বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্য সংখ্যা লাইফ মেম্বারসহ ১৩১৮


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 03-12-2025

বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্য সংখ্যা লাইফ মেম্বারসহ ১৩১৮

প্রবাসের মাদার সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সভা আগামী ২৮ ডিসেম্বর। সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে। বাংলাদেশ সোসাইটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যারা সাধারণ সদস্য তাদের সদস্য পদ থাকে না। যারা লাইফ মেম্বার শুধু তাদের সদস্য পদ থাকে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করতে হলে অবশ্যই সদস্য পদ থাকতে হবে। যে কারণে বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সদস্য হওয়ার আহ্বান জানায় বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি কমিটি। যেহেতু শুধু সাধারণ সভায় অংশগ্রহণের জন্য সদস্য পদ নবায়ন সেহেতু অনেকেই সদস্য হতে চান না। তবে যদি ২০ ডলার দিলে সদস্য হন, তাহলে তার ভোটাধিকারও থাকে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। ভোটের সময় মানুষের মধ্যে যে আগ্রহ থাকে, সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য সেই রকম আগ্রহ থাকে না। আবার নির্বাচনের সময় বৈতরণী পার হওয়ার জন্য অনেকেই নিজের গাইটের অর্থ খরচ করে সদস্য বানান যে কারণে এই সুযোগ নেওয়ার অপেক্ষায় থাকেন অনেকে। প্রার্থীরা যদি নিজের পকেটের বা অন্যের পকেটের অর্থের বিনিময়ে সদস্য না বানাতেন তাহলে এই অবস্থার সৃষ্টি হতো না। অনেক সময়ই দেখা যায়, অনেকেই প্রার্থী হোন অন্যের পকেটের দিকে তাকিয়ে। তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে বানানো হয় সদস্য। আবার অনেক প্রার্থী নিজের পকেটের জোরেই সদস্য বানান। তবে এই অসুস্থ্য অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তানাহলে যোগ্য লোক নেতৃত্বের জন্য পাওয়া যাবে না।

গত ৩০ নভেম্বর ছিল বাংলাদেশ সোসাইটির সদস্য হওয়ার শেষ সময়। বাংলাদেশ সোসাইটির নিজস্ব কার্যালয়ে সদস্যপদ গ্রহণ করা হয়। এই সময় বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সিনিয়র সগ সভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ-সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, কোষাধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ভূইয়া রুমি, প্রচার সম্পাদক রিজু মোহাম্মদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিক রাজ, কার্যকরি সদস্য এ বি সিদ্দিক পাটোয়ারিসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা। একটি সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ সোসাইটির মোট সদস্য সংখ্যা বর্তমানে ১৩১৮ জন। নতুন সদস্য হয়েছেন ৩৭৯ জন। আর লাইফ মেম্বার ৯৩৯ জন। লাইন মেম্বার এবং নতুন করে যারা মেম্বার হয়েছেন শুধু তারাই সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

বিভিন্ন সূত্রেও জানা গেছে, এই সদস্য বানানোর ক্ষেত্রেও সোসাইটির কার্যকরি কমিটির উদ্দেশ্য বা পরিকল্পনা রয়েছে। যে কারণে কার্যকরি কমিটির কোন কোন সদস্য তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নিজেদের অর্থে তাদের সদস্য বানিয়েছেন। আবার প্রতিপক্ষও রয়েছে। যদিও নতুন সদস্যের হিসাবে তাদের অবস্থান দুর্বল। তবে লাইফ মেম্বারের হিসাবে যোগ করলে ফলাফল অন্য রকম হতে পারে। একটি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান কমিটি প্রথমে চেয়েছিল বাংলাদেশ সোসাইটির কার্যকরি কমিটির মেয়াদ দুই বছরের পরিবর্তে তিন বছর করতে। তারা এখনো সেই স্বপ্নে বিভোর। সেটা করতে না পারলে তারা তাদের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়াতে চান। সেই অঙ্কও রেডি করা আছে। বলতে পারেন- সোসাইটির ভবন করার জন্য তাদের আরো এক বছর থাকতে হবে। বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তারা কমিউনিটি সেন্টার তৈরি করার জন্য ১৮৯-১০ হিলসাইড অ্যাভিনিউতে একটি ভবন সাইন করেছেন। এই ভবনের মূল্য ঠিক করা হয়েছে ৪ দশমিক ৯ মিলিয়ন। এ ভবনের দোহাই দিয়েই বর্তমান কমিটি তাদের মেয়াদ বাড়াতে চাইবেন। অন্য একটি সূত্র বলছে, যে শর্তে বর্তমান কমিটি নতুন ভবন ক্রয়ের জন্য চুক্তি সাইন করেছেন, সেই শর্ত পূরণ করতে হলে প্রচুর অর্থে প্রয়োজন। বাংলাদেশ সোসাইটির ইনকামের একমাত্র পথ হচ্ছে নির্বাচন। সেই নির্বাচন পিছিয়ে গেলে ভবন নিয়ে বাংলাদেশ সোসাইটিকে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে। যে কারণে অনেকেরই অভিমত মেয়াদ বাড়ানো যাবে না।

ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান শাহ নেওয়াজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন নতুন ভবন ক্রয় করার সময় পুরানো ভবন বিক্রি করা হবে না। বা বিক্রির বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু অর্থ সংগ্রহ করা না গেলে সেই ক্ষেত্রে কী পুরোনো ভবন বিক্রি বিষয়টি সমানে চলে আসবে না? আবার কেউ কেউ বলছেন, সাধারণ সভায় এ বিষয়টিও চলে আসতে পারে।

ইতিমধ্যই বাংলাদেশ সোসাইটির গঠনতন্ত্র সংশোধনের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটি তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন। গত ৩০ নভেম্বর তারা বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের ডু বৈঠক আহবান করেছিলেন। প্রায় ১৭ জন সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে মাত্র ৪ জন উপস্থিত ছিলেন। সে এক বেহাল অবস্থা। যে ৪ন উপস্থিত ছিলেন তারা মেয়াদ বৃদ্ধির বিরোধিতা করেছিলেন। এখন দেখা যাক সাধারণ সভায় তারা কী উপস্থাপন করেন, কী সংশোধনী আনেন। ইতিমধ্যেই কয়েকজন একটি প্রস্তাবনা দিয়েছেন। সেখান থেকে কী রাখেন বা না রাখেন তাও দেখার বিষয় রয়েছে। তাদের সদস্য ফি বাড়ানোর প্রস্তাবটি সমর্থনযোগ্য না হলেও বেশ কিছু প্রস্তাব সমর্থনযোগ্য।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)