আসছে বিপ্লবী সরকারের ঘোষণা


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 01-01-2025

আসছে বিপ্লবী সরকারের ঘোষণা

অবশেষে এক অনিশ্চিত অবস্থার অবসান হলো। নিশ্চিত রাজনীতির অমানিষার অন্ধকার বা সংকটের হাতে থেকে রক্ষা পেল জাতি। নানাবিধ কারণে অন্তবর্তী সরকার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সাথে দূরত্ব তৈরি করা হয়েছিলো। সরকারের মধ্যে থাকা একটি অংশ এই নোংরা খেলায় অংশ নিয়েছিলো। যে কারণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের হার্ড লাইনে যেতে হয়েছিলো। হাতে নিয়েছিলেন কঠোর কর্মসূচি। কথা ছিলো ৩১ ডিসেম্বর তা ঘোষণা করার। অবশেষে সরকারের সাথে তাদের সমঝোতা হয়েছে। এখন বিপ্লবের ঘোষণাপত্র সমঝোতার মাধ্যমে প্রকাশ করবে সরকার। এটা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। অন্যদিকে ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ প্রকাশ নয়, (৩১ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ২৯ ডিসেম্বর সোমবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছে তারা। অবস্থা অনুসারে বুঝা যাচ্ছে বিপ্লবী সরকারের পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবারের কর্মসূচি তুলে ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল বলেছেন, ‘আজ ৩১শে ডিসেম্বর, মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে “মার্চ ফর ইউনিটি” কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো। বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহ্বান, আপনারা যে উদ্দীপনায় সংগঠিত হয়েছেন, তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবেন।’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা গত ২৮ ডিসেম্বর রোববার সংবাদ সম্মেলন করে জানান, তাঁরা মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দেবেন। সংগঠনের নেতারা ঘোষণাপত্রে দুটি মৌলিক বিষয়ের উল্লেখ করেন। তাতে ১৯৭২ সালের সংবিধানকে ‘মুজিববাদী সংবিধান’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর ‘কবর’ রচনা করা এবং ‘নাৎসিবাদী আওয়ামী লীগকে’ বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক ঘোষণা করার কথা থাকবে।

এই ঘোষণাপত্র নিয়ে বিএনপিসহ মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলো স্পষ্ট কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এ বিষয়ে দলগুলোর কারও কারও মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। তারা মনে করছে, ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করার আগে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন ছিল। তা না করে হঠাৎ কোনো ঘোষণা বিভাজন তৈরি করবে। তবে কোনো কোনো দল ছাত্রদের ওই উদ্যোগকে নৈতিকভাবে সমর্থন জানায়।

এ নিয়ে দিনভর রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনার মধ্যে রাত পৌনে নয়টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে জরুরি প্রেস ব্রিফিং করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গ্রহীত হবে।

সরকারের এ ঘোষণার পর ৩০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। বিষয়টি নিয়ে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈঠকে বসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।

বৈঠক শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন। প্রথমে কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক ও বর্তমানে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। তিনি বলেন, ৩১ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় শহীদ মিনারে ঘোষণাপত্রটি আসার কথা ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তার জায়গা থেকে পুরো বাংলাদেশকে একটি ঐক্যবদ্ধ জায়গায় এনে অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সকলকে সম্পৃক্ত করে ঘোষণাপত্রটি দেওয়া উচিত বলে অনুভব করেছে।

সারজিস বলেন, ‘আমাদের জায়গা থেকে আমাদের যে জিনিসটি মনে হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী প্ল্যাটফর্মের চেয়ে রাষ্ট্র যখন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন দায়িত্বটি নিয়ে নেয়, আমরা আমাদের জায়গা থেকে এ বিষয়টিকে সাধুবাদ জানাই।’

পরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল মঙ্গলবারের কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আবির্ভূত জন-আকাঙ্ক্ষা তথা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপ ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত কায়েমের প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশ এক ঐতিহাসিক পটভূমিতে আবির্ভূত হয়েছে। হাজারো শহীদ ও আহত যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি ও জন-আকাঙ্ক্ষার দলিলস্বরূপ জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র অত্যাবশ্যক ছিল। এই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের ঐতিহাসিক দায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারী সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর বর্তায়।’

আরিফ সোহেল বলেন, ‘নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে এই ঐতিহাসিক ঘোষণাপত্রের প্রণয়ন ও ঘোষণার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলাম। আমাদের উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের আপামর ছাত্র-জনতার মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ত ও ইতিবাচক সাড়া সঞ্চারিত হয়েছে। এমতাবস্থায় ছাত্র-জনতার আহ্বানে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতা এই সময়পোযোগী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।’

এর আগে রাত পৌনে একটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবের ঐতিহাসিক দলিল যাতে আমরা উপস্থাপন না করতে পারি, সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু সরকার এটির ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। এটা আমাদের প্রাথমিক বিজয়।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ঘোষণাপত্র নিয়ে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু সেই ষড়যন্ত্রে পেরেক মেরে দিয়েছে আমাদের অন্তর্বর্তী সরকার। তারা বলেছে, সরকারের জায়গা থেকে ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে।’

জনগণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আমরা পূর্ববর্তী যে কর্মসূচি দিয়েছি, আমরা বিপ্লবীরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একত্রিত হব। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র আসবে, কিন্তু তাই বলে আমাদের একত্রিত হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে না। শহীদ মিনারে আহত থেকে শুরু করে শহীদ পরিবার এবং ঢাকা শহরের মা ও বোনেরা যেভাবে ৫ আগস্ট রাজপথে নেমে এসেছিল, সেভাবে প্রোক্লেমেশনের পক্ষে রাজপথে নেমে আসবে।’

কেন প্রয়োজন হলো জুলাই ঘোষণাপত্রের? 

৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন রূপে ক্রাইসিস মুহূর্ত সৃষ্টি করা হয়েছে। যার সর্বশেষ, বাংলাদেশ সচিবালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ একটা স্থানে নাশকতামূলক কর্মকান্ড। প্রথমে আমলাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন। এরপর গভীর রাতে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়। এটা যে ছিল পরিকল্পিত সেটা স্পষ্ট। একসঙ্গে আগুন একটা দীর্ঘকায় বিল্ডিংয়ের দুইপ্রান্তে লাগতে পারে না। এ নিয়ে তদন্ত চলছে দেশ ও বিদেশে। 

এদিকে ছাত্র জনতার বীরগাথা গণঅভ্যুত্থানের দিনগুলো ম্লান হতে বসেছে। ভূলতে বসেছে মানুষ। হারিয়ে যেতে বসেছে ছাত্র জনতার আত্মদানের কথা। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে সেদিনকার লড়াইয়ে কোটি কোটি মানুষের সাপোর্ট থাকলেও সেটা এখন ম্লান হতে বসেছে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র এবং কিছু ভুল তথ্যের উপস্থাপনের কারণে। অভ্যুত্থানের পর যে সরকার গঠিত হয়েছে, সেখানে ছাত্র প্রতিনিধি উপদেষ্টা হিসেবে থাকলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় তাদের প্রভাব তেমন নেই। অনেকটাই আড়াল করে চলছে পুরানো সেই গতানুগতিক ধারার রাষ্ট্রপরিচালনা। ড. ইউনূসও কিছুটা নির্বিকার মনে হচ্ছে। কোথাও যেন একটা লড়াই হচ্ছে, যে লড়াইয়ে ছাত্র জনতার প্রতিনিধি ও প্রফেসর ড. ইউনূস পেরে উঠছেন না! তবে প্রকাশ্যে না বললেও এর পেছনে পতিত আওয়ামী লীগের অদৃশ্য ইশারা রয়েছে। আর যে ইশারায় এমন নাশকতামূলক বা অর্ন্তঘাতমূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সাধারণ মানুষের সামনে ব্যর্থ করে দেয়া ও প্রশ্নবিদ্ধ করার একটা চেষ্টা চালাচ্ছে বলেই সকলের ধারণা। 

এমন প্রেক্ষাপটে অভ্যুত্থানের যে পট পরিবর্তনের সুফল সেটা অনেকাংশই পৌঁছেনি সাধারণ মানুষের কাছে। স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের যে স্পিরিট ছিল, সে স্পিরিট অন্তর্বর্তী সরকারে অনুপুস্থিত। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের যে সেচ্ছাচারিতা, গুম খুন, হত্যাকান্ডসহ আলোচিত নানা ঘটনা, দ্রব্যমুলের উর্দ্ধগতি রোধ করাসহ সাধারণ মানুষের যে কিছু মৌলিক চাহিদা ও যে প্রত্যাশায় কোটি কোটি মানুষ ছাত্র জনতাকে প্রাণভরে সাপোর্ট দিয়েছিল, জনতার সে আশা ফিকে হতে চলেছে। এসব কিছুর দায়ভার কিন্তু রাষ্ট্রপরিচালনায় থাকা ব্যাক্তিবর্গের উপর যাচ্ছে না, সরাসরি পড়ছে গিয়ে সেই বুক পেতে গুলি খাওয়া ছাত্র জনতার উপর। মানুষ এখন বলতে শুরু করেছেন, ‘তাহলে গণঅভ্যুত্থান না হলেই সম্ভবত ভাল ছিল।’ এটা তারা মণ থেকে বলছেন না, বলছেন অভিমান থেকে। 

ছাত্ররা সেটা অনুমান করতে পেরেছে। এ জন্যই তাদের কিছু ভূল যে ছিল আগস্টের ৫ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত। সেগুলো শুধরে নিতে উদ্যোগী হয়েছে। যে ঘোষণাটা তারা শহীদ মিনারে ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে দেয়ার প্রয়োজনীয়তা ছিল, অজ্ঞাত কারণে সেটা তারা দিতে পারেনি। কিছুটা অনভিজ্ঞতার কারণেই এ কাজটা হয়েছে। এবার সেটা পুষিয়ে দিতে চান তারা এ ২০২৪ এর আন্দোলন ২৪ এ সনেই। এ জন্য তারা বেছে নিয়েছে ৩১ ডিসেম্বর। যে দিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতা ঘোষণা দেবে তাদের আন্দোলন পরবর্তি সে প্রেক্ষাপটের চাহিদাসমুহ, দাবিসমূহ। যার মধ্যে মুজিববাদের কবর, ’৭২ এর সংবিধানের কবর ও আওয়ামী লীগ চিরতরে বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক করে দেয়ার ঘোষনা দেয়া হতে পারে বলে সমন্বয়কগণ বলছেন। 

সবার আগ্রহ কি রয়েছে এই ঘোষণাপত্রে। জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের খসড়া গণমাধ্যমকে জানিয়েছে সংগঠনটি। এতে বলা আছে, যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্তির জন্য ১৯৪৭ সাল যুদ্ধ করেছে, যেহেতু পাকিস্তান ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে, যেহেতু ১৯৭২ এর সংবিধান আমাদের জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারেনি, যেহেতু মার্শাল ল’ এবং সাংবিধানিক সংশোধনীসমূহ ক্রমান্বয়ে রাষ্ট্রকে দুর্বলতম করেছে। 

এই উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস হয়েছে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে ব্যর্থ হয়েছে। খসড়ায় আরও উল্লেখ রয়েছে, যেহেতু বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে ফ্যাসিস্ট শাসন কায়েম করার ক্ষেত্রে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে; পিলখানা, শাপলা চত্বর গণহত্যা, বিচার বিভাগীয় হত্যা, সংখ্যালঘুদের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে; ছাত্র-জনতা এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। রাজাকারের নাতি হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের ব্যক্তিত্ব ও মর্যাদা লুণ্ঠিত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ফ্যাসিস্ট শাসন দীর্ঘস্থায়ী কারার ক্ষেত্রে বেপরোয়া ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)