১১ মে ২০১২, শনিবার, ০৮:৩৪:১১ পূর্বাহ্ন


অকালে ঝরে গেল সাকিব
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৮-২০২২
অকালে ঝরে গেল সাকিব


অকালেই ঝরে গেল আরেকটি তরুণ প্রাণ। তার নাম সাদ্দাত আহমেদ সাকিব। বয়স মাত্র ৩৩ বছর। সাকিবের আত্মীয় ফারুক চৌধুরী জানান, অন্যদিনের মতো গত ৫ আগস্ট সাকিব কাজে গিয়েছিলো। সে কাজ করতো ম্যানহাটনের লোয়ার ম্যানহাটনের একটি রেস্টুরেন্টে। সাকিব সাধারণত রাত ১১টার দিকে বাসায় ফিরতো। মাঝে মধ্যে আবার দেরিও করতো। রাত ১১টার দিকে বাসায় না আসায় সাদ্দাত আহমেদ সাকিবের বাবা তারেক আহমেদ সাহান এবং তার মা সালেহ আহমেদ সেলি তার ছেলের ফোনে কল দিতে থাকেন, কিন্তু ফোনে কোনো উত্তর পাচ্ছিলেন না। মাঝে মধ্যে যেহেতু দেরি করে আসে সেজন্য তারা অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু সারারাত সাকিব আসেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে কে বা কারা পুলিশকে কল দেয়। পুলিশ এবং অ্যাম্বুলেন্স সাথে সাথেই আসে।

অ্যাম্বুলেন্স এসে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং সকাল ৯টার দিকে পুলিশ সাকিবের বাবাকে কল করে এবং পরিস্থিতি বর্ণনা করে। হাসপাতালে সাকিবকে একদিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় এবং ৬ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার মৃত্যুতে পুরো কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। সাকিবের নামাজে জানাজা গত ৮ আগস্ট বাদ জোহর জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। তার নামাজে জানাজায় কমিউনিটির সর্বস্তরের লোকজন অংশগ্রহণ করেন। নামাজে জানাজা শেষে সাকিবের লাশ লংআইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মোমেরিয়ালের মুসলিম গোরস্তানে দাফন করা হয়।

জানা গেছে, ২০১৬ সালে সাকিব প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু তাদের সেই বিয়ে টিকেনি। সেই থেকে মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন সাকিব। মানসিক যন্ত্রণা থেকে বাঁচতেই হয়তো অন্যকিছু গ্রহণ করতে পারেন। এদিকে ফারুক চৌধুরী বলেন, হার্টঅ্যাটাকে সাকিবের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, সাকিবের জন্ম এখানেই। লেখাপড়াও এখানে করেছেন। সেফের ট্রেনিং নিয়ে সে একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতো। সাকিবের দেশের বাড়ি বিয়ানীবাজারে। তার একটি ছোট ভাই রয়েছে। বাবা-মা’সহ তারা কিউগার্ডেনের একটি বাসায় থাকতেন। এখন সেই বাসায় শোকের মাতাম।


শেয়ার করুন