীয় পর্যায়েও। মার্কিন কংগ্রেস সদস্য ইলহান ওমর, মুসলিম অধিকার কর্মী, বিভিন্ন অসাম্প্রদায়িক সংগঠন এবং টেক্সাসের ডেমোক্রে‍টিক পার্টি এ পদক্ষেপকে বিপজ্জনক, বর্ণবাদী ও ইসলামফোবিক বলে নিন্দা জানিয়েছে। টেক্সাস হাউসের ডেমোক্র‍্যাট প্রতিনিধি জিন উ বলেন, গভর্নর যদি সিদ্ধান্ত নেন কোনো আমেরিকান টেক্সাসে স্বাগত আর কোনোটি নয়, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক নজির স্থাপন করবে। এটি ‘ভাবনা অপরাধ’ প্রতিষ্ঠার প্রথম ধাপ। তিনি সতর্ক করে বলেন, এই ধরনের ঘোষণার ফলে টেক্সাসের মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর বাড়তি নজরদারি, বৈষম্য এবং সামাজিক শত্রুতা তৈরি হতে পারে।

কেয়ার তাদের মামলায় গভর্নরের পদক্ষেপ মানহানিকর, অসাংবিধানিক এবং যুক্তিহীন বলে বর্ণনা করেছে। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, গভর্নর যে অভিযোগগুলো করেছেন তার কোনোটিই প্রমাণসাপেক্ষ নয় এবং অতীতে অসংখ্য স্বতন্ত্র সংস্থা, রিপোর্ট ও আদালতের রায় এসব অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ করেছে। তদুপরি, কেয়ার দাবি করেছে, এটি একটি স্বাধীন আমেরিকান অলাভজনক প্রতিষ্ঠান, যার কার্যক্রম কেবল মার্কিন আইনের অধীন কোনো বিদেশি সংস্থার নির্দেশ বা তত্ত্বাবধানে নয়।

মামলায় কেয়ার আদালতের কাছে গভর্নরের ঘোষণার বাস্তবায়নে তাৎক্ষণিক নিষেধাজ্ঞা জারি করার অনুরোধ জানিয়েছে। পাশাপাশি তারা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে, কারণ গভর্নরের ঘোষণায় সংগঠনের সুনাম ক্ষুণ্ন্ন হয়েছে এবং সম্পত্তি মালিকানা নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে তাদের কার্যক্রমে বাস্তবিক ক্ষতি হয়েছে। কেয়ার বলেছে, গভর্নর অ্যাবটের এ একতরফা আদেশের ফলে টেক্সাসের মুসলিম সম্প্রদায় আতঙ্কিত, কারণ কোনো বিচারিক প্রক্রিয়া ছাড়াই অঙ্গরাজ্যের সর্বোচ্চ নির্বাহী তাদেরকে বিদেশি সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

২০ নভেম্বর প্রকাশিত এক বিবৃতিতে কেয়ার লিটিগেশন ডিরেক্টর লিনা মাসরি বলেছেন, গভর্নর অ্যাবট অতীতে তিনবার প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন করে মুসলমান বা প্রো-প্যালেস্টাইন কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনবারই আদালতে পরাজিত হয়েছেন। এবারও আমরা আইনের শরণাপন্ন হয়েছি এবং আশা করছি আদালত আবারও প্রমাণ করবে যে গভর্নর নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। কেয়ার টেক্সাসের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আমরা ভয় পাই না। টেক্সাসে নাগরিক অধিকার রক্ষার লড়াই আমরা চালিয়ে যাব, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা হোক বা জাতিগত সমতার দাবি-এসব আমেরিকার মৌলিক মূল্যবোধ।

গভর্নর অ্যাবট তার পক্ষ থেকে দাবি করেছেন, এই মামলার কারণে কেয়ারের সব অর্থনৈতিক লেনদেন, দাতা তথ্য এবং অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম প্রকাশ্য হয়ে যাবে এবং তাতে তাদের অপরাধ প্রমাণিত হবে। তবে কেয়ার বলছে, এটি আরেকটি রাজনৈতিক বিভ্রান্তি, কারণ তারা বহু বছর ধরে অডিটেড আর্থিক রিপোর্ট প্রকাশ করে এবং সব ফেডারেল আইনের অধীনে পরিচালিত হয়। কেয়ার দীর্ঘদিন ধরে এফবিআই, ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার সঙ্গে নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করেছে। একটি সন্ত্রাসী সংগঠন কখনই করতে পারে না।

বর্তমানে আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছে এবং পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হবে। আইনি ও রাজনৈতিক মহলে এই মামলা ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে। কারণ এটি শুধু কেয়ারের ভবিষ্যৎ নয়, বরং কোনো মার্কিন অঙ্গরাজ্যের গভর্নর কি একতরফাভাবে কোনো সিভিল সোসাইটি সংগঠনকে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করতে পারেন কি না। এ প্রশ্নের ওপরও এর ফলাফল নির্ভর করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মামলা ভবিষ্যতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির তৈরি করতে পারে।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)