পঞ্চম সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের রুল


বিশেষ প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 21-08-2024

পঞ্চম সংশোধনী নিয়ে হাইকোর্টের রুল

শেখ মুজিবুর রহমানকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল, জাতীয় সংসদে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত আসন সংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করার মতো সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী এনেছিল শেখ হাসিনার সরকার ২০১১ সালে। সে সংশোধনী কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে ১৯ আগস্ট রুল দিয়েছে হাইকোর্ট। 

এ সংক্রান্ত এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকারের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গত ১৯ আগস্ট এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শরীফ ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্র পক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।

এর আগে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক রিটটি দায়ের করেন। রিটে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দাবি করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৩০ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আনা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপসহ কয়েকটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয়। রাষ্ট্রপতি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তাতে অনুমোদন দেন।

ওই সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের পাশাপাশি শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া জাতীয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনসংখ্যা ৪৫ থেকে বাড়িয়ে ৫০ করা হয়, সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা পুনর্বহাল করা হয়। রাষ্ট্রীয় মূলনীতি হিসেবে জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি সংযোজন করা হয়।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)