২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০২:০৯:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব গ্রহন ঋষি সুনাকের
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-১০-২০২২
বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর দ্বায়িত্ব গ্রহন  ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়ে প্রথম ভাষন দিচ্ছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক/ছবি সংগৃহীত


বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ পেলেন ঋষি সুনাক। দেশটির ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির আইনপ্রণেতাদের সমর্থনে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি।  মাত্র দুই মাস আগে ভোটাভুটিতে লিজ ট্রাসের কাছে হেরে যান সুনাক। ছয় সপ্তাহ ধরে নানা আলোচনা ও সমালোচনার পর লিজ ট্রাস গত সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালে সুনাক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।

কেমন হবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী সুনাক 

কেমন হবেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে আলোচনার আর অন্ত নেই। বিভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে তার সমার্থ,অসমর্থতা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন। বিশেষ করে বরিস জনসনের উত্তরসূরী-এটা বড় ব্যাপার। লিজ ট্রাষ্ট যেখানে ব্যার্থ সেখানে মুহুর্তেই প্রধানমন্ত্রীত্বটা পেয়ে গেছেন সুনাক অনেকটা অটো প্রসেসে এটা তার জন্যও এক পরম পাওয়া। যার পুরাপুরি সদ্ব্যব্যাবহারের ও বাসনা তার। প্রায় ছয় সপ্তাহ ধরে নানা আলোচনা-সমালোচনা পর  লিজ ট্রাস কত সপ্তাহে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সরে দাঁড়ান এরপরই হতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী এমন খবর ছিল, এবং তাই হলো। তিনি হলেন যুক্তরাজ্যের প্রথম কোনো অশ্বেতাঙ্গ প্রধানমন্ত্রী। 



বাকিংহাম প্যালেসে ঋষি সুনাককে স্বাগত জানাচ্ছেন রাজা তৃতীয় চার্লস। ছবি সংগৃহীত 


বৃটেনের কনজারভেটিভ পার্টির সমর্থন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া এ নতুন নেতা জনগণের উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রথম বক্তব্যে বলেন, আমি যে দলকে ভালবাসি যে দলের জন্য ও দেশের জন্য কাজ করতে পারা আমার ঋণ শোধের সুযোগ।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের অন্যতম সম্পদশালী এ রাজনীতিবিদ যুক্তরাজ্যের কাউন্টি শহর  সাউদাম্পটনে তাঁর জন্ম । ২০১৫ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে প্রবেশ করেছিলেন তিনি।  সুনাকের সামনে এখন বেশ কিছু সমস্যা সমাধানের চ্যালেঞ্চ। অর্থবাজার স্থিতিশীলতার পথ খুঁজতে হবে তাকে। তবে এই নিয়ন্ত্রণের জন্য কর বাড়াতে হবে অথবা খরচ কমাতে হবে। আর এর কোনোটাই জনপ্রিয় হবে না বৃটিশদের কাছে। তাছাড়াও সুনাককে বিভক্ত একটি দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। এ জন্য সময় লাগবে। খুব তাড়াতাড়ি এ কাজ করা যাবে না। সবার আগে সুনাক যুক্তরাজ্যের টালমাটাল অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা ও রাজনীতিতে ঐক্য আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখণ সেটা করতে পারাই তার মুল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।   


শেয়ার করুন