২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ৬:৪৫:৫৫ পূর্বাহ্ন


বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির তিন পদে নির্বাচন ৩০ অক্টোবর
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১০-২০২২
বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির তিন পদে নির্বাচন ৩০ অক্টোবর বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির নির্বাচনী প্রচারণা


প্রবাসের অন্যতম আঞ্চলিক এবং আদর্শিক সংগঠন বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির কার্যকরি পরিষদের তিন পদেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কার্যকরি পরিষদের ১৭টি পদের মধ্যে কোন প্রার্থী না থাকায় আগেই ১৪টি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। যে তিনটি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সে তিনটি পদ হচ্ছে কোষাধ্যক্ষ, অ্যাসিস্ট্যান্ট কোষাধ্যক্ষ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন করছেন বর্তমান কোষাধ্যক্ষ মহিউদ্দিন, তার প্রতিদ্ব›দ্বী এম হাসানুজ্জামান। সহকারী কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচন করছেন জামাল উদ্দিন এবং তার প্রতিদ্ব›দ্বী আমির হোসেন। সাংংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করছেন মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম বাবু। তার প্রতিদ্বন্দ্বী শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী।

বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। সেই তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ব্রুকলিনের পিএস ১৭৯ স্কুলের অডিটোরিয়ামে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ সোহেল হেলাল জানান, আমরা নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই সম্পন্ন করেছি। ভোট গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৮টায় এবং তার তা চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত। ভোট গ্রহণ শেষেই নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তিনি আরো বলেন, নো আইডি নো ভোট। সুতরাং ভোট প্রদান করতে হলে ভোটারকে সাথে করে অবশ্যই তার আইডি সঙ্গে আনতে হবে। তিনি একটি সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, এজন্য আমরা সকল ভোটারের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, বৃহত্তর নোয়াখালী সোসাইটির ১৬৮২ জন ভোটার ৪টি মেশিনে তাদের ভোট প্রদান করবেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, শুধু মাত্র বিরোধিতার জন্য তিনজন প্রার্থী ভোট করছেন। কিন্তু জনমত জরিপে দেখা যায়, বর্তমান কমিটির সমর্থকযোগ্য প্রার্থীরাই জয়ী হবার সম্ভাবনা রয়েছে। যাদের জীয় হবার সম্ভাবনা বেশি তারা হলে কোষাধ্যক্ষ পদে মহিউদ্দিন, সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে জামাল উদ্দিন এবং সাংগঠনকি সম্পাদক পদে নূরুল ইসলাম বাবু। যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তারা নির্বাচন করে শুধু শুধু সংগঠনের অর্থ অপচয় করছেন। তারা যদি নির্বাচন না করতেন, তাহলে সংগঠনের সংগঠনেই থেকে যেতো। নোয়াখালীর ভাষায় একটি প্রদান আছে- ‘ভাগের আইন্ডা দরকার হলে চাবাই ফেলে দেবো’- সেই অবস্থা হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থী এম হাসানুজ্জামান, আমির হোসেন ও শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরীর অবস্থা। তারা যদি পুরো প্যানেল নিয়ে নির্বাচন করতেন তাহলে কোন কথা ছিলো না- এমন মতামত দিয়েছেন অনেক ভোটার। তারা বলেন, এই তিন প্রার্থীর উদ্দেশ্য শুধু সংগঠনের অর্থের শ্রাদ্ধ করা নির্বাচন নয়। নির্বাচন করার ইচ্ছা যদি থাকতো তাহলে তারা ভোটার বানাতো। ভোটার না বানিয়ে তাদের অবস্থা দাঁড়িয়েছেন- ঢাল নাই, তোলোয়ার নেই, যেন নিধিরাম সর্দার।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক, সহ-সভাপতি আবুল বাশার, মোহাম্মদ টি মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউছুপ জসীম, সহ-সাধারণ সম্পাদক সালেহ এ চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক আইনুল ইসলাম সোহেল, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, ক্রীড়া ও শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, অফিস সেক্রেটারি গোলাম কিবরিয়া মিরন, কার্যকরি সদস্য জাহিদ মিন্টু, মাহমুদুল হক, আব্দুল মালেক খান, মোহাম্মদ মনির হোসেন এবং সোহেল আলম ভুইয়া।

শেয়ার করুন