নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের বিরুদ্ধে ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ফেডারেল তদন্তের দাবি জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের একজন শীর্ষ হাউজিং কর্মকর্তা উইলিয়াম পুল্টে। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল হাউজিং ফিন্যান্স এজেন্সির পরিচালক। ২০২৩ সালের গ্রীষ্মে, নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস ভার্জিনিয়ার নরফোক শহরে তার ভাগনির জন্য একটি ছোট বাড়ি কেনার প্রক্রিয়ায় কো-বরোয়ার হিসেবে অংশ নেন। সে সময় একটি লিগ্যাল ফরমে জেমস উল্লেখ করেন, আমি এই সম্পত্তিকে আমার প্রধান বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার করবো। এই দলিলকে কেন্দ্র করে ফেডারেল হাউজিং ফিন্যান্স এজেন্সির পরিচালক উইলিয়াম পুল্টে ১৪ এপ্রিল অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে একটি চিঠি পাঠিয়ে তদন্তের অনুরোধ জানান। উইলিয়াম পুল্টে অভিযোগ করেন, জেমস সেই সময় নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং আইন অনুযায়ী, তার প্রধান বাসস্থান নিউইয়র্কে থাকা উচিত ছিল। অথচ তার মর্টগেজ আবেদনপত্রে তিনি ভার্জিনিয়ার বাড়িটিকে প্রধান বাসস্থান হিসেবে উল্লেখ করেন। কিন্তু নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস এই দাবিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তার নেওয়া পদক্ষেপের জন্য ‘প্রতিশোধমূলক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তবে লেটিশিয়া জেমসের অফিস এক কপি মর্টগেজ আবেদনপত্র প্রকাশ করে যেখানে তিনি স্পষ্টভাবে না চিহ্নিত করেছেন। আপনি কি এই সম্পত্তিতে বসবাস করবেন প্রধান বাসিন্দা হিসেবে? এই প্রশ্নের উত্তরে। এছাড়াও আবেদনপত্রে বলা হয়েছে, তার ভাগনি, যিনি মূল বাসিন্দা হবেন, তার সঙ্গে যৌথ ঋণের জন্য আবেদন করছেন। জেমস বলেন, এই অভিযোগ শুধু একটি হেডলাইন তৈরি করার চেষ্টা, এটি আমার বিরুদ্ধে প্রতিশোধ ছাড়া আর কিছু নয়।
পুল্টে আরো অভিযোগ করেন, জেমস ব্রুকলিনে তার মালিকানাধীন টাউন হাউজের ইউনিট সংখ্যা ভুলভাবে উপস্থাপন করেছেন। যদিও শহরের বিভিন্ন রেকর্ড এবং অতীত সংবাদ প্রতিবেদনগুলোতে ভবনটিকে চার ইউনিটের বলে উল্লেখ করা হয়েছে, পুল্টে বলেন, একটি পুরোনো সনদে এটি পাঁচ ইউনিটের ছিল।
নিউইয়র্কের হাউজিং আইনের বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক অ্যান্ড্রু শেরার বলেন, চার ইউনিট থেকে পাঁচ ইউনিটে পরিবর্তন সাধারণত কোনো আর্থিক সুবিধা দেয় না। তাই এতে অপরাধমূলক কিছু আছে বলে মনে হয় না। সিটি প্রশাসনের বিল্ডিং বিভাগ জানিয়েছে, তারা এই বিষয়ে কোনো অনিয়ম পায়নি। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে শুরু হওয়া একাধিক অজ্ঞাত অভিযোগের ভিত্তিতে করা তদন্তে শেষবার, এপ্রিল ২০২৫-এ, পরিদর্শকরা জানান, ‘অভিযোগ অপ্রমাণিত’। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লেটিশিয়া জেমসের দায়ের করা দেওয়ানি জালিয়াতি মামলায় ৪৫৪ মিলিয়ন ডলারের রায় এসেছে, যেটি বর্তমানে আপিলাধীন। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি কোনো প্রতারণা করেননি এবং তার সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ সঠিক ছিল।