যুক্তরাষ্ট্রে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্টান আমন্ত্রিত তারেক রহমান


বিশেষ প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 11-01-2025

যুক্তরাষ্ট্রে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্টান আমন্ত্রিত তারেক রহমান

যুক্তরাষ্ট্রে ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তিন শীর্ষ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, গতকাল (শুক্রবার) যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস থেকে বিএনপি মহাসচিবকে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে গেছে। বিএনপির অন্য দুই জন সদস্য হলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম ইসলাম ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।


ইউএস কংগ্রেসনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বে আগামী ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি ওয়াশিংটন ডিসিতে এই ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ অনুষ্ঠানটি হবে।
‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্ট’ যুক্তরাষ্ট্রের একটি বার্ষিক অনুষ্ঠান। এটি সাধারণত ফেব্রুয়ারির প্রথম বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসি’তে অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থনা এবং আন্তঃধর্মীয় সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতাদের একত্র করার প্ল্যাটফর্ম এটি।

এ অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ এর মধ্যে শুধু পুরুষদেরই আমন্ত্রন জানানো হয়। মেয়েদের নয়। ফলে বিগত সময়ে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও তাদের আমন্ত্রন জানানো হয়নি। যতদুর জানা গেছে এর আগে বাংলাদেশ থেকে একমাত্র হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ এ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন পেয়ে যোগ দিয়েছিলেন।

সে দিক বিবেচনা করলে বাংলাদেশের আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি হিসেবে তারেক রহমানকে আমন্ত্রন জানানো, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির এ নেতাকে গুরুত্ব সহকারে দেখছেন বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।


স্বস্থির নিঃশ্বাস সর্বত্র

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুষ্ঠানে বিএনপিকে আমন্ত্রন এমনকি বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক রহমানকে আমন্ত্রন জানানো অনেক তৎপর্যপূর্ণ। এই এক আমন্ত্রনে- দেশ ও বিদেশে চলমান অনেক বিতর্কে কিছুটা হলেও শান্তির পরশ বুলিয়ে দেবে।


বিশেষ করে গত ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার পর থেকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছিল অন্তর্বর্তী সরকারকে। শেখ হাসিনা চট করে ঢুকে পরবে। ভারত আবারও শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে পূণঃপ্রতিষ্ঠা করবে। বিএনপি পাত্তাও পাবে না। আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতা বসবে অনেক কিছু। ভারতীয় কতিপয় ব্যক্তিবর্গ, মিডিয়া এ ব্যাপারে অনেক ইঙ্গিত দিয়ে গেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বাইডেনকে হারিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ট্রাম্প এক হাত নেবে- এমন অনেক কথা ভাসছিল আকাশে বাতাসে। আওয়ামী লীগ গুলিস্থানে বিজয় মিছিল করবে ট্রাম্পের ছবি নিয়ে কেননা ট্রাম্প নরেন্দ্র মোদীর বন্ধু! এসব দৈবিক কথাবার্তা নিয়ে। ওটা নিয়ে কম কিছু হয়নি।


কিন্তু বাস্তবে এগুলো গুজব হিসেবেই চিহ্নিত হয়ে রয়েছে। এরপর যেটা তা হলো ট্রাম্প ১৯ জানুয়ারী ক্ষমতা গ্রহনের পর বাংলাদেশের নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছেন। কেননা এ ধরনের বিশ্লেষন হয়েছে তারেক রহমান ও বিএনপিকে কেন্দ্র করে। অনেক সুশীল বলতে চেষ্টা করেন, তারেক রহমান বা বিএনপির উপর কোনো আস্থা নেই ভারতের, যুক্তরাষ্ট্রের বা ট্রাম্পের। হ্যাঁ, বাইডেন হলে কোনো কথা ছিল না। কিন্তু ট্রাম্প দ্বায়িত্ব নিয়ে হয়তো সরাসরি বা ভারতের মাধ্যমে বাংলাদেশের নীতিতে বড় পরিবর্তন ঘটাবেন। এমন ভীতি এখনও ছড়ানো হচ্ছে বিভিন্নভাবে।


তবে বাংলাদেশের জনগনও একট্টা। যেমনটা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাঝানো ক্ষমতার মসনদ জুলাই বিপ্লবে তছনছ করে দিয়ে দেশ ছাড়া করেছে- সেখানে জনগন ঐক্য থাকলে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় ফিরবে বা রাজনীতিতে ফিরবে এবং এত তাড়াতাড়ি সেটা সম্ভবত সম্ভবপর নয়। কারন সেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা সদা সোচ্চার।  


এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি ও দলটির তিন শীর্ষপদের নেতাকে আমন্ত্রন জানানো- কিছুটা বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে। এবং এ আমন্ত্রনের মাধ্যমে বিএনপি ও তারেক রহমানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ও তারেক রহমানের প্রতি দেশটি ও নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যে পজেটিভ নীতি সেটা এক নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত মিললো। এতে করে ভারতপন্থী কতিপয় মানুষের ও আওয়ামী লীগের যে প্রপাগান্ডা সেটা সম্ভবত জলে ডুবতে শুরু করলো।

যদিও এটা যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্টীয় কোনো অনুষ্ঠান নয়। তবু এখানে বিভিন্ন দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ থাকবেন যাদের সাথে ট্রাম্পও কুশল বিনিময় ও সাক্ষাত করার সম্ভাবনা থাকবে। ফলে এমন আমন্ত্রনে শান্তি প্রিয় মানুষ, ভোটের জন্য উদগ্রীব থাকা বাংলাদেশের সাধারন মানুষ আপাতত কিছুটা হলেও স্বস্থির নিঃশ্বাস ছাড়লো বৈ কি!



প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)