২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৮:৪৯:০০ পূর্বাহ্ন


গ্যাস গ্রাহক শঙ্কা আসলেই কী
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১১-২০২৩
গ্যাস গ্রাহক শঙ্কা আসলেই কী


পেট্রোবাংলা ওয়েবসাইট তথ্য সূত্র হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশের একটি জাতীয় দৈনিকে পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিদ্যমান উৎপাদন বণ্টন চুক্তির আওতায় শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের প্রমাণিত উত্তোলণযোগ্য গ্যাস রিজার্ভ নিয়ে প্রকাশিত রিপোর্ট বিষয়ে বৃহৎ গ্যাস গ্রাহকদের মাঝে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নভেম্বর ২৫-২৬, ২০২৩ পেট্রোবাংলার দৈনিক গ্যাস উৎপাদন এবং সরবরাহ প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বিবিয়ানা প্রতিবেদনে উল্লিখিত ১২০০ এমএমসিএফডি ক্ষমতার বিপরীতে বিবিয়ানা থেকে সরবরাহ হয়েছে ১০৬২ মিলিয়ন ঘনফুট। এদিন স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্রসমূহের সম্মিলিত উৎপাদনের সঙ্গে আমদানিকৃত ৫০১ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি যোগ করে মোট সরবরাহ করা হয়েছে ২ হাজার ৫৭৭ মিলিয়ন ঘনফুট।

চাহিদা সরবরাহে ব্যবধান প্রায় ১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে দীর্ঘদিন থেকে সর্বোচ্চ মাত্রায় গ্যাস সরবরাহ করায় প্রমাণিত মজুদ অপেক্ষাকৃত দ্রুত হরে নিঃশেষিত হয়েছে। পেট্রোবাংলার কাছে নিশ্চিতভাবে শেভরন বিবিয়ানা রিজার্ভ বিষয়ে নিয়মিত তথ্য পাঠিয়েছে। আমি বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার সময় থেকেই জড়িত ছিলাম এবং উৎপাদনের সূচনা থেকেই নিজস্ব তাগিদেই খোঁজখবর রেখেছি। ওয়াটার ড্রাইভ প্রকৃতির গ্যাস রিজার্ভ থেকে গ্যাস সরবরাহের এক পর্যায় এসে দ্রুত ডিপ্লেশন হয়ে থাকে। সেই বিবেচনায় দ্রুত বিকল্পব্যবস্থা গৃহীত না হলে ২০২৫ থেকে বিবিয়ানার উৎপাদন অতিদ্রুত কমে যেতে পারে। জানি না, এই সময়ের মধ্যে পেট্রোবাংলা কতটুকু নতুন গ্যাস যোগ করতে পারবে।

হয়তো বর্তমানে চালু দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল ব্যবহার করে কিছু সরবরাহ বাড়তে পারে। আমরা কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে নানা আলোচনায় এবং আমার নিজস্ব প্রতিবেদনে সতর্ক করেছি। কিন্তু পেট্রোবাংলা নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় গ্যাস অনুসন্ধান কাজ ত্বরান্বিত করতে পারেনি। জিডিএফ ফান্ড ব্যবহারে সরকারের নীতিমালা যথাযথ হয়নি। পেট্রোবাংলা এবং কোম্পানিসমূহের তহবিল সরকার তুলে নিয়ে পেট্রোবাংলা এবং কোম্পানিসমূহকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করে ফেলেছে। 

জানি না কীভাবে ২০২৪, ২০২৫ গ্যাস সরবরাহ ঘাটতি মেটাবে পেট্রোবাংলা? কীভাবে গ্যাস ব্যবহারে বিদ্যুৎ, সার, শিল্পকারখানাগুলোর বর্তমান উৎপাদন চলবে? কেন সরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অবজ্ঞা করেছে? কেন আগামী সরকারের জন্য পরিস্থিতি বিব্রততর করা হলো? কে দেবে জবাব?

শেয়ার করুন