যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সেনা সদস্যদের সর্বদা প্রস্তুত থাকতে বলেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সেনাবাহিনীকে একটি প্রশিক্ষিত, সুশৃঙ্খল এবং আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত পেশাদার বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তিনি। গত ২ ডিসেম্বর সকালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্স এবং ৬০তম বিএমএ স্পেশাল কোর্সের অফিসার ক্যাডেটদের কমিশনপ্রাপ্তি উপলক্ষে এ রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। বিএমএ প্যারেড গ্রাউন্ডে সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শনের পাশাপাশি প্যারেডের অভিবাদন গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তিনি কৃতী ক্যাডেটদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের উদ্দেশ্যে সেনাপ্রধান বলেন, শপথ গ্রহণের মধ্যদিয়ে সদ্য কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের ওপর ন্যস্ত হলো দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব। দেশের সীমানা পেরিয়ে বহির্বিশ্বেও ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তিনি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের মানুষের কল্যাণে নবীন অফিসারদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
সামরিক প্রশিক্ষণ শেষে বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের ১৮৪ জন ও বিএমএ স্পেশাল কোর্সের ২০ জন অফিসার ক্যাডেট বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেছেন। এর মধ্যে ১৮৩ জন পুরুষ ও ২১ জন মহিলা সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। জানা যায়, কোম্পানি সিনিয়র আন্ডার অফিসার আজমাইন ইশরাক ৮৯তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সেরা চৌকস ক্যাডেট হিসেবে অসামান্য গৌরবমন্ডিত ‘সোর্ড অব অনার’ এবং সামরিক বিষয়ে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য ‘সেনাবাহিনী প্রধান স্বর্ণপদক’ অর্জন করেন। পরে প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আনুষ্ঠানিক শপথ গ্রহণ করেন। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা এবং প্রশিক্ষণ সমাপনকারী ক্যাডেটদের পিতা-মাতা ও অভিভাবকরা নবীন অফিসারদের র্যাংক-ব্যাজ পরিয়ে দেন।