২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৫:১২:৫৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


সরকার কি হার্ড লাইনে
সৈয়দ মাহবুব মের্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৮-২০২২
সরকার কি হার্ড লাইনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত রোববার গ্যাস, বিদ্যুৎসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপি শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। পরে বিক্ষোভ - মিছিল করতে রাস্তায় নামলে পুলিশ লাঠিপেটা করে ও পরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘরসে বিএনপির ২ জন প্রাণ হারায়/ ছবি সংগৃহীত


মাত্র কয়েকদিন আগেই খোদ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিএনপি’র উদ্দেশ্যেই দেওয়া হয়েছিল চায়ের দাওয়াত। এমনকি বিএনপি’র কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার ব্যাপারে একধরনের আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ পর দেশে রাজনীতিতে দেখা গেলো গোলাগুলি,হামলা,মামলা আর লাশ। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে,সরকার সম্ভবত বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মসূচির ব্যাপারে হার্ড লাইনেই যাচ্ছে। অন্যদিকে চাপে রেখে বিরোধী দলকে সরকারের নিজস্ব লক্ষ্য পূরণে কিভাবে সাকসেস হওয়া যায় সম্ভবত সে দিকেই তাদের অগ্রযাত্রা।  

পিছনে ফিরে দেখা...
দেড় সপ্তাহ আগে দলীয় এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন যে বিএনপি যদি তার (প্রধানমন্ত্রীর) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি দেয়, তাতেও বাধা দেওয়া হবে না। এব্যাপারে শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, ‘বাংলামোটরে যে বাধা দেওয়া, সেটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যত দূর আসতে পারে। কোনো আপত্তি নেই। আমি বসাব, চা খাওয়াব। কথা বলতে চাইলে শুনব। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় ঘেরাও করলেও পুলিশ বাধা দেবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি তো বলে দিয়েছি, তারা যদি, এমনকি প্রাইম মিনিস্টার অফিসও যদি ঘেরাও করতে আসে, তাদের পুলিশ যেন বাধা না দেয়। "বিশেষ করে বাংলামোটরে বাধা দেওয়া হত, সেটা বন্ধ করে দিয়েছি। আসুক না হেঁটে হেঁটে যতদুর আসতে পারে আসুক। আমি চা খাওয়াব, বসাব, কথা বলতে চাইলে শুনব। আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।"
এর পরের ঘটনা

গণমাধ্যমের খবরে দেখা গেছে দেশব্যাপী বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে বিভিন্ন জেলায় পুলিশ ও আওয়ামী লীগের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ১০ পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বিএনপির চার কর্মীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঝালকাঠিতে পুলিশের বাধা ও প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের হামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ ১৫ জন নেতা আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে নাটোরসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের বাধা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে ভোলার ঘটনাটি রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় হচ্ছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে ভোলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে আবদুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১০ পুলিশ সদস্যসহ বিএনপির শতাধিক নেতা-কর্মী। গুরুতর আহত বেশ কয়েকজনকে বরিশালে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে আলমকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে বরিশাল এবং পরে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে সংঘর্ষের সময় পুলিশ সাতজনকে আটক করেছে। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশের গুলিতে দলীয় কর্মী নিহত হয়েছে উল্লেখ করে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। অন্যদিকে পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিং করে জানান, বিএনপি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে দলের কেন্দ্র্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার বেলা ১১টায় নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ভোলা জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে। 

শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে মিছিল করতে রাস্তায় নামেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। অপরদিকে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ১৬৫ রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে। ভোলা সদর থানা বিএনপির সদস্যসচিব মো. হেলাল উদ্দিন জানান, গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত ১৩ জনকে বরিশাল পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্য থেকে চারজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এদের প্রত্যেকেরই চোখে ছররা গুলি লেগেছে। ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদার জানান, বিএনপির কর্মীরা প্রথমে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। 

সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। পুলিশ বলেছে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিয়ার শেল এবং ১৬৫ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। কিন্তু সেদিন বেলা ২টায় জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, বিনা উসকানিতে পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম নিহত হয়েছেন। জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক হুমায়ুন কবির, জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমসহ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। তিনি এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবি করেন। তিনি জানান, পুলিশ তার বাড়ি অবরোধ করে রেখেছে। আহত নেতা-কর্মীদের মধ্যে যারা তার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা চিকিৎসা নিতে পারছেন না।
সাংবাদিক ছাড়া তার বাড়িতে কাউকে ঢুকতে কিংবা বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না। তিনি অবরুদ্ধ রয়েছেন। এদিকে ঝালকাঠিতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগ হামলায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে দলটি। বেলা ১১টার দিকে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, বেলা ১১টায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়াকে নিয়ে জেলা বিএনপির নেতারা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে দিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে পুলিশ বাধা দেয়।
 এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ হোসেন, সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মো. শাহাদাত হোসেন, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. এজাজ হাসান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. শামিম তালুকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের বাচ্চু হাসান খান, বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম লিমন, 
ঝালকাঠি পৌর বিএনপি নেতা বিপ্লব হোসেন মাসুম, জেলা ছাত্রদলের গোলাম আজম সোহান, মহিউদ্দিন সরদার মঈনসহ ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক তরুণ কর্মকার জানান, নাগরিক সমাজের উদ্যোগে একটি সমাবেশ চলাকালে বিএনপির নেতা-কর্মীরা উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় তাদের ধাওয়া করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কারও ওপর হামলা করা হয়নি। এদিকে নাটোরে সকালে শহরের আলাইপুরের জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা  করলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশি বাধার মুখে নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করে। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। 

সরকার কি হার্ড লাইনে?
এধরনের ঘটনার পর পরই রাজনৈতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে নানান গুঞ্জন যে সরকার আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপি’কে আন্দোলনের কোনো স্পেসই দিবে না। আগে ভাগেই দলটিকে ভয়ে তটস্থ রাখার কৌশল নিচ্ছে কি-না? ইতোমধ্যে বিএনপি’র বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য রাখছেন। মন্তব্য করছেন সাম্প্রতিক ঘটনা বিশেষ করে ভোলার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভোলায় বিএনপির ডাকা বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের গুলি চালানোকে ‘বিনা উসকানিতে নরহত্যার শামিল’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ। তিনি বলেছেন, বিরোধী কণ্ঠকে স্তব্ধ করার জন্য এটি করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সেখানে নেতাদের নির্দয়ভাবে লাঠিপেটা করেছে। 
অথচ তারা পার্টি অফিসে মিটিং করে একটি মিছিল নিচ্ছিল। মিছিল শুরুও হয়নি। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা ও গুলি করে। এটি সম্পূর্ণভাবে বিনা উসকানিতে নরহত্যার শামিল।’ অন্যদিকে ভোলায় পুলিশের গুলিতে নিহত আবদুর রহিম মাতবরের গায়েবানা জানাজায় অংশ নিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ দিয়ে গুলিবর্ষণ করে এই ফ্যাসিবাদী সরকার জানান দিয়েছে, তারা নির্যাতন করে আন্দোলন দমন করতে চায়। ফলে এটা পরিস্কার যে বিএনপি বিষয়টি আচ করতে পেরেছে যে সরকার তাদের রাজপথের হাক ডাক গর্জনকে বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না। 

সরকার আসলেই হার্ড লাইনে....
মাত্র কয়েকদিন আগেই বলা হলো সরকারের একেবারে শীর্ষ পর্যায় থেকে বিএনপিকে চা খাওয়ানো ইস্যুতে যে কথা হলো- তার কয়েকদির পরে আসলে কি হলো? সরকার আসলে কি করতে চাইছে। তবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, সরকার বিএনপি’কে সামনের দিনগুলিতে ছাড় দেবে না বিশেষ করে রাজপথে। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের বেশ কয়েজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে সরকার মনে করেন বিএনপিসহ মাঠের বিরোধী দলগুলি করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বিশ্বমন্দার সুযোগকে কাজে লাগাতে পারে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে সরকার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে যেমন আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে তেমনি রাজনৈতিক ময়দানকে হুমকি মনে করে তাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে কঠোর হচ্ছেন।

 যেন ভবিষ্যতে এই ইস্যুতেই কোনো বিপদে না পড়ে। ধারণা করা হচ্ছে সামনের দিনগুলিতে সরকার বেশ কঠোর হবে। এমন পদক্ষেপের আভাস মিলে প্রধানমন্ত্রীর সম্প্রতি দেয়া বক্তব্যে। শোকাবহ আগস্টের প্রথম দিনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংরক্ষণে সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হারিকেন নিয়ে আন্দোলন করায় বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করেছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি দেখেছি আমাদের বিএনপি নেতারা হারিকেন নিয়ে আন্দোলন করছে। তো তাদের হাতে হারিকেনই ধরিয়ে দিতে হবে, তাদের সবার হাতে হারিকেন ধরিয়ে দেন। আর দেশের মানুষকে আমরা নিরাপত্তা দেব এবং দেশের মানুষ যাতে ভালো থাকে, সেই ব্যবস্থা নেব।’

আলোচনায় রিজভীর ধারণা 
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চায়ের দাওয়া প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আশঙ্কা করে তার (প্রধানমন্ত্রীর) উদ্দেশ্য। রিজভী বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে ঘেরাও কর্মসূচি করলে চায়ের দাওয়াত দেবেন বলেছেন। হঠাৎ আপনার গলার সুর এত নরম হলো কেন? আপনার সুর যখন ক্ষীণ হয়, তখন বুঝতে হয় বিরোধী দলের ওপর আরও কিছু ভয়ংকর নির্যাতন নেমে আসছে।’ বিএনপি’র নেতাকর্মীদের আশঙ্কা সরকার হয়তবা আরো কঠোর হবে রাজনৈতির মাঠ তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে। কারণ ইতোমধ্যে বলা হচ্ছে ভোলার ঘটনায় পুরিশ বিনা উস্কানিতেই হামলা করেছে, গুলি চালিয়েছে। বিএনপি নেতারা মনে করেন, সরকার বিএনপি’কে খালি মাঠে ছেড়ে দেবে না। তারা মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞায় সরকার আসলে খুব একটা চিন্তিত না। আর সেজন্যই ভোলার মতো ঘটনা ঘটে গেছে। 
 

শেয়ার করুন