হাটবাজার ও এক প্রবাসীর স্মৃতি


আকবর হায়দার কিরন , আপডেট করা হয়েছে : 01-05-2025

হাটবাজার ও এক প্রবাসীর স্মৃতি

জ‍্যাকসন হাইটসের প্রাণ, আমাদের সবার চেনা হাটবাজার। ৩০ এপ্রিলের পর আর থাকছে না! চোখের সামনেই ৭৩ স্ট্রিটে ননী ভাই, বাদল ভাই, বিদ‍্যুৎ দাদার হাত ধরে যখন হাটবাজার রেস্তোরাঁ ও সুপার মার্কেটের যাত্রা শুরু, সেই স্মৃতি আজও জ্বলজ্বল করে। আরও আগে, উল্টোদিকে, মান্নান ভাই খুলেছিলেন প্রথম গ্রোসারী ১৯৯৬ সালে। ননী ভাইকে দেখতাম হারুন ভাইয়ের আলাউদ্দিন থেকে খাবার কিনে আনতে। তারপর একদিন দেখলাম, “হাটবাজার” হয়ে গেলো আমাদের নতুন ঠিকানা।

জ‍্যাকসন হাইটসে এলে হাটবাজারের চা অথবা হালিম না খাওয়া যেন অসম্পূর্ণ ভ্রমণ। সেই নিচতলার মিলনায়তন। যেখানে রোকেয়া হায়দার আপাকে নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান করেছিলাম, যেখানে তারিক মাহবুব ভাইয়ের স্মরণসভায় কান্নায় ভিজেছিলো পুরো সন্ধ্যা। পেছনের দোতলায় ইকবাল বাহার চৌধুরী ভাইয়ের স্মরণে ছোট্ট কিন্তু হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া আসর। আজও স্মরণে।

আমার মোহন দাদা এসেই খুঁজে নিতেন হাটবাজারের আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া। দুই যুগ আগে আলী আজম ভাই আর আমি প্রায়ই ইফতার করেছি এখানে। রোকেয়া আপার প্রিয় ছিলো এখানকার ডালপুরি। আমি প্রায়ই ফেডেক্স করে পাঠাতাম তাঁর কাছে। এস্টোরিয়ার এসটিভিইউএস স্টুডিওতে রেকর্ডিং শেষে, হাটবাজারে চা-নাস্তা করে টিভিতে নিজের অনুষ্ঠান দেখা ছিল এক অন্যরকম আনন্দ।

গ্রাফিক্স ওয়ার্ল্ডের সাকিল মিয়ার দোকানে চা হাতে আড্ডা। আনোয়ার ভাই আর গোপাল দাদা হাতে চায়ের কাপ নিয়ে ঢুকতেন। এইসব দৃশ্য আজ চোখে ভাসে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নুরুল আজিম ভাইয়ের সাথে প্রায়ই রাতের খাওয়া,

নিহার ভাই, রিদোয়ান ভাই, হাবিব ভাই। কত হাসি, গল্প, পরিকল্পনা। বাদল ভাইকে বলতাম: কচুর লতি আর চিংড়ি চাই! বিদ‍্যুৎ দাদার সেই চমৎকার হাসি,

ননী ভাইয়ের আন্তরিক মেহমানদারি। সবকিছু আজ এক অনিবার্য মিশিং হয়ে রইলো। হাটবাজারের বিদায় শুধু একটি দোকানের বন্ধ হওয়া নয়, এ যেনো প্রবাসের জীবনের এক বিশেষ অধ্যায়ের শেষ হয়ে আসা।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)