২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:০১:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


ফান্ড রেইজিং এ শাহ নেওয়াজ
নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করবো
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০৬-২০২২
নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করবো বক্তব্য রাখছেন শাহ নেওয়াজ


বর্তমানে যে অবস্থা তাকে করে নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করবো ইনশাল্লাহ। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আমাদের জয়লাভের সম্ভাবনা উজ্জ্বল দেখে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের ব্যালটে নাম আগে পরে নিয়ে লটারি হয়েছিলো। সেই লটারিতে আমি জয়ী হয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী আমার নাম থাকার কথা ছিলো উপরে বা এক নম্বরে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের কারণে আমার নাম দেয়া হয়েছে ২ নম্বরে। গত ১০ জুুন সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে গিয়াস আহমেদ এবং তারেক হাসান খানের নেতৃত্বাধীন জেবিবিএ কর্তৃক আয়োজিত ফান্ড রেইজিং ডিনারে ডিস্ট্রিক্ট ২৪-এ থেকে ডিস্ট্রিক্ট লিডার প্রার্থী মানবদরদী শাহ নেওয়াজ এসব কথা বলেন।

জেবিবিএ’র সভাপতি গিয়াস আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খানের পরিচালনায় ডিস্ট্রিক্ট লিড়ার প্রার্থী জেবিবিএ’র সাবেক সভাপতি শাহ নেওয়াজের জন্য আয়োজিত ফান্ড রেইজিং ডিনারে আরো বক্তব্য রাখেন জেবিবিএ’র উপদেষ্টা আসেফ বারী টুটুল, সহ-সভাপতি মোল্লা মাসুদ, হাসান জিলানী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মফিজুর রহমান, বারী হোম কেয়ারের চেয়ারম্যান মুনমুন হাসিনা বারী, জেবিবিএ’র কর্মকর্তা রকি আলিয়ান, মোহাম্মদ হাসান, বেলাল আহমেদ, বাংলাদেশ সোসাইটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার, লায়ন্স কাবের সভাপতি আহসান হাবিব, মূলধারার রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ রশিদ, সৈয়দ রাব্বী, আব্দুর রহমান, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মাকসুদুল হক চৌধুরী, কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট রাইটসের প্রেসিডেন্ট শাহ শহীদুল হক, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান, কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মির্জা মনিরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, প্রার্থী আব্দুর রহমান, শিল্পী রানো নেওয়াজ, মোস্তফা অনিক রাজ প্রমুখ।

শাহ নেওয়াজ বলেন, আমি যে পদে প্রার্থী হয়েছিল সেটি হচ্ছে পিলার অব ডেমোক্রেটিক পার্টি। এই পজিশন অনেকেই ধরে রেখেছেন যার মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসম্যান গ্রেগোরি মিক্স, আমার প্রতিদ্ব›দ্বী ডেভিড উইপ্রিন। তারা দীর্ঘদিন ধরেই এই পদ আঁকড়ে রেখেছেন। কোনোভাবেই তারা এই পদ ছাড়তে চান না। তিনি আরো বলেন, ডেভিড উইপ্রিন আমাকে অনুরোধ করেছিলেন- এই পদে নির্বাচন না করার জন্য। আমাকে বলেছিলো স্টেট সিনেটর পদে নির্বাচন করতে। আমি তাকে বলেছি আপনি কেন এই পদ ধরে রেখেছেন? আপনি ছাড়ছেন না কেন? আমি নির্বাচন করবো। তিনি বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা তাকে করে নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করবো ইনশাল্লাহ। তবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কারণ আমাদের জয়লাভের সম্ভাবনা উজ্জ্বল দেখে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, প্রার্থীদের ব্যালটে নাম আগে পরে নিয়ে লটারি হয়েছিলো। সেই লটারিতে আমি জয়ী হয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী আমার নাম থাকার কথা ছিলো ওপরে বা এক নম্বরে। কিন্তু ষড়যন্ত্রের কারণে আমার নাম দেয়া হয়েছে ২ নম্বরে। তিনি বলেন, আমাদের এখানে প্রায় ২২ হাজার অ্যাকটিভ ভোটার রয়েছেন, যার মধ্যে বাংলাদেশি প্রায় ৬ হাজার বাংলাদেশি ভোট। জুইসদের ভোট রয়েছে ৪ হাজার ৮৮ ভোট। যে কারণে তারা আমাকে ভয় পাচ্ছে। তবে বাংলাদেশিদের অবশ্যই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে হবে। গত নির্বাচনে মাত্র ৫৫৭ জন বাংলাদেশি ভোট দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, আগামী ১৮ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত অগ্রিম ভোট শুরু হবে। অগ্রিম ভোট দিতে চাইলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করবেন, আমরা আপনার ভোট নিয়ে আসবো, মোট ৫টি সেন্টারে অগ্রিম ভোট দেয়া যাবে। তিনি বলেন, চ‚ড়ান্ত ভোট হবে আগামী ২৮ জুন। তিনি সবাইকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান।

গিয়াস আহমেদ বলেন, নির্বাচন মানে চ্যালেঞ্জ। আমি সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। তিনি বলেন, আল্লাহ বলেছেন, কেউ যদি তার ভাগ্য উন্নয়নের চেষ্টা না করে আল্লাহও তাকে সহযোগিতা করেন না। সুতরাং আমাদের সবাইকে ভোট দিতে যেতে হবে। তিনি বলেন, আমি যখন নির্বাচন করেছি, সাবিনি মাত্র সাদাদের ১০ শতাংশ ভোটে জয়ী হয়েছিলো। এই আসনে স্প্যানিস ভোট ছিলো প্রায় ৬৫ শতাংশ। কিন্তু তারা ভোট দিতে আসেনি। যে কারণে ৬৫ শতাংশ মার খায় ১০ শতাংশ ভোটের কাছে। তারপরেও আমি সেকেন্ড হয়েছিলাম। তিনি বলেন, এই দেশে আমাদের টিকে থাকতে হলে এবং অধিকার আদায় করতে হলে আমাদের ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- নির্বাচনে নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আসতে হবে। আমেরিকার রাজনীতিতে যে বর্ণবৈষম্য শুরু হয়েছে, তাতে নতুন প্রজন্মকে রাজনীতিতে আসতে হবে। কারণ তাদেরকেই এটা মোকাবিলা করতে হবে।

আসেফ বারি টুটুল বলেন, আমরা সবাই শাহ নেওয়াজ ভাইয়ের কাছে ঋণী। সেই ঋণ শোধ করার সুযোগ এসেছে। আমাদের সেই সুযোগটি কাজে লাগানো উচিত শাহ নেওয়াজ ভাইকে ভোট দিয়ে। উনি সব সময় কমিউনিটির পাশে ছিলেন, কমিউনিটিরও উচিত তার পাশে দাঁড়ানো। তিনি শাহ নেওয়াজকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মাকসুদুল হক চৌধুরী বলেন, আমাদের সবার একটি কথা মনে রাখা উচিত। আর সেটি হলো শাহ নেওয়াজ ভাই জিতলে আমরা জিতবো।

আব্দুল রহিম হাওলাদার বলেন, আমাদের মূলকাজ হবে ভোট দেয়া এবং ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসা। ভোটের দিন সারাদিন থাকবো এবং ভোটারদের নিয়ে আসবো।

কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম বলেন, আমি জানি কেউ কোনোদিন তার কাছ থেকে খালি হাতে ফিরেনি। আমাদের উচিত তাকে ভোট দেয়া এবং তার পাশে দাঁড়ানো।

উল্লেখ্য, লায়ন্স কাবসহ আরো কয়েকটি সংগঠন শাহ নেওয়াজের জন্য ফান্ড রেইজিংয়ের আয়োজন করে।

শেয়ার করুন