বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেড় যুগ বাদে দেশে ফিরে তার বাবা, দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন।
সহযোদ্ধাদের সঙ্গে মোনাজাতে অংশ নেওয়ার পর সেখানে একান্তে কিছু সময় কাটিয়েছেন, এসময় তাকে চোখ মুছতে দেখা যায়।
শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে আসেন তারেক রহমান। এরপর তিনি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি মোনাজাতে অংশ নেন।
এর মধ্য দিয়ে ১৯ বছর পর বিএনপি নেতা হিসেবে দলের প্রতিষ্ঠাতার কবরে শ্রদ্ধা জানালেন। এর আগে ২০০৬ সালে জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানিয়েছিলেন তার জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক।
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময়ে তারেক রহমানের পাশে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সেলিমা রহমান ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
একান্তে কিছুক্ষণ
পরে তারেক রহমান কিছুক্ষণ বাবার কবরের সামনে একা দাঁড়িয়ে সুরা ফাতেহা ও দরুদ পাঠ করেন।
এরপর তিনি একাই মোনজাত করেন। মোনাজাত শেষে রুমাল দিয়ে নিজের চোখ মুছতে দেখা যায় বিএনপি নেতাকে।
এরপর বিকাল ৫টা ৪ মিনিটে তারেক রহমান বাসে চড়ে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা হন। সেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
‘জনগণ উজ্জীবিত হয়েছে’
শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমাদের প্রিয় নেতা, ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী জনাব তারেক রহমান বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের দেশের মানুষ খুশি হয়েছে, জনগণের মধ্যে মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে, জনগণ উজ্জীবিত হয়েছে।”
তারেক রহমান জিয়া উদ্যান আসবে—এ খবর আগেই জানা থাকায় সকাল ১০টা থেকে সেখানে নেতাকর্মীদের ভিড় জমতে থাকে। জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়।
এদিন বেলা পৌনে ২টা ৫২ মিনিটে তারেক রহমানের গাড়িবহর গুলশানের ১৯৬ নম্বর বাড়ির সামনে থেকে জিয়া উদ্যানের পথে রওনা দেয়। আগের দিন যে বুলেটপ্রুফ বাসে করে তিনি বিমানবন্দর থেকে এসেছিলেন, সেই বাসে করেই তিনি শেরেবাংলা নগরে যান।
লাল-সবুজ পতাকার রঙে সাজানো বাসের সামনে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে তারেক রহমান কর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। বাস ঘিরে কর্মী-সমর্থকদের প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে আট কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লেগে যায় পৌনে ২ ঘণ্টা।
বেলা ৪টা ৩৬ মিনিটে বাস থেকে নেমে তিনি সমাধিস্থলে হেঁটে রওনা দেন। এরপর সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় তাকে চোখ মুখতে দেখা যায়।