আমলাতান্ত্রিক ও প্রশাসনিক জটিলতায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ইমিগ্র্যান্ট ভিসার আবেদনকারীদের আবেদন প্রসেসিং স্থবির হয়ে রয়েছে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের অধীনে ভিসা প্রসেসিংয়ে এত ধীর গতিতে চলছে যে ইমিগ্র্যান্ট ভিসা লাভে বিলম্ব হচ্ছে অসহনীয়ভাবে। গ্রিনকার্ড পাওয়ার জন্য প্রায় ৩ লাখ ৮৯ হাজার লোক সাক্ষাৎকারের অপেক্ষায় রয়েছেন। এর মধ্যে বেশিরভাগ অপেক্ষা করছে তাদের নিকটাত্মীয়ের মাধ্যমে যারা আবেদন করেছেন। আমলাগত জটিলতা ও বিগত প্রশাসনের সময় ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রসেসিং ব্যবস্থাকে দেউলিয়ায় পরিণত করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্র স্টেট ডিপার্টমেন্ট ইমিগ্র্যান্ট ভিসার আবেদন প্রসেসিং বিলম্বের বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করলেও স্টেট ডিপার্টমেন্ট দাবি করছে অবস্থার দ্রুত উন্নতি হচ্ছে। বাস্তবে এ অবস্থার উন্নতি হচ্ছে খুবই ধীর গতিতে। আবেদনকারীরা কোভিড-১৯ সময়কাল থেকে অভিযোগ করে আসছেন যে এমনকি ভিসার জন্য আমেরিকান কনস্যুলার অফিসে অপেক্ষার সময় অসহনীয় হয়ে উঠছে। তাতে আবেদনকারী, বেনিফিশিয়ারি ও তাদের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ন্যাশনাল ভিসা সেন্টার বা এনভিসির তথ্য অনুযায়ী মার্চ মাসে ইমিগ্রেশন ভিসার ব্যাকলগ মাত্রা ৪.৮% কমেছে। গত ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে ইমিগ্র্যান্ট ভিসার জন্য আবেদনের ব্যাকলগ ছিল ৪০৮,৪৫৬। ২৮ মার্চ তার সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৮৮,৯০৮। গ্রিনকার্ড আবেদনকারীদের যাদের কেস ডকুমেন্টারিভাবে সম্পূর্ণ এক, ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্ধারিত হওয়ার জন্য রেডি ছিল তাদের সংখ্যা মার্চ মাসে সামান্য হ্রাস পেয়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসে তার সংখ্যা ছিল ৪৪৪,৮২৮ তার মার্চ মাসে তার সংখ্যা হল ৪৩৯,১৩১। প্রায় ৬ হাজার কেইস হ্রাস পেয়েছে। মামলার সংখ্যা হ্রাস সত্ত্বেও গ্রীন কার্ডের ইন্টারভিউয়ের জন্য নির্ধারিত লোকের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে। মার্চ মাসে ৫০,২২৩টি সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ৩৬,৩৭২টি সাক্ষাতকার গ্রহণ করা হয়েছে। যা ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় ১৩৮৫১ জন বেশি।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে ব্যাকলগ কমানোর উদ্যোগ নিলেও এ অবস্থার উন্নয়নে আরো কয়েক বছর সময় লাগবে বলে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।