ডাকা বিলটি পাশে রিপাবলিকানদের সিনেটরদের অসম্মতি


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 15-05-2024

ডাকা  বিলটি পাশে রিপাবলিকানদের সিনেটরদের অসম্মতি

ডাকা বা ডেফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের এক যুগপূর্তির পরও প্রায় এক মিলিয়নের বেশি আনডকুমেন্টেড ছাত্রছাত্রীর বিলটি পাসে অসম্মতি জানিয়েছে রিপাবলিকান প্রতিনিধিরা। ডাকার অধীনে রয়েছে যারা এদশে হাইস্কুল গ্র্যাজুয়েশন করেছে, কিন্তু এদেশে বৈধভাবে কাজ করার কোনো অনুমতি তো দূরে থাক ডিপোর্টেশনের হাত থেকে বাঁচার কোনো পথও ছিল না। এই ডাকা কর্মসূচি চালু করেছিলেন বারাক ওবামা। সেই সময় রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দল তা সমর্থন করেছিল। এটি ছিল সাময়িক। কথা ছিলো পরবর্তীতে কংগ্রেস আইনের মাধ্যমে এটি পাস করবে এবং ছাত্রছাত্রীরা এ দেশে বৈধভাবে থাকার সুযোগ পাবেন। কিন্তু ২০১২ সালের জুন মাসে ডাকা কর্মসূচি চালুর পর অদ্যাবধি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ডাকার এক দশক ধরে এর ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা কাটাতে গত ৮ মে বুধবার সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির কমিটি ‘অভিবাসী যুবকদের সুরক্ষার জরুরি প্রয়োজন’ বিষয়ে শুনানি করছেন। রিপাবলিকান সিনেটরদের অনীহার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ডাকা প্রোগ্রামটির ভাগ্য অনিশ্চিত। শুনানিতে তরুণ অভিবাসীরা বন্ধ হয়ে যাওয়া ডাকা প্রোগ্রামটি চালু করতে দ্বিপক্ষীয় সমর্থন গড়ে তোলার আবেদন জানায়।

সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির চেয়ারম্যান সিনেটর ডিক ডারবিন, (ডি-ইলিনয়) ড্রিমার্স এবং ডিফার্ড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল প্রোগ্রামের প্রাপকদের অবদানের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে গত ৮ এপ্রিল বুধবার সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটিতে শুনানি করেন। সিনেট জুডিশিয়ারি কমিটির র‌্যাঙ্কিং সদস্য রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম, (আর-সাউথ ক্যারোলিনা) শুনানিতে তার বক্তব্যে বলেন, ডাকা-কে ঠিক করা’ এখনই আমার উদ্বেগের বিষয় নয়’। কারণ আমার অগ্রাধিকার হল সীমান্ত, মার্কিন অভিবাসন নীতিকে ঠিক করা। তিনি আরো বলেন, ড্রিমার্সকে বৈধ করলে অন্যরা ‘আসতে থাকার’ বার্তা পাবে এবং অভিবাসন সংকটকে আরো খারাপ করবে।

সিনেটর ডারবিন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এই তরুণদের আপনার উদ্বেগের জন্য দায়বদ্ধ রাখা’ অনুচিত। তিনি বলেন, ডাকা প্রাপকরা ব্যাপক ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের মধ্য দিয়ে গিয়েছে এবং তারা এখন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যতিক্রমী কর্মী হয়ে ওঠেছে। এই দুই জন সিনেটর ২০২৩ সালে ড্রিম অ্যাক্ট প্রবর্তন করেছিল। নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ইমিগ্রেশন ক্রমবর্ধমানভাবে রাজনীতিবিদদের জন্য একটি ফ্ল্যাশ পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। যেখানে রিপাবলিকানরা অনথিভুক্ত অনাগরিকদের হত্যা ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধের অভিযোগে কট্টরপন্থী অভিবাসন নীতির দিকে ঠেলে দেওয়ার ইঙ্গিত করছেন। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাটরা এই ধরনের প্রচেষ্টার নিন্দা করছে এবং এটাকে ‘সস্তা’ রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করে।

১ লক্ষাধিক তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক, যারা শিশু হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এসেছে। তাদের আইনি অভিবাসন স্থিতি নেই, কিন্তু তারা নির্বাসনের ভয় ছাড়াই কাজ করতে এবং পড়াশোনা করতে সক্ষম হয়েছে যেহেতু ২০১২ সালে তৎকালীন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার একটি নির্বাহী পদক্ষেপ হিসেবে ডাকা আইনটি প্রথম প্রয়োগ করেছিলেন। ডাকা প্রাপকদের একটি অপ্রতিরোধ্য সংখ্যাগরিষ্ঠ মেক্সিকো এবং অন্যান্য লাতিন আমেরিকার দেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। কিছু দক্ষিণ এশিয়ানও রয়েছেন। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রোগ্রামটি বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। ফেডারেল কোর্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রোগ্রামটি বন্ধ করার চেষ্টায় বাধা দিয়েছিল। 

২০২১ সালে যখন ফেডারেল বিচারক চলমান আইনি চ্যালেঞ্জের মধ্যে নতুন নিবন্ধনকারীদের জন্য এটি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এরপর থেকে আনুমানিক ৪ লাখ যুবক-যুবতী, যারা ডাকা প্রোগ্রামে আবেদন করার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তারা আবেদন করতে পারেনি।

২০১২ সালে ডাকা প্রোগ্রাম শুরুর পর থেকে প্রাপকরা অর্থনীতিতে ২০৮ বিলিয়ন ডলার মজুরি, সেই সঙ্গে ৩৩ বিলিয়ন ডলার সম্মিলিত ট্যাক্সে অবদান রেখেছেন। বেশিরভাগ ডাকা প্রাপক তরুণ প্রাপ্তবয়স্ক, যারা ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)