থমথমে পরিস্থিতি : দুশ্চিতায় সরকার


মাসউদুর রহমান , আপডেট করা হয়েছে : 31-07-2024

থমথমে পরিস্থিতি : দুশ্চিতায় সরকার

কোটা আন্দোলনে নিহত স্বজনদের আহাজারিতে ক্রমশ ভারী হচ্ছে পরিবেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও আবেগ আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেছেন, এক নিহত স্বজনকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে। বলেছেন, এমনটাও আমার দেখতে হবে ভাবিনি! ঘুরে ঘুরে দেখছেন ধ্বংসযজ্ঞ। নিহত স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন। আহতদের দেখতে গিয়েছেন হাসপাতালে। খোঁজ নিয়েছেন। গত ২৮ জুলাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক পরিসংখ্যানে নিহতের সংখ্যা ১৪৭ উল্লেখ করেছেন। তবে নিহতের তথ্যে অনুসন্ধানে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘নিহতদের মধ্যে পুলিশ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছে।’ সহিংসতায় কতজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কখনো বলা হচ্ছে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসলে মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ছাত্র কতজন এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। আরও যাচাই করে তথ্য জানানো হবে।’ 

দেশে এখনও কার্ফু বিদ্যমান। রাস্তায় টহল দিতে দেখা যায় সেনাবাহিনীকে। বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃংখলাবাহিনীও সতর্ক অবস্থায়। এক এক জেলায় কার্ফুর ধরন, সময়সূচি একেক রকম। তবে বুধবার থেকে ঢাকায় ১৩ ঘন্টা শিথিলের খবর দেয়া হয়েছে। অফিসও সময় বাড়িয়ে বাড়িয়ে নর্মাল পর্যায়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

তবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। কবে খুলবে তার নিশ্চয়তা দিতে পারলেন না শিক্ষামন্ত্রী। সারা দেশের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগও স্বাভাবিক নয়। কার্ফুর ফাঁক গলিয়ে যতটা সময় চলাচল করা যায়। অনেক সময় গন্তব্যে পৌঁছাতে কার্ফুর মধ্যেই রিক্স নিয়ে পৌঁছায় যানবাহন। যাত্রীরাও ভয়ে তটস্থ হয়ে ফেরেন। দেশের রেল লাইন ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। কিছু কিছু রেল স্বল্প দূরত্বে চলবে বলে জানানো হয়েছে। বিমান যাত্রা চালু থাকলেও ক’জন লোকের পক্ষে ব্যয়বহুল যান ব্যবহার সম্ভব। নদীপথে লঞ্চ চলাচল শুরু এখনও স্বাভাবিক নয়। সরকারি অফিসের সময়সূচি মাঝে মধ্যেই পরিবর্তন করা হচ্ছে। 

রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম সড়কগুলোর অধিকাংশ দিয়ে যানবাহন চলছে না বা চলাচলে কঠোর নিরাপত্তার বলয় পার হতে হয়। এতে কর্মদিবসে প্রচণ্ড যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী। মেট্রোরেল বন্ধ। ব্যাবহারের জন্য খুলে দেয়া হচ্ছেনা এলিভেটেড এক্সপ্রেস। 

ছাত্ররা ভেতরে ভেতরে ফুঁসছেন। অভিবাবকদের নজরদারি ও কঠোরতায় তারা রীতিমত কন্ট্রোলে। তবে একটা সমঝোতা দুই পক্ষের মধ্যে হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হচ্ছে না। ৬ প্রধান সমন্বয়কারী ডিবি হেফাজতে। এটা নিয়েও আছে বিতর্ক। ডিবি বলছে তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই তাদেরকে সুরক্ষিত স্থানে রাখা হচ্ছে। স্বজনসহ কোটা আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা অন্যরা বলছেন তাদের আটক করা হয়েছে। এমন বিভ্রান্তিতে ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ বলছেন, ৬ সমন্বয়কারীকে আটকের খবর গুজব। তবে এ ব্যাপারে বিপক্ষে মত সুশীল সমাজের অনেকের। তারা বলছেন, হেফাজতে রাখার নামে মূলত তাদেরকে আটক করা হয়েছে। মুক্তি দিতে হবে অবিলম্বে। নতুবা কর্মসূচি দেবেন তারা। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজও ৬ সমন্বয়কের ডিবি হেফাজতে থাকাটাকে রহস্যজনক মনে করেন। তিনি বলেছেন আমি দেখতে গিয়েছিলাম। যদি আটক করা হয় তাহলে আমার কোনো কথা নেই। যদি নিরাপত্তার নামে সেলফ কাস্টডিতে রাখা হয় তাহলে তাদের সঙ্গে আমি কথা বলতে চাই। দেখা করতে চাই। কিন্তু ডিবি প্রধান বলেছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দেখা করা যাবে না। 

গত ২৯ জুলাই সোমবার বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিয়েছিল কোটা আন্দোলনকারীরা। যদিও এর আগে ডিবি হেফাজতে থাকা ৬ সমন্বয়ক কর্মসূচি প্রত্যাহারের লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। কিন্তু কোটা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী অন্যরা এটাকে প্রত্যাখান করেন। ওই কর্মসূচি প্রত্যাহার বিবৃতি জোর করে পরানো হতে পারে বলে তারা ধারণা করেন। একই সঙ্গে সাধারণ ছাত্রছাত্রীরাও সেটাকে সমার্থন দিয়ে সোমবার বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিলেও আইনশৃংখলাবাহিনীর কঠোরতার জন্য ওই কর্মসূচি পুরোপুরি হতে পারেনি। এরপরও ঢাকার উত্তরা, ইসিবি চত্বর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রমুখ স্থানে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়ে মিছিল ও ক্ষোভ প্রকাশ করার চেষ্টা করে। কিন্তু সকল স্থানেই পুলিশ তাদের হটিয়ে দেয়। এবং অনেককে আটকও করেন পুলিশ এ সময়। 

এদিকে কোটা আন্দোলন, নিহত আহত এসব বিষয় নিয়ে ফেসবুক, টুইটার, ওয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উত্তাল হবে বিধায় এসব স্থানে সম্ভাব্য গুজবের শঙ্কায় ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। ইন্টারনেট অবশেষে চালু হলেও চলছে না এগুলো। অথচ এ মাধ্যমের উপর ভর করে লাখো মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে যারা পুঁজি হারিয়েছেন বা টিকে থাকার লড়াইয়ে এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পথ ধরেছেন, তারা চরম অস্বস্তিতে। ঠিক দেশের বাইরেও অনেক প্রবাসী অস্বস্তিতে রয়েছেন। দেশে তাদের স্বজনরা কেমন আছেন। কতক্ষন ভাল থাকবেন। যারা ছাত্র তাদের নিরাপত্তা কতটুকু।

কারণ পুলিশ খুঁজে বেড়াচ্ছে নাশকতাকারীদের। ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেই যখন নাশকতাকারী ঢুকে তান্ডবলীলা চালিয়েছিল, তাই কাছাকাছিতে দু’চারজন ছাত্র থেকেছেন, নিজের অজান্তে ক্ষোভও ঝেড়েছেন। কিন্তু পুলিশ এসব নাশকতাকারী ও তাদের সহায়তাদানকারীদের সিসিটিভি ফুটেজ বা অন্য কোনো উৎস থেকে সম্পৃক্ততা খুঁজে বের করার জন্য হন্য হয়ে খুঁজছেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যেও বিরাজ করছে চরম আতংক। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আটকের তালিকা দীর্ঘ করতে নিরীহদের আটক করা যাবে না। 

ইন্টারনেট বন্ধ থাকার পর চালু হলেও ধীর গতি। এতে রেমিটেন্সও বাধাগ্রস্ত হয়েছে। সাধারণত যে পরিমাণ আসার কথা সেটা আসছে না। এর দুটি কারণ। একটি হলো ইন্টারনেটসহ নেটওয়ার্কিং এর জন্য। অন্যটা সরকারকে দুর্বল করার জন্য এক শ্রেণীর রাজনীতিবিদ বা প্রবাসীদের আহ্বানে অনেক প্রবাসী তাদের কষ্টের অর্জিত মুদ্রা বৈধ উপায়ে পাঠাচ্ছেন না। নিতান্ত প্রয়োজনে পাঠালেও সেটা হুন্ডিতে। এটাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ থেকে শুরু করে সরকারের কোষাগারে উপর ব্যাপক চাপ পড়তে শুরু করেছে। ইতিমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বৈধ পথে রেমিটেন্স পাঠানোর আবেদন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রবাসীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ দেশে সাধারন শিক্ষার্থীর উপর হামলা ও দেশের বিভিন্ন স্থাপনা বা সম্পদের উপর হামলা প্রতিরোধে ব্যর্থ হওয়ার কারণে। 

এদিকে কোটা সংস্কার করার পর সবকিছু শেষ হয়ে গেছে এটা সরকারের প্রচার মাধ্যমে বলার চেষ্টা করলেও আসলেই ছাত্র আন্দোলন এখনও শেষ হয়ে যায়নি। এর রেশ এখনও বিদ্যমান। ধারণা করা হচ্ছে ৬ সমন্বয়ককে মুক্তি না দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে হতে পারে। আর মুক্তি দিলেও তারা নতুন কোনো কর্মসূচি দিলে সেটাও আবার ঝড় উঠতে পারে। ফলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার এসব ব্যাপারে দুশ্চিন্তায়। 

দেশের রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে যারা সরকারের বিরোধী পক্ষ তারা ছাত্রদের যৌক্তিক আন্দোলন ও সেখানে ঘটে যাওয়া ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে প্রচণ্ড সমালোচনা করছেন। এ ইস্যুতে সরব হচ্ছে তারা। ইতিমধ্যে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এক মঞ্চে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। এতে অনেকগুলো দলের সমর্থন করতে দেখা গেছে। যাদের পরবর্তি টার্গেট সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের। ফলে সবকিছু শেষ হয়ে গেছে এটা ভাববার সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে এবার যোগ হতে পারেন ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব, আহত ও নিহত শিক্ষার্থীর অভিবাকরাও। সব মিলিয়ে গোটা দেশেই এক উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। স্বন্তির কথা মাঠে এখনও সেনাবাহিনী রয়েছে। টহল দিচ্ছে। কার্ফুও বিদ্যমান। কার্ফু পুরোপুরি তুলে নিলে সেনাবাহিনী, বিজিবি ব্যারাকে ফিরে গেলে আবার নতুন কোনো পরিস্থিতির অবতারণা ঘটবে না তার গ্যারান্টি কতটুকু? 

ফলে কখন কী হয় এ নিয়েও একটা থমথমে ভাব সর্বত্র। যদিও ১৮ জুলাই থেকে যে অবস্থা শুরু হয়েছিল সে অবস্থা থেকে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে সবকিছুতে। স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। তবুও উৎকণ্ঠা থেকেই যাচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নাজুক। কোটা আন্দোলনের কারণে গত ১৮ জুলাই থেকে প্রায় এক সপ্তাহ ইন্টারনেট মোটামুটি বন্ধ ছিল। এতে ব্যবসায়ীরা চরমভাবে ক্ষতির সম্মুখীন। প্রবাসীর পাঠানো রেমিটেন্সও বাংলাদেশে পৌঁছানো প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটে। যা দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে। সরকার রেমিটেন্স বৈধ পথে পাঠানোর আকুতি মিনতি করছেন। কিন্তু ইতিমধ্যে রেমিটেন্স না পাঠানোর প্রোপাগান্ডাও চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রয়োজনে হুন্ডির ব্যাবহার করতেও উৎসাহী করা হচ্ছে। এটাও সরকারের জন্য একটা বিভ্রান্তিকর সংবাদ। 

সরকার আশা করছেন সবকিছু দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। কিছুটা ক্ষোভ থাকলেও সেটা ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। তবে একটা শঙ্কা থেকেই যাবে। আর সেটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে। তাছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্টান বন্ধ দীর্ঘায়িত করাও সম্ভবপর নয়। এইএসসি পরীক্ষা চলমান ছিল। যা এ কারণে স্থগিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরাশুনাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। 

এদিকে দেশের কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সতর্ক জাতিসংঘও। বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নিবিড় নজর রাখছে জাতিসংঘ বলে জানানো হয়েছে। মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য তথ্যপ্রমাণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া যেকোনো পরিস্থিতিতে প্রয়োজন হলে জাতিসংঘ মহাসচিব তার ম্যান্ডেট অনুসারে পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ারী দিয়েছেন। ২৯ জুলাই সোমবার মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন। প্রথমে তিনি বাংলাদেশ ইস্যুতে একটি বিবৃতি পাঠ করেন। এরপর প্রশ্নোত্তর পর্ব শুরু করেন। শুরুতেই বিবৃতিতে তিনি সব রকম সহিংসতার দ্রুত, স্বচ্ছ এবং পক্ষপাতিত্বহীন তদন্তের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এর জন্য যারা দায়ী তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশ ইস্যুতে আমার কাছে আপডেট আছে। আমি আপনাদের বলতে পারি যে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। একই সঙ্গে এই ইস্যুতে বিশ্বের প্রায় সকল মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সুষ্ঠু সমাধানের আহ্বান জানায়। 

দেশে অনেকের দৃষ্টি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দিকেও। ছাত্র আন্দোলন স্তিমিত হলে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহ আবার কী আন্দোলন নিয়ে মাঠে নামে। ইতিমধ্যে এ শঙ্কার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই (কোটা সংস্কার সংক্রান্ত আন্দোলন) সরকার পতনের আন্দোলনের রূপ দিতে চায় সেটা আমরা জানি। তিনি এ সময় বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করেও বক্তব্য রাখেন। 

দেশের যে অর্থনৈতিক অবস্থা তাতে দেশে এখন সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ খুবই জরুরি। এর ব্যতিক্রম মানেই অর্থনীতির উপর রিজার্ভের উপর ব্যাপক চাপ পড়বে এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)