২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ৬:৩৮:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


মির্জা ফখরুল সম্প্রতি প্রকাশিত বিদেশী দুই পত্রিকার রেফারেন্স টেনে বলেছেন..
‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র নীরব মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে, গণতন্ত্র এখন লাইফ সাপোর্টে’
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-০৯-২০২৩
‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র নীরব মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে, গণতন্ত্র এখন লাইফ সাপোর্টে’


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি প্রকাশিত বিদেশী দুই পত্রিকার রেফারেন্স টেনে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র নীরব মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে। গণতন্ত্র এখন লাইফ সাপোর্টে।’ আজ শুক্রবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিকেলে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল রেফারেন্স টানেন নিউইয়র্ক টাইমস ও ভারতের টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন। যার মধ্যে নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নীরব মৃত্যুর দিকে যাচ্ছে। আর ভারতে টাইমস অব ইন্ডিয়া তারা একটা নিবন্ধ ছাপিয়েছে যেখানে তারা বলেছে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখন লাইফ সাপোর্টে। এ রেফারেন্স টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, এরপরও তাদের (সরকার) বোধদয় হয় না। চলে যায় বিদেশে, চলে যায় সেলফি তোলার জন্য। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে বিএনপি একা নয়, সারা বিশ্ব সঙ্গে আছে দাবি করে এই আন্দোলনে সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানিয়েছেন এ বিএনপি নেতা।

এ সময়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দিবসে আমাদের শপথ হচ্ছে যেকোনো মূল্যে এই সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাব না। কোনো নির্বাচন হবে না নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ছাড়া। এখনো সরকারকে বলছি, পদত্যাগ করুন, সংসদ ভেঙে দেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের  হাতে ক্ষমতা দেন। কেন দিতে চান না।


যদি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়, যদি জনগণ ভোট দিতে যেতে পারে তাহলে তারা ১০টা আসনও পাবে না। সেজন্য তারা প্রশাসনকে নিজেদের মতো করে সাজাচ্ছে।’

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এর প্রধান আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিনকে কারাদন্ড প্রদানের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার নিয়ে যিনি কথা বলতেন, যিনি বিচারবর্হিভূত হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন, যিনি নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়েছিল সেই হেফাজতে ইসলামী মিটিংয়ে তার বিরুদ্ধে কথা বলেছিলেন তাকে কারাদণ্ড দিয়েছে। আজকে এই সরকার এতো ভীত সন্ত্রস্ত্র যে তাদেরকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে। আজকে সারা বিশ্ব এই সরকারের নিন্দা জানিয়েছে এবং বলেছে, অবিলম্বে তাদেরকে মুক্ত করতে বলেছে।


ইউরোপীয় ইউনিয়ন তারা রেজুলেশন করেছে, অবিলম্বে এই মামলা বাতিল করে তাদের মুক্ত করা হোক এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হোক, মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হোক।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপের সুরে বলেছেন, আমি এত ভালো ভালো নির্বাচন করি আর দেশে-বিদেশে প্রশ্ন করে নির্বাচন ভালো হয় না। এটাই হচ্ছে এই বছরের টক অব দি ইয়ার, এটাই হচ্ছে এই বছরের শ্রেষ্ঠ কৌতুক। শেখ হাসিনা নির্বাচন করে ভালো নির্বাচন করে, আওয়ামী লীগ ভালো নির্বাচন করে একথা ঘোড়াও বিশ্বাস করে না। ওরা শুনলে হাসে।’

মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, যুব দলের শফিকুল ইসলাম মিল্টন, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, ছাত্র দলের রাকিবুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন এ সমাবেশে। 


শেয়ার করুন