এখনো বদলাতে পারছে না জামায়াত


সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ , আপডেট করা হয়েছে : 05-02-2025

এখনো বদলাতে পারছে না জামায়াত

সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক একসময়ে ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল। এর পরে এবি পার্টির প্রধান উপদেষ্টাও হন তিনি। পরে এই পদ থেকেও সরে দাঁড়ান। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী সাংবাদিক ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাকের কাছে একটি প্রশ্ন রাখেন। প্রশ্নটি হুবহু তুলে ধরা হলো : 

প্রশ্ন : আপনি (ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক) জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেকেই আপনাকে জামায়াতের মধ্যে উদারপন্থী বা সংস্কারপন্থী হিসেবে বিবেচনা করতেন। কিন্তু দেশের বাইরে থাকা অবস্থায় ২০১৯ সালের শুরুর দিকে আপনি দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আপনার পদত্যাগের সেই প্রেক্ষাপট সম্পর্কে একটু বিস্তারিত বলবেন?

ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, ‘জামায়াতে পদত্যাগের কোনো রীতি নেই। দু-একজন পদত্যাগ করলেও সেটি চুপি চুপি করেন। আমি দীর্ঘ ৩৩ বছর জামায়াতে ছিলাম। এ কারণে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি কেন পদত্যাগ করেছি, তা দলের লোকদের জানা উচিত। সেই সময় প্রথম আলোসহ বিভিন্ন পত্রিকায় আমার পদত্যাগের কারণ নিয়ে একাধিক খবর প্রকাশিত হয়েছিল। যা বলার আমি সেই সময়েই বলেছিলাম, এখন নতুন করে কিছু বলতে চাই না। এরপর ওই প্রত্রিকাটি সাংবাদিক এর পর আরেকটি প্রশ্ন করেন। জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেন, ‘দল থেকে পদত্যাগ করে আপনি (ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক) যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন, তাতে বলেছিলেন, জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চায়নি। আপনি মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভূমিকা সম্পর্কে দায়দায়িত্ব গ্রহণ করে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। আপনার সেই পরামর্শ বিবেচনায় নিয়ে জামায়াত কি কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করেন?

সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের উত্তরে ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক সাফ সাফ বলে দেন, ‘আপাতত আমরা তেমন কিছু দেখছি না। ’

জামায়াত বদলাচ্ছে না

আসলে জামায়াত বদলাচ্ছে না, খুব শিগিগির বদলাবে বলে মনে হচ্ছে না বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল। কিন্তু জামায়াত যে বদলাবে না বা বদলাতে চাইছে না এর প্রমাণ পাওয়া গেলো সম্প্রতি আরো একটি ঘটনায়। ঘটনাটি ছিলো ’বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীতাকারী জামায়াতের ইসলামী’র ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রশিবিরের মাসিক প্রকাশনা ‘ছাত্র সংবাদ’-এর এক প্রবন্ধে নিয়ে। সারাদেশে তোলপাড় বহে যায় এই বলে যে, জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির’এর ওই প্রকাশনায় ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে”। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে দেখা গেলো যে, গত বছরের ডিসেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত ‘ছাত্র সংবাদ’-এ প্রকাশি ওই প্রবন্ধে লেখা হয়েছে যে ‘মুসলিমরা না বুঝে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়েছিল’ বলে উল্লেখ করা হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিতর্কের ঝড় ওঠলে ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে এটাকে ‘লেখকের দায়’ বলে বর্ণনা করা হয়। কিন্তু অন্যদিকে প্রবন্ধের লেখক আহমেদ আফগানী বলেছেন, গবেষণার ভিত্তিতে তিনি সঠিক লিখেছেন। লেখা প্রত্যাহার নিয়ে ভাবছেন না। পাল্টা ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রবন্ধের লেখক আহমেদ আফগানী এসবের বক্তব্যের ব্যাপারে একরোখাভাবে ব্যাখ্যাও দেন। অবশ্য পরে ওইদিন সন্ধ্যায় প্রবন্ধের বক্তব্যটি একান্ত লেখকের ‘ব্যক্তিগত মতামত’ এবং এর সঙ্গে পত্রিকার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানায় ‘ছাত্র সংবাদ’ এর পক্ষ থেকে । যাকে গা বাঁচানো একটি বক্তব্য হাজির করা হয়ে বলে কারো কারো অভিমত। 

আসলেই বদলাবে না জামায়াত?

প্রশ্ন হচ্ছে ‘ছাত্র সংবাদ’ প্রবন্ধের লেখক আহমেদ আফগানী কি মনমানসিতার বা কি চেতনা ধারণ করেন তা ছাত্র শিবির বা জামায়াতের বোদ্ধারা ভালোভাবেই জানেন। তার চিন্তা চেতনা ছাত্র শিবির বা জামায়াতের সাথে খাপ না খেলে ‘ছাত্র সংবাদ’ এ লেখা প্রকাশের কোনো সুযোগই পেতো না-এটা স্বাভাবিক। যদিও প্রবন্ধের লেখক আহমেদ আফগানীর লেখাটি প্রকাশেরর পর বিতর্কের ঝড় সামাল দিতে পারেনি ছাত্র সংবাদ কর্তৃপক্ষ, পিছুটান দিয়েছে তোপের মুখে পড়ে। আর সাথে সাথে বলা যায় বক্তব্যটি একান্ত লেখকের ‘ব্যক্তিগত মতামত’ এবং এর সঙ্গে পত্রিকার কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানায় ‘ছাত্র সংবাদ’ এর পক্ষ থেকে গা বাঁচানো একটি বক্তব্য দিয়ে তাকেই (লেখক আহমেদ আফগানী) ছুঁড়ে ফেলা দেয়া হয়। এর পাশিাপাশি জামায়াত শিবির সমর্থিত এই লেখক দম্ভের সাথে সাফ জানিয়ে দেন, গবেষণা কাজের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ১৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধার সাক্ষাৎকার নিয়ে তাদের থেকে এ ধরনের মন্তব্য পেয়েছেন বলে উল্লেখ করে তিনি লেখেন, ‘অতএব আমি আমার মন্তব্যের জন্য বিব্রত নই।’

এদিকে ‘ছাত্র সংবাদ’ প্রকাশিত প্রবন্ধটি নিয়ে তোলাপাড় এখনো বহেই যাচ্ছে। ইতোমধ্যে এমন ঘটনারই সূত্র ধরে বক্তব্য দিয়েছেন বিবৃতি দিয়েছেন। এমন বিবৃতির সার কথা হলো জামায়াত শিবির বদলাবেই না। দেখা যাক কে কি বললেন-

ফুসে উঠেছে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা

ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রকাশনায় মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননার তীব্র নিন্দা ও ঘৃণা জানিয়েছেন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা। তারা আহমেদ আফগানীর তথাকথিত গবেষণার একটি সুন্দর জবাব দেন রণাঙ্গনের ওই মুক্তিযোদ্ধারা। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ছাত্র শিবিরের দলীয় প্রকাশনায় জনৈক আহমেদ আফগানী “অনেক মুসলিম না বুঝেই মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিলো” এই ধৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য প্রমাণ করে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের পরাজিত শক্তি জামাত শিবির এখনও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শতকরা পঁচানব্বই ভাগই ছিল মুসলিম। আমরা তৎকালীন পাকিস্তাানী শাসকগোষ্ঠি বাঙ্গালী জনগোষ্ঠির প্রতি চরম বৈষম্য শোষণ, বঞ্চনা মা-বোনের ইজ্জত সম্মান রক্ষা ও নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে গণহত্যার বিরুদ্ধে সবকিছু বুঝে শুনেই দেশ মাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে সর্ব্বোচ আত্মত্যাগের ব্রত নিয়েই মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকেও বিষয়টা নায্য ও যৌক্তিক ছিল বিধায় দেশের শতকরা নিরানব্বই ভাগ মানুষই সেটাকে সমর্থন ও প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিবৃতিদানকারী মুক্তিযোদ্ধাদের হলেন মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ক্যাপ্টেন (অবঃ) নুরুল হুদা, আব্দুল সালাম, এ্যাডঃ ফজলুর রহমান, লেঃ কর্নেল (অবঃ) জয়নাল আবেদনী, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদের আহমেদ খান, মিজানুর রহমান খান বীর প্রতীক, এম এ শহীদ বাবলু, মোকশেদ আলী মঙ্গোলিয়া, মুজিবুর রহমান ছানা, জাহরুল আলম তরফদার, প্রকৌশলী আব্দুল হালিম, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, মোস্তফা শাহাবুদ্দীন রেজা, মোঃ ওবায়দুল হক ভূইয়া, মোবারক হোসেন, মোঃ কামাল উদ্দিন, আব্দুল হাকিম খান, মোঃ শরীফ হোসেন, আনোয়ারুল আলম, মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, আব্দুল বাসেদ, প্রিন্সিপাল আব্দুল নোমায়েন, প্রিন্সিপাল আব্দুল কাইয়ুম, এ্যাডঃ মুজিবুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির, আব্দুল কাদের, মোঃ গাউস মিয়া, কমান্ডার আফজাল হোসেন, নূর ইসলাম, নুরুল বাশার, এইচ আর সিদ্দিকী সাজু, মহিউদ্দিন আহমেদ শাহজাহান, কমান্ডার ইউসুফ মৃধা, রফিকুল ইসলাম, এমএ বারী, এসএম কামাল, মজিবুর রহমান বাদল, জয়নাল আবেদীন।

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিক্রিয়া

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী ও ইতিহাস বিকৃতকারী শক্তির আস্ফালন রুখে দেওয়ার আহ্বান বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি মাহির শাহরিয়ার রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন শুভ এক বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বলা হয় যে, বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের বিরোধিতাকারী ও একইসাথে গণহত্যাকারী ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্র সংঘের সরাসরি উত্তরাধিকার, ইসলামী ছাত্র শিবিরের মুখপত্র ‘ছাত্র সংবাদ’ পত্রিকায় বিজয়ের মাস ডিসেম্বর সংখ্যায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ধৃষ্টতাপূর্ণ অপচেষ্টা সকলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতির সম্পাদনায় প্রকাশিত পত্রিকাটিতে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করায় মুক্তিযোদ্ধারা ইসলামের বিরুদ্ধাচারণ করেছেন বলে মন্তব্য করা হয়েছে। আরও মন্তব্য করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের ওপর আঘাত। এ ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নানা রাজনৈতিক দলকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী আখ্যা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর অবস্থানকে সঠিক প্রমাণের চেষ্টা করা হয়েছে।

মুখ খুললেন মাহফুজ আলম

‘ছাত্র সংবাদ’ প্রবন্ধের লেখক আহমেদ আফগানী’র এমন বক্তব্য যখন প্রকাশ পায় তখন দেশজুড়ে প্রচারণা পাচ্ছে যে, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের কারো কারো চরম আস্কারা পেয়ে জামায়াত-শিবির এমন আচরণ করছে। যদিও ‘ছাত্র সংবাদ’ প্রবন্ধের লেখক আহমেদ আফগানী’র এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে কিছু বলেননি বা উল্লেখ করেননি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি মন্তব্য ছিল ইঙ্গিতপূর্ণ। বিতর্কের মধ্যেই উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের জন্মকে স্বীকার করেই এ দেশে রাজনীতি করতে হবে। ছাত্র সংবাদের প্রকাশিত প্রবন্ধ নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও মাহফুজ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা যাবেন, তারাও মজলুম বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে অতীতে পরাজিত হয়েছেন, সামনেও পরাজিত হতে বাধ্য। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর কী হয়েছে, তা নিয়ে সমালোচনা করুন। ইতিহাস পর্যালোচনা করুন। কোনো সমস্যা নেই। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের সময়ে কী কী ঘটেছে, তা নিয়েও তর্ক উঠতে পারে। কিন্তু সে সবই হবে মুক্তিযুদ্ধকে মেনে নিয়ে। এদিকে মাহফুজ আলমের পোস্টটি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাদের ওয়ালে শেয়ারও করেন যা ছিল বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ। 

শেষ কথা

জামায়াতের ইসলামীর ভাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রশিবিরের মাসিক প্রকাশনা ‘ছাত্র সংবাদ’-এর এক প্রবন্ধে নিয়ে অনেকে অনেক মন্তব্য বক্তব্য এখনো দিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনটির এমন আচরণ ও তাদের মন যে এখনো পাকিস্তানে পড়ে আছে তা অতীতের বহুজন বহুবার বিভিন্নভাবে বলেছেন। কারো কারো মতে বা আশঙ্কা ছিল সময় সুযোগ বুঝে এই জামায়াত-শিবির হয়তো আবারো ছোবল দেবেই..ফিরে যাবে তাদের আগের আসল চরিত্রে। ‘ছাত্র সংবাদ’-এর এক প্রবন্ধটি তার-ই আভাস কি-না হয়তো সময় বলে দেবে। কারো কারো ধারণা জামায়াত-শিবির সমর্থিত হয়তোবা কোনোভাবে বা ধারণা পেয়েছে যে তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের খুব কাছের বা আস্থাভাজন হয়ে গেছে। আর একারণে ‘ছাত্র সংবাদ’-এর এমন প্রবন্ধ ছাপাতেও সাহস পেয়ে গেছে। তবে এধরনের তত্ত্ব ও গবেষণার দোহাই দিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রবন্ধ প্রকাশের মধ্য দিয়ে একটা বিষয় পরিষ্কার যে, একাত্তরে স্বাধীনতাবিরোধী এই জামায়াত-শিবির যে এখনো বদলায়নি বা বদলাবেও না।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)