০৪ মে ২০১২, শনিবার, ১১:৩৩:২৮ পূর্বাহ্ন


আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তির অপেক্ষা
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১২-২০২৩
আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তির অপেক্ষা


আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তিতে নজর এখন বাংলাদেশের। অনুমোদনকৃত ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের প্রথম কিস্তি লাভ করেছিল বাংলাদেশ এ বছরেরই গোড়ার দিকে ২ ফেব্রুয়ারিতে। সেটা ছিল ৪৭৬ দশমিক ২৭ মিলিয়ন ডলার। এরপর থেকে দ্বিতীয় কিস্তি পানে নজর। 

ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবটি আগামী সপ্তাহে সংস্থাটির বোর্ড সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে বলে খবর বেরিয়েছে। বোর্ডের বৈঠকের সময়সূচি অনুসারে, আগামী ১২ ডিসেম্বর ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলার অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ ব্যাপারে আইএমএফ প্রতিনিধিরা এসে ঘুরে গেছেন বাংলাদেশে। কিন্তু এ প্রতিনিধিদল শতভাগ সন্তুষ্ট হতে পারেননি। কেননা চলতি বছরের প্রথমার্ধে আইএমএফ নির্ধারিত ৬টি শর্তের মধ্যে বাংলাদেশ দুটি পূরণ করতে পারেনি। 

জানা গেছে, বৈঠকে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে সেগুলো হলো- অনুচ্ছেদ-৪ পরামর্শ ও বর্ধিত ঋণ সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা এবং স্থিতিস্থাপকতা ও স্থায়িত্ব সুবিধার পর্যালোচনা। 

গত অক্টোবরে আইএমএফ প্রতিনিধিদল দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফর করে। এরপর তারা ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করে বোর্ডের কাছে বাংলাদেশের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা আশাবাদী যে, আইএমএফ বোর্ড সভায় দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাবটি অনুমোদিত হবে। তারা আইএমএফকে ঋণের দুটি শর্ত পূরণে বাংলাদেশের অপারগতা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু এতে তারা কতটুকু সন্তুষ্ট হয়েছেন সেটা জানা না গেলেও এ ব্যাপারে বেশ আশাবাদী বাংলাদেশ, যে দ্বিতীয় কিস্তিটা পাওয়া যাবে যথাশীগ্র। তবে যতদূর জানা গেছে ওই অর্থ পেলে বাংলাদেশের অন্তত ১৫ দিনের খরচ চলবে। 

যেসব শর্ত পূরণ হয়নি 

আইএমএফের দেওয়া শর্তাদির মধ্যে বাংলাদেশ যেসব শর্ত পূরণ করতে পারেনি তার মধ্যে একটি হলো, গত জুন ২০২৩ শেষে ন্যূনতম ২৪.৪৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রাখা। সেটা সম্ভবপর না হওয়ার কারন দেখানো হয়েছে, জ্বালানি, সার ও খাদ্যপণ্যের দাম পরিশোধে সরকারকে রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়েছিল বলে লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার কমেছে। বর্তমানে আইএমএফ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৪০ বিলিয়ন ডলারে।

অন্যদিকে ন্যূনতম কর-রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা যায়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কমপক্ষে ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা কর-রাজস্ব আদায়ের প্রয়োজন ছিল। অর্থ বিভাগের প্রতিবেদন বলছে, শেষ পর্যন্ত তিন লাখ ২৭ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা কম।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বোর্ড বাংলাদেশের জন্য ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে। গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। বাকিগুলো আরও পাঁচ দফায় পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন