বাংলাদেশের এখন ক্রান্তি লগ্ন। একটি গণবিস্ফোরণের পর দেশ ঘুরে দাঁড়াতে সংগ্রাম করছে। এই মুহূর্তে হঠকারিতার কোন অবকাশ নাই। সবাইকেই দায়িত্ব বোধের পরিচয় দিতে হবে। সবাই সবাইকে চিনে জানে। নিজেদের মধ্যে বিভেদ কলহ করে ৫৩ বছর কেটে গেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশে সব দল মতের সহ অবস্থান নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মূল দায়িত্ব। রাজনীতি রাজনীতিকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। বিভিন্ন সময়ে পতিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ,বিএনপি ,জাতীয় পার্টি ,জাময়াত সহ সকল রাজনৈতিক দলকে পরিশুদ্ধ হয়ে জনগণের কাছে সেবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
মেধাবী বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্ম বিপ্লব ঘটিয়ে প্রমান করেছে জন বিচ্ছিন্ন হয়ে কিভাবে একটি জনপ্রিয় দলের করুন পরিণতি হতে পারে। আমি মনে করি ছাত্ররা তরুণ সমাজ তাদের কাজ করে দিয়েছে। এখন নিজেরা সদা সচেতন থেকে ওদের পড়ার টেবিলে ফিরে যাওয়া উচিত। দেশ ,সরকার পরিচালনায় ওদের ভূমিকা আছে। তাই বলে প্রতিটি বিষয়ে ওদের নাক গোলানো উচিতটি হবে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে অনেক প্রভাবশালী দেশ নাক গলাচ্ছে। নোবেল লরিয়েট পরিস্থিতির গভীরে ঢুকে সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিবেন সেই ভরসা আছে। প্রতিদিন বসন্ত আসে না. বাংলাদেশের অভুদ্যয়ে যাদের এবং যে দলগুলোর ভূমিকা আছে তাদের নিয়েই পথ চলতে হবে. এই ক্ষেত্রে বিভেদ সৃষ্টির অবকাশ নেই।
একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এখানেও নানা মতের মানুষ আছে। সল্পতম সময়ে পাহাড়সম সংস্কার কাজ করতে হবে। প্রাধিকার নির্ধারণ করে জনগণের আস্থা অর্জন জরুরি। একই সঙ্গে সকল হত্যা ,ধ্বংসযজ্ঞের বিচার করতে হবে. মনে রাখতে হবে এই জাতি যুদ্ধ করে দেশ পেয়েছে। বঙ্গবন্ধু সহ জাতীয় বীরদের বিশাল অবদান আছে. জাতীয় নেতাদের কোনভাবে অসম্মান করা সঠিক হবে না।
অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করবো মুজিব নগর স্মৃতিসৌধ , বঙ্গবন্ধু জাদুঘর সহ সকল জাতীয় ঐতিহ্য সংরক্ষণ করতে। সকল জাতীয় নেতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতার প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করতে।
বিভেদ নয় , একতাই হোক এগিয়ে যাবার মূলমন্ত্র।