ফারিয়াকে নিয়ে আওয়ামী স্টাইলে নাটক ভেস্তে গেলো


সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ , আপডেট করা হয়েছে : 21-05-2025

ফারিয়াকে নিয়ে আওয়ামী স্টাইলে নাটক ভেস্তে গেলো

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে নিয়ে আওয়ামী স্টাইলে নাটক ভেস্তে গেলো। ওই অভিনেত্রীকে গ্রেফতার নাটক মঞ্চস্থ করতে গিয়ে পুরোপুরিই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিপ্লবীদের হাতে ধরা পড়ে গেলো। তবে নাস্তানাবুদের পাশাপাশি এধরনের নাটকে দায়ভার যেমন অন্তর্বর্তী সরকারের ইমেজের পরে আছড়ে পড়েছে তেমনি একটি বড়ো ধরনের ধাক্কা-ও খেলো..। 

ফারিয়া’কে নিয়ে কি কি হলো...

গত ১৮ মে রোববার নুসরাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিন সকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে নুসরাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপরে তাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। গণমাধ্যম সূত্র থেকে জানা যায়, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক (৩৫)। ৩ মে তিনি ঢাকার সিএমএম আদালতে ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন। এর মধ্যে নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ জন অভিনেতা-অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে মামলাটি ৩ মে এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়। মামলা করার দুই সপ্তাহ পর গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাতকে। তবে যে হত্যাচেষ্টার মামলায় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি সেই মামলার ২০৭ নম্বর আসামি। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৭ জন শিল্পীসহ মোট ২৮৩ জন এই মামলার আসামি। অর্থ্যাৎ এই ২৮৩ জন একত্র হয়ে কিংবা পরস্পরের সঙ্গে যোগসাজশ করে একজন ব্যক্তিকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। নুসরাত ফারিয়া ২০১৫ সালে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। এর পর থেকে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের কয়েকটি সিনেমায় কাজ করেছেন। এ ছাড়া মডেলিং ও সঞ্চালনায়ও সক্রিয় তিনি। 

বিরাট পদক্ষেপ? কিন্তু আলোচনা ঝড়....

অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেফতারের পর চারিদিকে হৈ চৈ পড়ে যায় অবস্থা। যে-নো নয় মাসে সরকার সেরা কাজ করে ফেলেছে। মারাত্মক এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর গ্রেফতারের পরপর স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী গণমাধ্যমে বলেন, অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার নামে মামলা ছিল বলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একথা-ও বলেন, ‘এখন তাঁর নামে যদি কেস থাকে, আপনি কী করবেন?...ছেড়ে দিলে আবার আপনি কিন্তু...বলবেন স্যার আপনি ছেড়ে দিছেন...।’

ফারিয়াকে গ্রেপ্তার নিয়ে কে কি বললেন ও লিখলেন...

ফারিয়াকে নিয়ে গত ১৯ মে সোমবারাই দুপুরে ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন জুলাই বিপ্লবের অন্যতম যোদ্ধা এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার নিয়ে আলোচনার মধ্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন (মনোযোগ সরিয়ে দেওয়া)।’ এব্যাপারে হাসনাত আবদুল্লাহ বিস্তারিতভাবে লিখতে গিয়ে বলেছেন ‘সরাসরি হত্যাকান্ডে জড়িত খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি।’.হাসনাত আবদুল্লাহ প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ইন্টেরিম, ৬২৬ জনের লিস্ট কোথায়? ৬২৬ জনকে নিরাপদে বের করে দিয়ে এখন নুসরাত ফারিয়াকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে বোঝাতে চাচ্ছেন, আপনারা খুব বিচার করছেন? এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন।’

এদিকে প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহসম্পাদক মনজুরুল ইসলাম তার এক লেখায় বলেছেন, ‘এ রকম ঢালাও মামলা ও গ্রেপ্তারের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আশঙ্কাজনক হলো, জুলাই-আগস্টের সহিংসতার ঘটনায় হওয়া অন্য সব মামলা নিয়েও প্রশ্ন ও বিতর্ক তৈরি হওয়া। এ রকমটা হলে তা জুলাই-আগস্টের হত্যাকান্ডের বিচারের ওপরও প্রভাব ফেলবে। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা কি এ বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখেছেন?’

অন্যদিকে ফারিয়াকে গ্রেপ্তার নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন অভিনয়শিল্পীরাও। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন লিখেছেন, ‘কী এক লজ্জা। ফ্যাসিস্ট সরকার যা করেছে, সেখানে এই মেয়েটার কিছুই করার ছিল না। আমি এমন পরিস্থিতি এবং সিস্টেম সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। 

ছোট পর্দার অভিনেতা খায়রুল বাশার লিখেছেন, ‘তিনি অভিনেত্রী। তাঁর কাজ অভিনয় করা। কোনো গল্পে যে চরিত্রটা পাবেন, সে চরিত্রের যথাযথ প্রকাশ সে করবেন; এই তাঁর কাজ। আমার ধারণা, তিনি রাজনীতি-সচেতনও না। এমনকি তিনি কোনো রাজনীতিও করেন না। এমনকি বিটিভিতে গিয়ে মায়াকান্নাও করেননি। তাহলে একটা সিনেমায় অভিনয় করাকে কে›ন্দ্র করে কেন এই হেনন্থা? সেখানে কেউ রাজনীতি করতে যাননি।’

তুলে ধরা হলো জুলাই বিপ্লবে ফারিয়ার অবস্থান....

ফারিয়া গ্রেফতারের পরপর রমরমা গল্প না ফেদে দায়িত্বশীল বেশ কয়েকটি পত্রিকা সাহস করে প্রকৃত সত্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছে। এক্ষেত্রে প্রথম আলোতে এব্যাপারে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় জুলাই বিপ্লবের সময়ে কি করেছিলেন ফারিয়া। প্রথম আলোতে তুলে ধরা হয় এই নায়িকা ১৭ জুলাই ফেসবুক স্ট্যাটাসে দেশের আন্দোলন ও শিক্ষার্থীদের হত্যায় সোচ্চার হয়ে লেখেন, ‘কাজের কারণে আমি হাজার মাইল দূরে। কিন্তু আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, আমি কেমন অনুভব করছি, তা প্রকাশ করতে পারছি না। সর্বোপরি আমরা মানুষ, এই সত্যটি ভুলতে পারি না। দোয়া করি সবাই নিরাপদে থাকুন।’

ফারিয়ার ফেসবুক এই স্ট্যাটাস দেন যখন দেশে শিক্ষার্থীদের দাবি সরকার না মানায় ক্রমেই জুলাই আন্দোলন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে থাকে। জড়ো হতে থাকেন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাদের নানাভাবে বাধা দিতে থাকে স্বৈরাচারি সরকার। পুলিশের গুলিতে নিহত হন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদসহ ৬ জন। এই খুনের প্রতিবাদে সারা দেশে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় দেশ যখন উত্তাল, তখন প্রতিবাদে ফেসবুকে সোচ্চার থাকতে দেখা যায় নুসরাত ফারিয়াকে, যা প্রথম আলোতে তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয় যে, ১৮ জুলাই নুসরাত ফারিয়া তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে শিক্ষার্থীদের জানাজা দেওয়ার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছিলেন, ‘জাতি হিসেবে এর চেয়ে দুঃখজনক আর কিছু নেই।’ সেই পোস্ট হাজারের বেশি ভক্তরা ভাগাভাগি করে নেন। শিক্ষার্থীদের পাশে থাকায় অনেকেই তাঁর প্রশংসা করেন। এর পরে ফ্যাসিবাদী সরকার দেশের ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দিলে সেই সময়ে ১৯ জুলাই ফারিয়া কানাডা থেকে লিখেছিলেন, ‘দুই দিন হয়ে গেল, বাংলাদেশে ইন্টারনেট নেই। দেশটি বিশ্বের অন্যান্য অংশ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন। আমরা কি সত্যিই আলোচনা করে এই সমস্যার সমাধান করতে পারি না? এটা এত কঠিন কেন? খুব অসহায় বোধ করছি।’

অবশেষে জামিন ও তবে অনেক প্রশ্ন...

হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত ২০ মে মঙ্গলবার সকালে এ আদেশ দেন। নুসরাত ফারিয়া জামিন চেয়ে সকালে আদালতে আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে এই অভিনেত্রীকে বিমানবন্দর দিয়ে যাওয়ার সময় আটক কি প্রমাণ করতে চাইলেন এক শ্রেণীর অতি উৎসাহীরা? তাহলে কি এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ধারণাটি-ও সঠিক? কারণ তিনি তো সন্দেহ বা বলা চলে সরকারের একটি পক্ষের চালাকি বুঝেই বলেছেন যে, এগুলো বিচার নয়, এগুলো হাসিনা স্টাইলে মনোযোগ ডাইভারশন।’ অপরদিকে ১৯ মে সোমবার গণমাধ্যমে পাঠিয়েছিরো এনসিপি। দলের পক্ষ থেকে এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত যা বলেছেন তা-ও ঠিক। এনসিপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ঢাকার ভাটারা থানায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে গত ১৭ মে রোববার রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার ঘটনা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রহসনে পরিণত করছে। অথচ আমরা দেখেছি, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলা ও গুলি করার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ চলতি মাসে কোনো রকম বাধাবিপত্তি ছাড়াই দেশত্যাগ করেছেন। অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রিত ৬২৬ জন ব্যক্তির পরিচয় এখনো প্রকাশিত হয়নি। উপরন্তু, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পতিত ফ্যাসিবাদ ও এর সমর্থকেরা এখনো জনপরিসরে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেশের নাগরিকবিরোধী অপতৎপরতা জারি রেখেছে। কাজেই দেখা যাচ্ছে যে, ’জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্রদের নিয়ে গড়া এই দলের পক্ষ থেকে বিবৃতিতেও স্পস্ট হয়ে উঠে সরকারের ভেতরে একটি পক্ষ হয়তবা নানান ধরনের খেলাধুলার নেপথ্যে বা তাদের সহযোগিতায় সাবেক রাষ্ট্রপতি হামিদ আবদুল হামিদের মতো লোকেরা নির্বিঘ্নে দেশ ছেড়ে যেতে পেরেছে। প্রশ্ন হচ্ছে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কিভাবে দেশ ছেড়েছেন? অথবা মিয়ানমারের সঙ্গে মানবিক করিডর ও চট্টগ্রাম সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে সরকারের নিরবতাকে পাশ কাটাতে গিয়ে কি অভিনেত্রী ফারিয়াকে নিয়ে আওয়ামী স্টাইলে নাটকের আয়োজন করা হয়েছিল? কারণ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বা কেনো বলেছেন, দেশ অনিশ্চয়তার দিকে চলে যাচ্ছে? কোনো কিছুকে কি তাহলে সত্যিই ভিন্নখাতে নিতে দেশে নানান আয়োজন চলেছে? তবে কারো কারো আশঙ্কা এভাবে ফারিয়াকে নিয়ে আওয়ামী স্টাইলে নাটক করতে গিয়ে কি ফ্যাসিবাদীদের প্রকৃত অর্থে বিচার হবে কি-না তা প্রশ্নের মুখে ঠেলে দেয়া হলো না? আবার কেনো অভিনেত্রী ফারিয়াকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী একথা বলেন, ‘এখন তাঁর নামে যদি কেস থাকে, আপনি কী করবেন?...ছেড়ে দিলে আবার আপনি কিন্তু...বলবেন স্যার আপনি ছেড়ে দিছেন...।’ প্রশ্ন হচ্ছে আইনতো নিজের মতে করে চলবে বলে জুলাই বিপ্লবে ছাত্ররা অকাতরে প্রাণ দিয়েছি। কে কি বললো তা-তে কি আস যায়? সেক্ষেত্রে কি বলা যায় না এনসিপি মত করে যে, জুলাই গণহত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় না এনে এ ধরনের লোক দেখানো ও ঢালাওভাবে আসামি করা মামলায় গ্রেপ্তার ও জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে লঘু করে দেখানোর প্রবণতা সৃষ্টি করছে। তাই অনেকে বলছেন, খোদ জুলাই বিল্পবীদের মুখে এমন কথা উঠে আসলে সেক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষে জবাব আসলে কি তা দেখতে-ও কিছু সময় আরও সময় লাগবে না-কি সব প্রতিশ্রুতি হাওয়া মিলিয়ে যাবে? কেননা মাত্র কয়েকদিন আগেই সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কীভাবে দেশ ছেড়ে নির্বিঘ্নে চলে যেতে পারা প্রসঙ্গে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী কঠিন মন্তব্য করেছিলেন। তিনি আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কীভাবে দেশ ছেড়ে চলে গেল, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনা হবে। একপর্যায়ে নানান ধরনের প্রশ্নের মুখে তিনি বলেন, তাদের যদি শাস্তির আওতায় না আনা হয়, তাহলে আমিই চলে যাব। কিন্তু দিনের পর দিন চলে যায় ..শাস্তির আওতায় কারা এলো তা-তো জানা গেলো না...।


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)