জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ বজায় রেখেছে কোর্ট


দেশ রিপোর্ট , আপডেট করা হয়েছে : 26-02-2025

জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ বজায় রেখেছে কোর্ট

আপিলস কোর্ট ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ বজায় রেখেছে। কোর্ট অব আপিলস ট্রাম্প প্রশাসনকে অভিবাসীদের সন্তানদের জন্য জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বন্ধ করার অনুমতি দেয়নি এবং এটি একটি সুপ্রিম কোর্টের সম্ভাব্য মোকাবিলার পথ তৈরি করেছে। ৯ম ইউএস সার্কিট কোর্ট ১৯ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে সিয়াটলের ফেডারেল বিচারক জন কোফেনাউরের দেওয়া জাতীয় নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ প্রদান করার জন্য করা জরুরি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। তবে বিচারপতি ড্যানিয়েল ফরেস্ট, উইলিয়াম ক্যানবি এবং মিলান স্মিথ সমন্বয়ে গঠিত প্যানেল তা প্রত্যাখ্যান করেছে এবং জুন মাসে মামলার ওপর শুনানি নির্ধারণ করেছে। বিচারকের দ্বারা জারি করা স্থগিতাদেশ বাতিল করার একটি জরুরি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সিয়াটল বিচারক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশকে সংবিধানবিরোধী বলে নির্ধারণ করেছিলেন।

বিচারপতি ফরেস্ট তার মতামতে উল্লেখ করেছেন যে, কোনো দ্রুত সিদ্ধান্ত দেওয়া বিচারকদের প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষত্নু করতে পারে, যারা তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো রাজনৈতিক বা আদর্শগত পক্ষপাতিত্ব ছাড়া কাজ করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেছেন যে, এমন পরিস্থিতি স্পষ্ট কোনো জরুরি অবস্থা সৃষ্টি করে না, যেখানে সরকার যে জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত ব্যতিক্রম তা বিচারব্যবস্থায় কখনো স্বীকৃত হয়নি। ৯ম সার্কিট প্যানেলের মধ্যে ছিলেন ট্রাম্পের মনোনীত একজন বিচারক, জিমি কার্টারের মনোনীত একজন বিচারক এবং জর্জ ডব্লিউ বুশের মনোনীত একজন বিচারক। তারা জানায় যে, মামলাটির ওপর আরো নিবিড় পর্যালোচনা চলবে এবং জুন মাসে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এ মামলা, যা সান ফ্রান্সিসকোভিত্তিক আপিলস কোর্টে শুনানি হয়েছে, এটি একটি বড় আইনি চ্যালেঞ্জের অংশ এবং প্রথমবারের মতো একটি আপিলস প্যানেলের ওপর মতামত প্রদান করেছে। কেসটি শেষ পর্যন্ত ইউএস সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছতে পারে।

ডেমোক্রেটিক স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল, অভিবাসী অধিকার সংগঠন এবং অন্যরা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে একটি সিরিজ মামলা দায়ের করেছে, যেখানে তারা দাবি করেছেন যে, এটি মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর অধীনে নাগরিকত্বের অধিকারকে লঙ্ঘন করে। তাদের মতে, ১৮৯৮ সালে ‘ইউনাইটেড স্টেটস বনাম ওয়াং কিম আর্ক’ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল যে, ১৪তম সংশোধনী জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার দেয়, তা জাতির অভিবাসন স্থিতি যাই হোক না কেন।

বিচার বিভাগের আবেদনে বলা হয়েছে যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের নির্বাহী আদেশ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৃহত্তর প্রচেষ্টার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য এবং দক্ষিণ সীমান্তে চলমান সংকট মোকাবিলার জন্য। ১৮৬৮ সালের সংবিধান সংশোধনী এবং তার পূর্ববর্তী একটি আইনের অধীনে, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে জন্ম নেওয়া যে কোনো শিশুকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে, তাদের অভিবাসন অবস্থা যাই হোক না কেন। ট্রাম্প জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব শেষ করতে চাইছেন, বিশেষ করে সেসব শিশুর জন্য, যাদের বাবা-মা অবৈধ অভিবাসী বা যুক্তরাষ্ট্রে সাময়িক ভিসায় অবস্থান করছেন।

৯ম সার্কিট কোর্টের এ মামলা ওয়াশিংটনসহ চারটি ডেমোক্রেটিক পরিচালিত স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল দ্বারা দায়ের করা হয়েছিল। তাদের আবেদনে বিচার বিভাগ এটিতে স্থগিতাদেশ দেয়। মামলার আবেদনে চারটি স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে জানান, এটি অভিবাসন নিয়ে কোনো মামলা নয়। এটি নাগরিকত্ব অধিকার নিয়ে মামলা, যা ১৪ তম সংশোধনী এবং ফেডারেল আইনে স্পষ্টভাবে এবং উদ্দেশ্যক্রমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়েছে।

৯ম সার্কিট প্যানেলের বেশির ভাগ বিচারক জানায় যে, ট্রাম্প প্রশাসন এই জরুরি পর্যায়ে সফল হওয়ার সম্ভাবনা দেখাতে পারেনি। ট্রাম্পের মনোনীত বিচারপতি ড্যানিয়েল ফরেস্ট একটি সহমত ব্যক্ত করে লিখেছেন যে, তিনি মৌলিক আইনি যুক্তিগুলোর ওপর কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি সরকারের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন, কারণ তারা আদালতের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি লিখেছেন, এক সপ্তাহের নোটিশে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত বিষয়গুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া আমাদের সাধারণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াকে উল্টে দেয়। আমরা এই কাজটি শুধু তখনই করতে পারি, যখন পরিস্থিতি আমাদের তা করতে বাধ্য করে। এখানে তা নয়।

ডেমোক্রেটিক স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেল, অভিবাসী অধিকার সংগঠন এবং অন্যরা ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের বিরুদ্ধে একটি সিরিজ মামলা দায়ের করেছেন, যেখানে তারা দাবি করেছেন এটি মার্কিন সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর অধীনে নাগরিকত্বের অধিকারকে লঙ্ঘন করে। তাদের মতে, ১৮৯৮ সালে ‘ইউনাইটেড স্টেটস বনাম ওয়াং কিম আর্ক’ মামলায় সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল যে, ১৪তম সংশোধনী জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার দেয়, তা জাতির অভিবাসন স্ট্যাটাস যাই হোক না কেন। কেসটি এখনো চলমান এবং এর পরিণতি সম্ভবত ইউএস সুপ্রিম কোর্টে নির্ধারিত হবে।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)