যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ডে ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে স্থানীয় সময় গত ১৩ ডিসেম্বর বন্দুকধারীর গুলিতে দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। ১৪ ডিসেম্বর বন্দুকধারীর সন্ধানে বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে অভিযান চালিয়েছেন পুলিশের কয়েকশ সদস্য।
শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির একটি ভবনে পরীক্ষা চলার সময় ওই হামলা হয়। পুলিশ সন্দেহভাজনের ১০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, প্রথম তলার একটি শ্রেণিকক্ষে গুলি চালানোর পর ফাঁকা রাস্তা ধরে দ্রুত হেঁটে চলে যাচ্ছে বন্দুকধারী। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাকসন শনিবার গভীর রাতে এক ব্রিফিংয়ে জানান, ১১ জন ভুক্তভোগীর মধ্যে ১০ জনই শিক্ষার্থী।
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্দুক হামলার ঘটনা নতুন নয়। ভার্জিনিয়ায় ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে ২০০৭ সালের ১৬ এপ্রিল। ওইদিন দক্ষিণ কোরিয়ান শিক্ষার্থী সিউং-হুই চো ৩২ জনকে হত্যা করেন। পরে তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেন।
শনিবারের ঘটনা নিয়ে কেটি সান নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, তিনি কাছের একটি ভবনে পড়াশোনা করছিলেন। হঠাৎ গুলির শব্দ শুনতে পান। নিজের সব জিনিসপত্র ফেলে রেখে দৌড়ে ডরমিটরিতে ফিরে যান। সত্যি বলতে এটা খুবই ভীতিকর ছিল।
হামলার পর এফবিআই এজেন্ট থেকে শুরু করে ক্যাম্পাস পুলিশের সদস্যসহ প্রায় ৪০০ পুলিশ সদস্য নিউ ইংল্যান্ডের ক্যাম্পাসটিতে তল্লাশি চালান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘটনাটিকে ‘ভয়াবহ’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধু ভুক্তভোগীদের জন্য প্রার্থনাই করতে পারি।’