দীর্ঘদিন থেকেই ছিল আকুতি ছিল খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি প্রদান। শুধু দেশের রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ, শিক্ষক থেকে শুরু করে সব পেশাজীবী সকল পর্যায় থেকে এ আবেদন জানানো হয় বার বার। শেখ হাসিনা হিংসাত্মক মনভাব পোষণ করে অনুমোদন না দিতে ছিলেন অনঢ়। দেনও নি। বরং খালেদা জিয়াকে বিদেশে কেন চিকিৎসা দেয়া হবে- এ নিয়েও করা হয় উপহাস।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারত চলে যায় শেখ হাসিনা। তছনছ হয় তার সরকার। মন্ত্রী পরিষদ, তার উপদেষ্টামন্ডলী থেকে শুরু করে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যারা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন সকলে হয় পালিয়ে গেছেন নতুবা দেশে লুকিয়ে বা আটক হয়ে জেল হাজতে। সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মুক্ত পরিবেশে উড়াল দিলেন লন্ডনের উদ্দেশ্যে উন্নত চিকিৎসার্থে। ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা রেখে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়ার জন্য খালেদা জিয়াকে সব ধরনের সহযোগিতা করেন।
তবে একই সঙ্গে তাকে বিদায় দিতে গত ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে গুলশান থেকে বিমানবন্দর অভিমুখী রাস্তার দুই ধারে মানুষের ঢল নামে। মুর্হুমুহু স্লোগান ও হাত নেড়ে সবাই খালেদা জিয়ার প্রতি তাদের ভালবাসা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি কবে ফিরবেন সে আলোচনাও চলে। তবে খালেদা জিয়ার ফিরে আসার দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি। আগে চিকিৎসা নেবেন। এবং সেটা নিতে যতদিন প্রয়োজন পড়বে এবং চিকিৎসকদের পরামর্শে যতদিন থাকা প্রয়োজন ততদিন তিনি সেখানে অবস্থান করে তবেই ফিরবেন। তবে শুধু লন্ডনেই তার সমুদয় চিকিৎসা সম্ভব নাকি এরপর অনত্র কোথাও আরো বাকি চিকিৎসা প্রয়োজন পড়বে সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে তার সব ধরনের চিকিৎসা দেয়ার যাবতীয় প্রস্তুতিই নেয়া হয়েছে।
লন্ডনে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় তার বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার পরিবারবর্গ।
লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা
এদিকে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে খালেদা জিয়াকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছে কাতারের আমিরের পাঠানো ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স বিমান’। রাত সাড়ে ১১টায় ভিআইপি টারমাক থেকে এই বিমানটি রানওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে কয়েক মিনিটের মধ্যে উড়াল দেয় বিমানটি। বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, ম্যাডামকে নিয়ে বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যাত্রা শুরু করেছে। আপনাদের মাধ্যমে দেশেবাসীর কাছে ম্যাডামের জন্য দোয়া চাই।
এর আগে রাত ৮টা ১৬ মিনিটে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হন বিএনপি চেয়ারপারসন। গুলশান এভিনিউজ সড়ক, গুলশান-২, বনানী কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, কাকালী দিয়ে বিমান বন্দর পর্যন্ত সড়কে হাজার হাজার নেতা-কর্মীর ভিড় ডিঙিয়ে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহর বিমান বন্দরে পৌঁছাতে দেড় ঘন্টার বেশি সময় লাগে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার জেনে রাজকীয় বহরের এই বিশেষ বিমান পাঠিয়েছেন যা ৬ জানুয়ারি সোমবার রাত সাড়ে ৭টায় হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছায়।
দলের চেয়ারপারসনকে বিদায় জানাতে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ছিলেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়ি ৮ নং গেট দিয়ে সরাসরি ভিআইপি টারমার্কে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের সামনে পৌঁছে। সেখানে মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা অ্যাম্বুলেন্সের সামনে দাঁড়িয়ে দলীয় প্রধানকে বিদায় জানান।
‘বুধবার লন্ডন পৌঁছাবে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি’
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘‘ঢাকা থেকে প্রথমে দোহা এবং দোহায় যাত্রাবিরতি (বিমানের রিফুয়েলিং) শেষে সেখান থেকে লন্ডনের হিথরো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে বিশেষ এই ফ্লাইটটি পৌঁছাবে লন্ডন সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।” হিথরো বিমানবন্দর থেকে সরাসরি ম্যাডামকে ‘লন্ডন ক্লিনিক’ এর অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হবে লন্ডন ক্লিনিকে। এখানেই ম্যাডামকে ভর্তি করা হবে। হিথরো বিমানবন্দরে হাসপাতালের চিকিৎসকরাও উপস্থিত থাকবেন তাকে রিসিভ করতে।”
‘হিথরো বিমানবন্দরের থাকবেন তারেক রহমান’
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ বলেন, ‘‘সাত বছর পর মাকে স্বাগত জানাতে বিমান বন্দরে মূল টার্মিনালে তারেক রহমান, তার সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান, তার মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান, লন্ডন বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন থাকবেন। তারাই ম্যাডামকে বরণ করবেন। হিথরোর আনুষ্ঠানিকতা শেষে ম্যাডাম লন্ডন ক্লিনিকের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন এরকম সিডিউল আামার কাছে আছে।”
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৫ জুলাই বিএনপি চেয়ারপারসনের লন্ডন গেলে তারেক রহমানের বাসায় ছিলেন তিনি।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। ২০১৮ সালে একটি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তাঁর অসুস্থতা বাড়ে। এর মধ্যে কয়েকবার তিনি জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও পড়েন। এমন পরিস্থিতিতে দল ও পরিবার এবং মেডিকেল বোর্ডের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তাঁর বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। কিন্তু সরকার তাতে সাড়া দেয়নি। উল্টো বিএনপি চেয়ারপারসনের রোগ ও চিকিৎসা নিয়ে সরকারের শীর্ষ পদ থেকে বিভিন্ন সময় নানা আপত্তিকর মন্তব্য করা হয়েছে। ফলে অসুস্থ নেত্রীর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে রাজপথে টানা আন্দোলন কররেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
যুক্তরাজ্যের ‘লন্ডন ক্লিনিক’ এ ভর্তি হবেন
অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ বলেন ‘‘লন্ডন ক্লিনিক বলে একটা পুরনো ঐহিত্যবাহী হসপিটাল আছে সেই হসপিটালে এটি এনএইচএস এর অধীনে একটি হসপিটাল... সেখানে উনাকে(খালেদা জিয়া) ভর্তি করা হবে। হিথরো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে থেকে উনাকে সরাসরি সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে। এই হসপিটালে উনি চিকিৎসাধীন থাকবেন।”
আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের রাজকীয় কাতারের চারজন চিকিৎসক এবং প্যারা মেডিক্সগণ থাকবেন। ঢাকায় থেকে খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের ৬ জন সদস্য এই বিমানে যাবেন। এরা হলেন- অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক এফএম সিদ্দিক, অধ্যাপক নরুদ্দিন আহমেদ, ডা. জাফর ইকবাল, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন ও ডা. মোহাম্মদ আল মামুন।
এছাড়া বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তার ছোট ছেলে স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল ও খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তারসহ ব্যক্তিগত কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারি রয়েছে।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া লিভার সিরোসি, হৃদরোগ, কিডনি সমস্যাসহ নানা স্বাস্থ্য জটিলতায় দীর্ঘদিন ভুগছেন।
‘দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা’
জাহিদ বলেন, ‘‘আপনাদের মাধ্যমে সকলের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই যারা ম্যাডামের সুস্থতার জন্য দোয়া করেছেন, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ বিভিন্নভাবে প্রার্থনা করেছেন তাদের সবার কাছে দলের পক্ষ থেকে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই, ধন্যবাদ জানাই। ম্যাডাম সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন, দল ধন্যবাদ জানিয়েছে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ম্যাডামের আগামী চিকিৎসাটা যাতে সুস্থ হয়ে আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে উনি আবার আমাদের মাঝে ফেরত আসতে পারে সেজন্য দেশবাসীকে দোয়া করার জন্য দলের পক্ষ থেকে, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটি সবাই আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। ম্যাডামের পরিবারও ম্যাডামের জন্য দোয়া চেয়েছেন।”
যে সমস্যায় ভুগছেন খালেদা জিয়া
জাহিদ বলেন, ‘‘ম্যাডামের নানা শারীরিক জটিলতা রয়েছে যা আমরা বিভিন্ন সময়ে বলেছি। সর্বপরি উনার লিভারের জটিলতাটা অর্থাৎ লিভার সিরোসিস পরবর্তিতে কম্পেনসেন্টারি লিভার ডিজিজ বলে গ্রেট-টু সেটার জন্য টিপস (চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষ পদ্ধতি টিআইপিস-টিপস) করা হয়েছে। টিপসের কিছু টেকনিক্যাল আসপেক্ট আছে এডজাস্টমেন্টের বিষয় আছে... আপনি দেখতে হার্টে স্টেন্টিং করার পর চেক করে আবার সেটার জন্য রি-স্টেন্টিং করে অথবা চেক করে দেখে যে, স্টেন্টিংটা ভালোভাবে কাজ করছে কিনা... এই জিনিসগুলো তো আমরা করতে পারিনি। হার্টে উনার ব্লক ছিলো একাধিক। আমরা খালি লাইসেইভিং যেটুকু পোরসন সেইটুকু করা হয়েছিলো ওই সময়ে। কারণ ওই সময়ে উনার শারীরিক সুস্থতা ওইরকম ছিলো না। উনার আরও যে ব্লক আছে সেটা অ্যাডড্রেস করার দরকার আছে, উনার ক্রনিক কিডনি ডিজিজ যেটা আছে সেটা অ্যাডড্রেস করতে হবে... উনার করোনা পরবর্তিতে কিছু জটিলতা হয়েছে সেগুলো নিরসন করার ব্যবস্থা নিতে হবে... এটা ওভার অল থ্রো চেকিংয়ের জন্য যেটা আমাদের দেশে হয়েছে.. আমাদের দেশের ফিজিশিয়ানরা, এভারকেয়ার হসপিটালের স্টাফ তারা বেস্ট.... এই ব্যাপারে আমাদের ম্যাডামের পক্ষ থেকে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে, পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের ডি-সেটিসফেকশন নেই, সবাই হ্যাপি, উই আর হ্যাপি অলসো, দল হ্যাপি। কাজেই আরো কিছু উন্নত করার জন্য সেখানে আরও থ্রো চেকিং হবে।”
তিনি বলেন, ‘‘লিভার ট্রান্সপারেন্টের ...আমাদের মনে রাখতে হবে উনার যে বয়স... লিভার ট্রান্সপারেন্টের বিষয়টি সিদ্ধান্ত দেবে লিভার ট্রান্সপারেন্ট ইউনিটে যাওয়ার পরে...ওখানে ওই সুবিধাটা আছে... সো দে উইল ডিসাইড যে, ওয়াট উইল বি দ্যা নেক্সক্ট কোর্স অব টিট্রমেন্ট। এখানে বসে আমরা জানি না, আমাদের কালকের জার্নিটা কেমন হবে। আমাদের এমনও হয়েছিলো যে, আমরা ডেট করে ফেলেছিলাম কিন্তু সেই ডেট ডিফার করতে হয়েছে ডিউ টু হার হেলথ কন্ডিশন। কাজেই কাল ১০টা পর্যন্ত ওয়াট উইল হ্যাপেন্ড উই ডোন্ট নো। আপনাদেরকে মনে রাখতে হবে, উ্ই আর হেন্ডেলিং এ পেসেন্ট মাল্টিপল ডিজিজ আছে। সেজন্য আমরা লন্ডন ক্লিনিকে যেটি মাল্টি ডিসিপ্ল্যানারি এডভান্স সেন্টার সেখানে নিয়ে যাচ্ছি। সেখানকার চিকিৎসকরা উনাকে দেখে তারপরে ডিসিশন হবে উনার নেক্সক্ট কোর্স অফ ডিসিশন কি হবে?”
যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাহিদ বলেন, ‘‘যদি আমরা ওখানে (লন্ডন ক্লিনিক) সুপারিশ করেন যে, ইয়েস সি নিডস ..তাদের এখানে নেই, জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি হাসপিটাল নিয়ে যেতে হবে ... তখন হয়ত যাওয়ার একটা প্রশ্ন আসে।”
ওমরা পালন করবেন কী
পবিত্র ওমরাহ পালনে সৌদি আরব যাবেন কিনা এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘সুস্থ থাকলেই ফেরার সময়ে বা কোনো এক সময়ে মানুষ চাইলে কিন্তু ওমরাহ করা যায় না... আল্লাহ চাইতে হয়। কাজে রাব্বুল আ‘লামীন যদি ইনশাল্লাহ কবুল করেন ডেফিনেটলি ম্যাডাম সেটা করবে... এটা কিন্তু প্রিডিসাইড না যে, এটা করবেনই। হজ্ব এবং ওমরাহ অবশ্যই আল্লাহ চাইতে হবে। টিকেট করার পরে যাওয়ার পরও এমনও হয়েছে অনেকে করতে পারেন না। কাজেই উনি একজন ধার্মিক মানুষ... মনের ইচ্ছা আছে। উনি সুযোগ পেলে হ্জ করেছেন, ওমরাহ করেছেন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বেশ কয়েক বার। এত নির্যাতন-অত্যাচার, কষ্টের পরে শুকরিয়া আদায় করার জন্য ডেফিন্টেলি উ্নার ওমরাহ পালনের আগ্রহ আছে।”
কাতার আমিরের এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে যা আছে
কাতারের আমিরের পাঠানো দ্রুতগামী এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সকে একটি ভাসমান হাসপাতাল বলা যেতে পারে। এর ভেতরে রয়েছে অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা।
কাতারে আমিরের পাঠানো ওই ‘বিশেষ এয়ার অ্যাম্ব্ল্যুান্স’ হলো দ্রুতগামী এয়ারবাস এ-৩১৯ এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। এর ভেতরে রয়েছে অত্যাধুনিক সব চিকিৎসা সুবিধা। একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স হলো একটি জরুরি বিমান পরিষেবা। এতে সব জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম, ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর এবং ডাক্তারদের একটি বিশেষজ্ঞ দল দিয়ে সজ্জিত। এটি শহর বা দেশের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের পরিবহণ করতে ব্যবহৃত হয়। এই বিমানগুলোতে সব ধরনের জরুরি চিকিৎসা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সর্বশেষ প্রযুক্তির চিকিৎসা সরঞ্জাম রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ভেন্টিলেটর, ডিফিব্রিলেটর, মনিটর, ইনফিউশন পাম্প ও অন্যান্য জরুরি ওষুধ। বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স একটি পূর্ণ আইসিইউ সুবিধা রয়েছে। রোগীর কঠিন কোনো পরিস্থিতিতে তাকে স্থিতিশীল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা থাকে।
এ বিশেষ বিমানে সব সময় অত্যন্ত দক্ষ ডাক্তার ও নার্স থাকেন, যারা রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা দিতে সক্ষম। রোগীর আরামের জন্য এই বিমানগুলো খুবই স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে রোগী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা আলাদা জায়গা থাকে। বিশেষ এই এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে থাকে। অর্থাৎ, দীর্ঘ দূরত্বের বিমান যাত্রার ক্ষেত্রেও রোগীর সব ধরনের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।