১২ এপ্রিল ২০১২, বুধবার, ০৩:১৭:২১ অপরাহ্ন


দেশকে রুহিন হোসেন প্রিন্স
দলীয় সরকারের অধীনে ইসি নিরপেক্ষ থাকবে এটা জনগণ বিশ্বাস করে না
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ।
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৭-২০২২
দলীয় সরকারের অধীনে ইসি নিরপেক্ষ  থাকবে এটা জনগণ বিশ্বাস করে না বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স /ফাইল ছবি


বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে ইসি নিরপেক্ষভাবে দাযিত্ব পালন করবে এটা এদেশের জনগণ কোনোদিনই বিশ্বাস করবে না। এদেশে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন। 

সরদার রুহিন হোসেন প্রিন্স, রুহিন হোসেন প্রিন্স নামে পরিচিত। এম এসএস করেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান থেকে। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মাধ্যমে রাজনীতিতে প্রবেশ। ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম ছাত্রনেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের খুলনা জেলার সভাপতিসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করার পর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক,সভাপতি(১৯৯১ থেকে ১৯৯৪), ১৯৯৪ দশকে গড়ে ওঠা বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সমন্বয়ক ও ১১ দলে সিপিবির প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন। ’৮০-এর দশক থেকে ১৯৯০ এ স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, নেতা ছিলেন। একাধিক বার গ্রেফতার হন ও অনেক সময় আত্মগোপনে থেকেছেন।

বাংলাদেশের দেশের সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী, স্বৈরাচারবিরোধী, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, সমাজতন্ত্রের সংগ্রামের অগ্রসর ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক, সামাজিক আন্দোলনের পরিচিত মুখ, রুহিন হোসেন প্রিন্স এখন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক। বাম গণতান্ত্রিক জোটের শীর্ষ নেতা। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। পার্টির রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও গণযোগাযোগসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। এবছরের ২৫ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পার্টির দ্বাদশ কংগ্রেস এ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। 

রুহিন হোসেন প্রিন্স বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্যতম শীর্ষনেতা, তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দররক্ষা জাতীয় কমিটির সংগঠক। এর পাশাপাশি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) নির্বাহী কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ শান্তি পরিষদের সম্পাদক এর দায়িত্বও পালন করছেন।

নিচে রুহিন হোসেন প্রিন্সের সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো। 

দেশ: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন বলে মনে করেন?

রুহিন হোসেন প্রিন্স: ঠিক যে সময়ে আপনার সাথে এবিষয়ে কথা বলছি তখন মানুষের দিকে তাকালে দেখতে পারি তাদের মধ্যে একটা বড়ো ধরনের আর্থিক সংকট যাচ্ছে। একদিকে তারা করোনাকালীন কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করেছে। ওই সময়ে অধিকাংশ মানুষের আয় কমে গিয়েছিল। জিনিসপত্রের দাম অনেক পরিমাণে বেড়ে গেছে। তাই বলতে হবে মানুষ এধরনের একটা দূরবস্থার মধ্যে আছে। এতে দেখা গেছে বিভিন্ন জায়গায় মানুষ হতাশা নিমজ্জিত হয়ে আছে। এধরনের সংকটে অনেকে ননান ধরনের অপকর্মে চলে আসছে যা আগে ছিলো না। এর পাশাপাশি একটা জিনিস লক্ষ করা গেছে সরকারের মধ্যেও কিছু বিষয় নিয়ে সংকট লক্ষ করা গেছে। যেমন বলা যায় জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকটের পাশাপাশি রিজর্ভ কিছুটা কমে যাওয়া নিয়ে সরকারের মধ্যে সংকট লক্ষ করা গেছে। অর্থাৎ একদিকে দেশে আর্থিক সংকট কাজ করছে অন্য দিকে সরকার দেশে যে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছে সে ধারাও অব্যাহত রাখছে। বর্তমানে দেশে রাজনীতিতে একটা নতুন সংকটের মাত্রা পেয়েছে। 

দেশ: এব্যাপারে সিপিবির মতো দলকে কি কোনোভাবে দায়ি করা যায় না? 

রুহিন হোসেন প্রিন্স: না মোটেই না। প্রথমত বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয়ী একটি দেশ পেয়েছি। এখানে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি কখনো ক্ষমতায় যায়নি। কিন্তু এপর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের নিজেদের কারণে একটা অনিবার্য পরিণতির দিকে চলে যাচ্ছে। এটা ঠিক কোভিড পরিস্থিতির কারণে দেশে এক ধরনের সংকট তৈরি হয়েছে। কিন্তু এধরনের পরিস্থিতি রাষ্ট্র ও সরকারের একটা বড়ো ধরনের দায় দায়িত্ব রয়েছে। যাতে করে সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা যায়। আয় কমে যাওয়া মানুষের আয় বাড়িয়ে দেয়া, সে কাজটা করতে হবে সরকার ও রাষ্ট্রের। কিন্তু বাংলাদেশে মুক্তবাজারের কারণে বাংলাদেশে আর্থিক সংকটের পাশাপাশি কোটিপতির সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে। বিদেশে অথ প্রাচার বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ অর্থ লুটপাটের ধারা অব্যাহত আছে। কিন্তু এর বিপরিতে সরকার কোনো ধরনের ব্যবস্থা না করার কারণে লুটপাটের ধারাটাই অব্যাহত আছে এবং এসংকট সৃষ্টি হয়েছে। সুতরাং এসংকট অব্যাহত রাখার দায় কোনোভাবেই আমরা নিতে পারি না,নিচ্ছিও না। 

দেশ: কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে তো আন্দোলন করছেন না। আসল কথা হলো জনগণ এসরকারের কাছে তাদের কাজে উপকার পেয়েছে। তাই মাঠের বিরোধীদলের কথা তারা আন্দোলনে নামছে না। মনে হচ্ছে এসরকার এখনো জনপ্রিয়। আপনি কি বলেন? 

রুহিন হোসেন প্রিন্স:এসবের উত্তর আগেই দেয়াই হয়েছে। এটা ঠিক মানুষ বুঝেছে একটা ভয়ংকর দুঃশাসনের মধ্যে তারা আছে। একটা ভয়ের সংস্কৃতি কায়েম হয়ে আছে। বিনা ভোটের সরকার জোর করে ক্ষমতায় আছে। দেশে দুর্নীতি লুটপাট অব্যাহত আছে। সাম্প্রদায়িকতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে এবং জনগণ এটাও বুঝে যে বর্তমানে দেশে যারা ক্ষমতায় আছে তাদের থেকে এর চেয়ে ভালো কিছু পাবে না তারা। এমন অবস্থা থেকে তারা পরিত্রাণ পাবেও না। কিন্তু দরকারটা কি? এর বাইরে একটা দৃশ্যমান বিকল্প শক্তি। কিন্তু এই যে বললেন দেশে এখন পর্যন্ত নীতিনিষ্টবান একটি বিকল্প দৃশ্যমান শক্তি বামপন্থীরা এখনো গড়ে তুলতে পারেনি বলেই জনগণ ভরসা পাচ্ছে না। তবে হ্যাঁ এর দায়দায়িত্ব আমাদেরও। আর বর্তমানে যাদের দেখছে মাঠে তাদের ব্যাপারে তো জনগণ জানে তারা আগে কি করেছে বা তাদের তারা ভবিষ্যতে কি সম্ভব। এমন শক্তির কাছে তারা ভরসা পাচ্ছে না যে তারা আবার ক্ষমতায় গেলে এর চেয়ে ভালো কিছু হবে। আর বামপন্থীরা অই ধরনের একটা বিকল্প মক্তি তৈরি করতে পারেনি বলেই জনগণ দূরে আছে। তবে আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই আমরা জনগণের ঐক্য চাই। সে এক্যের মাধ্যমেই জনগণের গণআন্দোলনের ধারাই এমন দুঃশাসনের পরিবর্তন করতে চাই। 

দেশ: আপনি কি বলবেন এসরকার কোনো ভালো কাজ করেনি?

রুহিন হোসেন প্রিন্স: দেখেন একথা ঠিক একটি সরকার দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছে। তাই দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে তো কিছু ভালো কাজ হয়ই। যদিও একথা মনে রাখার দরকার সরকার যেসব কাজ করে তা জনগণের টাকা থেকেই নিয়েই করে। তাদের নিজের টাকা না। তারা একটা নীতি নেয় । আর সে নীতির ভিত্তিতে তারা ভালো মন্দ কাজ করে থাকে। ভালো কাজের ব্যাপারে যদি বলি তাহলে বলবো দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। অনেক চাপ সংকটকে উতড়িয়ে তারা এটি করতে পেরেছে। একটা দৃঢ় অবস্থান নিয়ে তারা একাজটি করেছে।

এটা বলা যায় এসরকার দেশে কৃষি ক্ষেত্রে যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তার ব্যাপারে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। যদিও যতোটা দরকার ততটা হয়নি। তবে তারা কৃষিতে ভর্তুকি দেয়ার কাজটা অব্যাহত রেখেছে। তারা কৃষকদের বেশ কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। তারা সামাজিক বেষ্টনীর খাত চালু করেছে। তবে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলে সব সরকারই কিছু কিছু কাজতো ভালো করে যা-ই। এটাকে ধরে যেমন বলা যায় না যে এর আগে কোনো সরকারই ভালো কাজ করেনি, তেমনি এরাও যে সবই ভালো কাজই করেছে তা-ও বলা যায় না।  

দেশ: দেশের বাম রাজনৈতিক দলগুলি কোনোবারই ক্ষমতায় যেতে পারেনি। এর কারণ এদের প্রতি দেশের জনগণের কোনো সমর্থন নেই। 

রুহিন হোসেন প্রিন্স: আসলে রাজনৈতিক অঙ্গনে একথাটা সবাই বলা চেষ্টা করে যে, বাম দলগুলি রাজনতিকভাবে শক্তিশালী না। একারণেই বলা হয় যে এদের প্রতি জনগণের সমর্থন নেই। এক্ষেত্রে আমি যদি তাদের পাল্টা প্রশ্ন করি? না এটা আমি পাল্টা অভিযোগ করছি না। বলতে চাচ্ছি যে, বাম দলগুলি সমাজে রাজনৈতিক অঙ্গনে কথাগুলো বলে থাকে তাকে কি তিনি সঠিক বলে মনে করছেন, নাকি করছেন না। আমারা ধারণা অধিকাংশ লোকই বলবেন তা বামরা যা বলছেঠিকই বলছেন। এবার বলেন যারা আমাদের ঠিক বলছেন এমন মানুষগুলি যদি আমাদের পক্ষে না আসেন তাহলে আমরা কিভাবে জনসমর্থণ পাবো। তাই বলবো আমাদের জনসমর্থন নেই বলে বলছেন তাদের বলবো যারা আমাদের ভালো বলেও জনসমর্থনে এগিয়ে আসছে না তারাও কম দায়ি না এটা বিবেচনায় রাখা ভালো। তবে একথা বলা মধ্য দিয়ে আমি দায় এড়াচ্ছি না। তবে আপনারা মনে রাখবেন বামপন্থী শক্তি ক্ষমতায় আসলেই লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মানব মুক্তি লড়াই ও বর্তমানে যে সংকট আছে তার থেকে মুক্তি পাবে। 

দেশ: আপনারা জনসমর্থন পেতে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়েছেন। মাঠেও নেমেছেন। দেশে সুশাসনের দাবিতে হরতাল করেছেন। আপনি কি বলবেন আপনাদের কর্মসূচির প্রতি প্রতি জনগণের সমর্থন ছিল। 

রুহিন হোসেন প্রিন্স: দেখেন হরতাল যখন আমরা ডাক দেই অনেকে তখন বলে এটি ঠিকভাবে পালিত হলো কি না? জানতে চায় জনসমর্থন ছিল কি-না? এর মধ্য দিয়ে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেন। আমরা এর উত্তরটা এভাবে দিতে চাই। বলতে চাই যে ইস্যুতে ডেকেছি তাতে জনসমর্থন আছে কি-না? আমরা বলতে পারি যারা দলবাজিতে বিভাজিত হয়ে আছে তারা বাদে আমাদেরকে সবাই সমর্থন দিয়েছেন। তারা অবশ্যই বলবে যে হ্যাঁ বামপন্থীদের হরতালে জনগণের সমর্থন ছিল।দেশে একটা সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এধরনের কর্মসূচি প্রয়োজন। সেক্ষেত্রেতো আমি বলবো হরতাল একটা সফল হরতাল। তাহলে তো বলবো এমন হরতাল তারাই ভীত থাকেন, যারা সুশাসনে বিরোধিতা করেন তারাই। আমাদের ডাকা হরতালে কয়টা গাড়ি চললো তাতে ভীত নয় এরা। এরা ভীত আমাদের কর্মসূচিতে জনসমর্থন দেখে। 

দেশ: নাকি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে জনগণ সন্তুষ্ট। সেকারণে তারা আপনাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না। মাঠে নামছে না। 

রুহিন হোসেন প্রিন্স: আমার মনে হয় না। এটা ঠিক সাম্প্রতিক কালে পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হয়েছে। অই এলাকার মানুষ একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে। কিন্তু এ মানুষগুলি যখন বাজারে যাচ্ছে তখন তাদের অসন্তুষ্টিতাই চলে আসছে। পকেটে পয়সা নেই। অথচ বাজারে জিনিস পত্রের দাম বেড়েই চলেছে। সে যখন দেখছে বাজারে গিয়ে সে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার কিনতে পারছে না কারণ তার পকেটে টাকা নেই। কিন্তু অন্যদিকে দেশের কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে বলে সে দেখছে শুনছে। তখন তার তো সরকারের এমন উন্নয়নে সন্তুষ্টিতে থাকার কথা না।

তাই বলবো মানুষ তথাকথিত যে উন্নয়নের ধারা দেখে সন্তুষ্ট তা কিন্তু না। একটা ভয়ের পরিস্থিতি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে তার কারণে মানুষ চুপ করে আছে।  কিন্তু এই মানুষই ফুসে উঠবে যদি সামনে একটা নীতি নিষ্ঠ দৃশ্যমান শক্তি দেখতে পায়। তা না পাওয়ার কারণে চুপ করে আছে। সেটা দৃশ্যমান হলেই এমন দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জনগণে সে ভয় কেটে যাবে। কিন্তু ইতিহাস বলে বাংলাদেশের মানুষ যে কোনো সময়ে রাজপথে নেমে তার মনে যে তীব্র অসন্তুষ্টি রয়েছে তার বহিঃপ্রকাশ দৃশ্যমানভাবে ঘটাবে বলেই আমার ধারণা।

দেশ: পরিষ্কারভাবে বলুনতো এসরকার বা বর্তমান ইসির অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কি কোনোভাবেই সম্ভব না?

রুহিন হোসেন প্রিন্স: এটা শুধু এসরকার না বাংলাদেশের বাস্তবতায় বলতে হবে কোনো সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না। এদেশে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনে সম্ভাবনা নেই। এই দলীয় সরকারের অধীনে যেই ইসিই থাকুক না কোনো তার পক্ষে সরকারের নির্দেশ অমান্য করার ক্ষমতা নেই। একটি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে এটা এদেশের জনগণ কোনোদিনই বিশ্বাস করবে না।


শেয়ার করুন