০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০২:৫৮:১৯ অপরাহ্ন


সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) পরিচয় শনাক্ত
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৩-২০২৪
সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) পরিচয় শনাক্ত


সাংবাদিক বৃষ্টি খাতুনের (অভিশ্রুতি শাস্ত্রী) পরিচয় অবশেষে শনাক্ত হয়েছে। বাবা সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলেছে বৃষ্টির ডিএনএ। আজ রবিবার (১০ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম।  
এতে করে প্রমাণিত হয়ে গেছে বৃষ্টি খাতুন শাবলুল আলম ও বিউটি খাতুনের সন্তান। একই সঙ্গে বৃষ্টি ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রী সনাতন ধর্মালম্বী এবং তার বাড়ী ভারতে এবং ছোট্ট বেলায় এ অভিশ্রুতিকে দত্তক নিয়েছিল কোনো এক পরিবার বলে যে দাবী তুলে সনাতম ধর্ম অনুযায়ী লাশের সৎকার করার দাবী করেছিলেন রমনা কালী মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা, সেটা পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট প্রমাণিত হয়েছে।


গত ২৯ ফেব্রæয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মারা যান বৃষ্টি খাতুন। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেওয়ার কারণে তার লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর রমনা মন্দিরের পুরোহিত বৃষ্টিকে সনাতন ধর্মাবলম্বী এবং সবুজ শেখ ও বিউটি খাতুন নিজের সন্তান বলে দাবি করেন।  এরপর মরদেহ শনাক্ত করতে নেওয়া হয় ডিএনএ নমুনা। নমুনা নেওয়ার ১১ দিন পর বৃষ্টির ডিএনএ’র সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে।


বৃষ্টি খাতুন বা অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর বিষয়ে জটিলতা প্রসঙ্গে এর আগে রমনা থানার এসআই হাবিবুর রহমান জানান, শুক্রবার (১ মার্চ) বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ কুষ্টিয়া থেকে হাসপাতালে এসে দাবি করেন- বৃষ্টি তার মেয়ে। পরে রমনা কালি মন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা রমনা থানায় লিখিতভাবে দাবি করেন- মেয়েটি সনাতন ধর্মের, তার নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী। তার বাড়ি ভারতে। শাস্ত্রী বিভিন্ন সময় কালিমন্দিরে এসে পূজা করতো। ফলে ডিএনএ’র মাধ্যমে তার পরিচয় শনাক্ত করা প্রয়োজন। এ কারণে বৃষ্টির মরদেহ তার বাবার কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি।


এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির বাবা শাবলুল কোনো নির্দেশনা পাননি। তবে ওই আদেশ হাতে পেলে তার লাশ গ্রহন করে সেটাকে মুসলিম রীতিতে দাফন করতে আর কোনো বাধা হওয়ার কথা না।

শেয়ার করুন