প্রবাসে পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ ল’ সোসাইটির নির্বাচনে অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহিদ সভাপতি এবং অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। গত ১৩ ডিসেম্বর জ্যাকসন হাইটসের বাংলাদেশ প্লাজায় উৎসবমুখর পরিবেশে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শুরু হয় সকাল ১১টায় এবং শেষ সন্ধ্যা ৬টায়। অবাধ, সুষ্ঠু এবং সুন্দর এই নির্বাচনে দুটো বেশি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট সাইয়েদ মঈন উদ্দিন জুয়েল জানিয়েছেন ৩০৮ জন ভোটারের মধ্যে ২৭৫ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। অনেকে অন লাইনেও অন্যান্য স্টেট থেকে ভোট দিয়েছেন। দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ ও গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবুল বাশার, কমিশনের সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সামিউল করিম আলমগীর, সব প্যানেলের প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ফলাফল ঘোষণার পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কার্যকরি কমিটি, সব প্রার্থী এবং ভোটারদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আপনাদের সহযোগিতার কারণেই আমরা একটি সুন্দর, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছি। নির্বাচনে যারা জয়ী হয়েছেন, যারা পরাজিত হয়েছেন সবাইকে তিনি ধন্যবাদ জানান একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াহিদ। তার প্রাপ্ত ভোট ১৫৬। তার প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান পেয়েছেন ৭৭ ভোট ও অ্যাডভোকেট মাহাবুবার রহমান পেয়েছেন ৩০ ভোট। সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ব্যারিস্টার আকমান খান ও অ্যাডভোকেট সোনিয়া সুলতানা। তাদের প্রাপ্ত ভোট যথাক্রমে ১২১ ভোট ১১৬ ভোট। পরাজিত প্রার্থী মহিউদ্দিন পেয়েছেন ১১৩ ভোট, অ্যাডভোকেট আলাউদ্দীন এ তালুকদার ৮১ ভোট এবং রফিকুল ইসলাম ৪৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। এই পদে নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র ৪ ভোটে এগিয়ে থেকে জয়যুক্ত হয়েছেন। তার প্রাপ্ত ভোট ১০০। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ সাইদুর রহমান পেয়েছেন ৯২ ভোট। অপরপ্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজওয়ানা রাজ্জাক পেয়েছেন ৬২ ভোট। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু ১৩৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল করিম পেয়েছেন ৯৯ ভোট, অ্যাডভোকেট তাহমিনা আক্তার সুইটি পেয়েছেন ৯৪ ভোট, জাহিদুল ইসলাম পেয়েছেন ৬৪ ভোট ও অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান বাবু পেয়েছেন ৬৩ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, কোষাধ্যক্ষ পদে ১৫০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম, তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম পেয়েছেন ১০৮ ভোট। প্রচার সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট জয়জিত আচার্য্য। ক্রীড়া সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট কায়ছার পারভীন চৌধুরী। তিনি ভোট পেয়েছেন ১৪১। তার প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জিয়াউল হক পেয়েছেন ১০৫ ভোট। সমাজ কল্যাণ সম্পাদক পদে সফিকুল ইসলাম ১২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাডভোকেট শাহ আলী পিন্টু খান পেয়েছেন ১২৩ ভোট। অফিস সেক্রেটারি পদে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম ১৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রেশমা ইয়াসমীন পেয়েছেন ৮৫ ভোট। কার্যকরি সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট কাজী এম জুয়েল, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হয়েছেন পান্না ইয়াসমীন ও অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ। পরাজিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট হাসনাত কবীর ফাহিম ও অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ।