২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০২:৪৮:২২ অপরাহ্ন


দেশকে অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম
দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৯-২০২২
দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম


রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এবং গণতন্ত্র মঞ্চের পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ। এক কথায় ভয়াবহ। আমার ধারণা শাসক দলও স্বীকার করবে যে, তাদের নিজেদের তিন মেয়াদের মধ্যে দেশ এখন সবচেয়ে নিকৃষ্ট পরিস্থিতিটি পার করছে। পুলিশ সরাসরি গুলি করে মিছিলে মানুষ হত্যা করছে। আমেরিকা থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় দেশ পত্রিকায় এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন। 

হাসনাত কাইয়ুম, আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে বাংলাদেশ লেখক শিবিরের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখার জন্য বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ এবং ১ম সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবন শেষে কৃষক-শ্রমিকদের সাথে যুক্ত হওয়া এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোটের পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে রাজনৈতিক দায়িত্ব পালন করেন। কৃষক আন্দোলনের এক পর্যায়ে কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চলে জেলেদের নিয়ে ‘জেলে ফেডারেশন’ গঠন এবং ইজারাবিরোধী অন্দোলন গড়ে তোলা। বহুবার কারাবরণ। রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় এবং পরবর্তীতে পানি ও পরিবেশ আন্দোলনে যুক্ত হওয়া। ‘হাওর অঞ্চলবাসী’ গঠন এবং ‘জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন বাস্তবায়ন আন্দোলন’-এর সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। পাশাপাশি ‘রাষ্ট্রচিন্তা’ এবং পরবর্তীতে ‘রাষ্ট্র সরকার আন্দোলন’ গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।  বর্তমানে রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক এবং গণতন্ত্র মঞ্চের পরিচালনা কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্বরত। নিচে অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুমের সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো। 

দেশ: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন বলে মনে করেন?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: ভয়াবহ। এককথায় ভয়াবহ। আমার ধারণা শাসক দলও স্বীকার করবে যে, তাদের নিজেদের তিন মেয়াদের মধ্যে দেশ এখন সবচেয়ে নিকৃষ্ট পরিস্থিতিটি পার করছে। পুলিশ সরাসরি গুলি করে মিছিলে মানুষ হত্যা করছে। তারা নিজেরা বলছেন যে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তাদের নেতাকর্মীরা পাচার করেছে এবং সেই টাকা যাতে দেশে ফেরত আসে তার জন্য সর্বনিম্ন ট্যাক্স পরিশোধ করে বৈধ করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। আইন করে বিদ্যুৎ খাতের কুইক রেন্টালের নামে গত ১০ বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা ‘ক্যাপাসিটি চার্জ’ হিসেবে পরিশোধ করা হয়েছে। দেশের গুম-খুনে সেনাবাহিনীর সদস্যদের ব্যবহার করে ‘আয়নাঘর’ নামক গুমখানা চালু রাখার খবর দেশ-বিদেশের মিডিয়াতে প্রচার হলেও সরকার কিংবা সেনাবাহিনী বা ডিজিএফআই কেউ এ বিষয় অস্বীকার করতেও পারছে না। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন এইসব অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছে। বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ, মিছিলের ওপর একদিকে পুলিশ আর  দলীয় লাঠিয়াল বাহিনী আক্রমণ করছে, বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি ইউক্রেন যুদ্ধের অজুহাতে তাদের সীমাহীন লুটপাট এবং পাচারকে অব্যাহত রাখার জন্য জ্বালানি তেলসহ সকল প্রকার পণ্যমূল্য এমনভাবে বাড়ানো হয়েছে যে মানুষ রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।  সব মিলিয়ে এক অসহনীয় পরিস্থিতি বলতে পারেন।

দেশ: এমন পরিস্থিতি কি আগে দেখেননি?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম : এ পরিস্থিতি কেবল ৭২-৭৫-এর সাথেই তুলনীয় হতে পারে। তবে অন্তর্নিহিত চরিত্রে ২টি আমলের মধ্যে অনেক মিল থাকলেও দৃশ্যত অনেক পার্থক্যও আছে।

দেশ: এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য কাকে দায়ী করেন?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: এ রকম পরিস্থিতির জন্য জন্য যদি শুধু কোনো একজন ব্যক্তিকে দায়ী করতে বলা হয়, তাহলে তা করতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু আমরা এমন পরিস্থিতির জন্য কোনো একক ব্যক্তিকে দায়ী করি না। আমরা মনে করি, এ অবস্থার জন্য প্রধানত দায়ী হলো এই রাষ্ট্রের জবাবদিহিহীন সাংবিধানিক ক্ষমতা কাঠামো এবং পরিচালনা পদ্ধতি। সংবিধানই, রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতা একজনের হাতে তুলে দিয়েছে এবং তাকে সকল প্রকার জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নিয়ে গেছে। কারো কাছে তার জবাবদিহিতার ব্যবস্থা নেই, কিন্তু সবাই তার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। তিনি সংবিধানেরও ঊর্ধ্বে। সংসদে তিনভাগের দুইভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলে তিনি যে কেবল যে কোনো ধরনের অপকর্ম করার জন্য আইন বানাতে পারেন তাই নয়, তিনি চাইলে সংবিধানও বদলে দিতে পারেন। দেশের এই রকম অবস্থার জন্য এই উদ্ভট ক্ষমতা কাঠামোই মূলত দায়ী।

দেশ: দেশের একটি সুস্থ রাজনৈতিক ধারা প্রতিষ্ঠায় আপনারা কি করছেন?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: আমরা প্রথমে বাংলাদেশের সংবিধানের (৭২-এর সংবিধানের) একটি নির্মোহ পর্যালোচনা করেছি। আমরা দেখেছি সংবিধান সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি না মেনে ইচ্ছেমতো চলার সুযোগ দিয়েছে। সংবিধান অনুযায়ীই রাষ্ট্র, সরকার এবং সরকারি দল একাকার। তাই সরকারি দলের অপকর্মের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রে প্রতিকার পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা দেখেছি, এখানকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় সরকারি দলকে কখনো যাতে পরাজিত না করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পথে সরকার বদলের ব্যবস্থাকে রুদ্ধ করে হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্র চক্রান্ত তথা, বলপ্রয়োগের কাজকেই এখানে রাজনীতি হিসেবে চালু করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে জনগণের সংবেদনশীল, সুস্থ, মানবতাবাদী, চিন্তাশীল এবং মানুষের কল্যাণকামী অংশকে রাজনীতি থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। আমরা রাষ্ট্রের এই মৌলিক সংকটগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরেছি এবং সংকট সমাধানের জন্য অন্ততপক্ষে নির্বাচন, আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, অর্থনীতি এবং সাংবিধানিক ক্ষমতা কাঠামো রাষ্ট্রের এই ৭টি ক্ষেত্র সংস্কারের ৭ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছি এবং এই ৭ দফা বাস্তবায়নের জন্য ‘সংবিধান (সংস্কার) সভা’র নির্বাচন করার দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি । 

দেশ: আপনরা যে গণতন্ত্র মঞ্চ করেছেন তাতে কি জনগণের সমথর্ন আছে? জনগণ কি আপনাদের ডাকে সাড়া দেবে বলে মনে করেন?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: আমরা মনে করি এবং ইতিমধ্যেই তার আলামতও টের পাচ্ছি যে, মানুষ ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’কে তাদের নিজেদের রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে মানসিকভাবে গ্রহণ করেছে এবং জনগণ আমাদের ডাকে সাড়া দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

দেশ: এদেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধ করেছে, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন করেছে। গণতন্ত্রের আন্দোলন করতে গিয়ে বেশ কয়েকবার প্রাণ দিয়েছে তারা। এতো কিছুর পর সাধারণ জনগণ কি পেয়েছে বলে মনে করেই আপনাদের ডাকে তারা এখন আর সাড়া দেয় না- কথাটা কি ঠিক?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: এটা সত্য যে, ৫০ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাই, দেশের মানুষকে বিদ্যমান রাজনীতি, রাজনৈতিক দল এবং নেতাদের অধীনে আন্দোলনে নামতে আর উদ্বুদ্ধ করতে পারছে না। আপনি ওপরে যে আন্দোলনগুলির কথা বলেছেন, তার প্রত্যেকটি আন্দোলনই সফল হয়েছে, কিন্তু অভিজ্ঞতা হলো এসব আন্দোলনের সফলতা জনগণের কোনো কাজে আসেনি, তাদের অধিকার এবং সম্মানকে প্রসারিত করেনি, বরং আগের চেয়ে আরো সঙ্কুচিত এবং শৃঙ্খলিত করেছে। মানুষ দেখেছে সরকার বদল করে, দল বদল করে এমনকি দেশ ভেঙে নতুন দেশ বানানোর পরেও মানুষের অধিকার না বেড়ে তা আরো কমে যেতে পারে। তাই মানুষ প্রচলিত এসব রাজনীতি, আন্দোলনের প্রতি আস্থা হারিয়েছে আর এর সুযোগ নিচ্ছে বিদ্যমান শাসকরা। তবে মানুষ যদি এমন কোনো রাজনীতি দেখতে পায় যে, যেই রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে শুধু মাত্র দলীয় নেতাকর্মীরা নয়, জনগণের অবস্থার পরিবর্তন হবে, তাহলে সেই ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য তারা মাঠে নামবে বলেই আমরা বিশ্বাস করি।

দেশ: গণতন্ত্র মঞ্চ করে কি দেবেন দেশের জনগণকে?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: গণতন্ত্র মঞ্চ, দেশের বিদ্যমান শাসনতন্ত্র (সংবিধান) সংস্কার করে, জনগণের হাতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা তুলে দিতে চায়। অর্থনৈতিক লুটপাট এবং পাচারবান্ধব আইন কানুনের পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশে ব্যাপক বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায়। রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন নির্যাতন দমন পীড়নমূলক উপনিবেশিক আইনকানুন পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে জনগণের ভোটের অধিকার নিরঙ্কুশ করতে চায়। সংখ্যানুপাতিক এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মিশ্র পদ্ধতি চালু করে সকল মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে চায়। সংসদ এবং সাংসদদের কেবলমাত্র আইন প্রণয়নের কাজে সীমাবদ্ধ করতে চায়, অথনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার সকল ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ করতে চায়। রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন এবং সেবাখাত স্থানীয় সরকারের হাতে তুলে দিতে চায়। উন্নয়ন নীতিমালাকে পরিবেশবান্ধব করতে চায়। সর্বোপরি রাষ্ট্রের সকল ক্ষমতার মালিকানা শুধু কাগজ-কলমে নয়, বাস্তবে জনগণের হাতে তুলে দিতে চায় এবং এসব প্রয়োজনীয় কাজগুলি সম্পন্ন করার জন্য বর্তমানে ভোট জালিয়াতির মাধ্যমে যারা অনৈতিকভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে আছে তাদের অপসারণ চায়। তারা নিজেরা সরে না গেলে জনগণকে সাথে নিয়ে এদের ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করতে চায়।

দেশ: এসরকার কি জনগণের জন্য কিছুই করেনি? তাদের উন্নয়নে আকৃষ্ট হয়েই জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দেয় না- কথাটা কি ঠিক?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: এ সরকার জনগনের অনেক কিছুই করেছে কিন্তু জনগণের জন্য কিছু করেনি। তারা যা কিছু করেছে তার সবই তারা করেছে জনগণের নামে কিন্তু করেছে নিজেদের লুটপাট এবং পাচারের জন্য। গত আড়াইশ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের নিজেদের অর্থনৈতিক ভিত্তি পাল্টাবার সুয়োগ শুরু হয়েছিল গত ১৫-২০ বছর আগে থেকে। এ সময়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড (জনসংখ্যায় তরুণদের আধিক্য), বেপরোয়া মাইগ্রেশন এবং রেমিট্যান্স, গার্মেন্টস সেক্টরে নারীদের অবদান, কৃষি উৎপাদনে অবিশ্বাস্য উল্লম্ফন এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এশিয়ার উঠে আসার প্রবণতার সুযোগে আমরা যতোটুকু সম্পদ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিলাম, তা যদি এতো ব্যাপকহারে পাচার না করে শুধু দেশে বিনিয়োগ করা যেতো, তাহলে আজ ইউরোপের এই যুদ্ধ আমাদেরকে এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত করতো। কিন্তু অত্যন্ত সংকীণ স্বার্র্থে এবং নিকৃষ্ট পদ্ধতিতে তা শেষ করা হয়েছে। ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের’ সুযোগটা যাতে আমরা কোনোভাবে কাজে লাগাতে না পারি, তার জন্য ২০৪১ সাল পর্যন্ত এরা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চায় কারণ এরপর থেকে আমাদের এই সুযোগ আপনাতেই শেষ হয়ে যাবে এবং বোঝা হয়ে ফেরত আসবে। কিন্তু এসব বিষয় আমরা জনগণের সামনে স্পষ্ট করতে পারিনি। তাই আমাদের সম্ভাবনার অপচয়কেই এরা উন্নয়ন বলে চালাতে সক্ষম হয়েছে।

দেশ: আপনার পক্ষ থেকে সরকারকে কি পরামর্শ দেবেন?

অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম: সরকারের জন্য আমাদের পরামর্শ একটাই, যতো দ্রুত সম্ভব এই সর্বনাশা খেলা থেকে সরে আসুন, পদত্যাগ করুন। ৫০ বছরের অভিজ্ঞতায় সাংবিধানিক যেসব ব্যবস্থা, যে ক্ষমতা কাঠামো, রাষ্ট্র পরিচালনার যেসব আইনকানুন আমাদের জনগণের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে সবার কাছে ধরা পড়েছে সেগুলির পরিবর্তনের জন্য সবাই আলাপ-আলোচনা করে শান্তিপূর্ণ পথে সেগুলির পরিবর্তন, সংশোধন-সংস্কার করার জন্য ভূমিকা নেন। মানুষ মুক্তি পাবে, আপনারা নিজেরাও মুক্তি পাবেন।

শেয়ার করুন