ভারতের নতুন আইনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু দেশত্যাগ বৃদ্ধি পাবে


বিশেষ প্রতিনিধি , আপডেট করা হয়েছে : 10-09-2025

ভারতের নতুন আইনে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু দেশত্যাগ বৃদ্ধি পাবে

ভারত সরকার কর্তৃক বলবৎ করা আইনের প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ এক বিবৃতিতে বলেছে, এতে করে এদেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের দেশত্যাগের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। ভারত সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্তে কী নীতি কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব কী হতে পারে সে বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণে নেয়া উচিত।

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষে সংগঠনের সভাপতিত্রয় অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, মি. ঊষাতন তালুকদার ও মি. নির্মল রোজারিও এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ ওই বিবৃতিতে ভারত সরকার কর্তৃক বলবৎ করা আইনের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেছেন। ভারত সরকার ‘অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫’, পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে বলবৎ করেছে। ভারত সরকার ‘অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫’, পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে বলবৎ করেছে। 

এজন্য বিবৃতিতে আরও বলা হয় উক্ত আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের কোনও সংখ্যালঘু যদি ‘ধর্মীয় নিপীড়ন’-এর শিকার হয়ে অথবা ‘ধর্মীয় নিপীড়ন’-এর আশঙ্কায় ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ভারতে আশ্রয় নিয়ে থাকেন, তাদের ক্ষেত্রে নতুন চালু হওয়া আইনে ছাড় দেবে ভারত। এর আগে, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী তিনটি প্রতিবেশী দেশের যেসব সংখ্যালঘু ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হওয়ার দাবি করে বা অভিযোগ তুলে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাদের ক্ষেত্রে আশ্রয় নেওয়ার সময়সীমা ছিল ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেই সময়সীমা ১০ বছর বাড়ানো হয়েছে নতুন আইনে।

এতে করে এদেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের দেশত্যাগের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। ভারত সরকারের এই ধরনের সিদ্ধান্তে কী নীতি কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব কী হতে পারে সে বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে গুরুত্বের সাথে পর্যবেক্ষণে নেয়া উচিত।

এ অবস্থায়, এদেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের মনোজগতে যে শঙ্কা ও আস্থার সংকট রয়েছে তা ফিরিয়ে আনতে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, এ লক্ষ্যে সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে জীবন-জীবিকার সকল ক্ষেত্রে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্ব ও অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের উপর চলমান নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করতে হবে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসীদের নির্যাতন-নিপীড়ন করে এবং তাদেরকে অমর্যাদা ও অবহেলা করে এদেশে টেকসই গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্ভব নয়।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন যে, অন্তবর্তীকালীন সরকার নিশ্চয়ই গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থ বিবেচনায় সংখ্যালঘু নিঃস্বকরণ প্রক্রিয়া রোধে অনতিবিলম্বে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। 


প্রকাশক: মঞ্জুর হোসেন

সম্পাদক: মিজানুর রহমান

House : 29, Road : 01 Sector : 02, Block :F Aftabnagar, Dhaka:1212 (Opposite China Building) E-mail : deshusdhaka@gmail.com (Advertising & News For Bangladesh)