২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৩:৪১:১৬ পূর্বাহ্ন


বাস লঞ্চ এর ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক , বিএনপির অভিযোগ
যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতায় আগভাগেই এসেছেন, কাটিয়েছেন নির্ঘুম রাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১০-২০২২
যাতায়াতের প্রতিবন্ধকতায় আগভাগেই এসেছেন, কাটিয়েছেন নির্ঘুম রাত খুলনার সম্মেলনে যোগ দিতে বালুর ট্রলারে করে যাচ্ছে মানুষ/ছবি সংগৃহীত


খুলনা সম্মেলন অভিমুখে যেন মানুষের ঢল নেমেছে। বিভিন্নভাবে পথে বাধাগ্রস্থ হলেও অদম্য ইচ্ছা নিয়ে অনেকেই এসে  উপস্থিত। কেউ ফিরেও গেছেন। তবে বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সম্মেলনে যেতে বাধা দেয়ায় বিএনপি নেতা কর্মী ও সমার্থকদের মধ্যে অন্যরকম এক চ্যালেঞ্জ বিরাজ করছে। এক পক্ষ বাধাদানে চেষ্টা। বাস,লঞ্চ সহ পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বন্ধ রেখেছে মালিক সামিতি।

অন্যদিকে প্রাইভেট পরিবহনগুলোও পুলিশী হয়রানির ভয়ে যাচ্ছেনা খুলনা অভিমুখে। ফলে যশোর পর্যন্ত ঠিকঠাক এলেও সেখান থেকে বিভিন্ন উপায় যাচ্ছেন নেতাকর্মী সেটা সমাবেশের আগের দিনই। আজ সমাবেশের আগে গত রাতে খুলনার সমাবেশস্থলের আশপাশ,বিএনপি অফিসের সম্মুখে মানুষ কোথাও বসে কোথাও চাদর বিছিয়ে রাত কাটিয়েছে। পথে পথে বাধাদানের জন্যই তারা আগভাগে এসে পৌছে অপেক্ষা আজ সম্মেলনে সঠিকভাবে অংশ নেয়ার জন্য। 


নদীপথে বালুর বা অণ্যসব ট্রলার সহ বিভিন্ন উপায় মানুষ আগের দিনই পৌছে যাচ্ছে। বিকেলে খুলনা বিএনপি অফিসের সামনে মানুষের ঢল নেমেছে। মিছিল করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন উপায়ে শনিবারের (২২ অক্টোবর) সম্মেলনে যোগ দিতে মানুষ মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

জানা গেছে সমাবেশের অন্তত দুইদিন আগেও অনেকেই শুকনা খাবারাদি নিয়ে রওয়ানা হয়েছেন। খুলনা যাবার একমাত্র পথ ট্রেন। এতে যতটা খুশী যেতে পারছে। অন্য সব বাহন প্রায় বন্ধ। 

যেহেতু চট্টগ্রামের পর ময়মনসিংহে বাধা দেয়া হয়েছে সম্মেলনে যেতে এ জন্য নেতারা আগ থেকেই কিভাবে যাবে, পরিস্থিতি কী হলে কী করতে হবে সে পথ বাতলিয়ে রেখেছেন। ফলে প্রত্যাশা অনুসারে জনসমাগম না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও অনেকেই উৎসাহ নিয়ে ছুটছেন। 

এদিকে খুলনায় বাস ও লঞ্চ মালিক শ্রমিকরা শুক্রবার সকাল থেকেই ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট ডেকেছে।  বিএনপির অভিযোগ বিএনপির সমাবেশে মানুষ যাতে যেতে না পারে এ জন্য আওয়ামি লীগের নির্দেশনায় ওই ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছে। 

এদিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সমাবেশকে বানচাল করতে গোটা বিভাগজুড়ে ভয়ের সংস্কৃতি সৃষ্টি করা হয়েছে। পরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লঞ্চ ট্রলার চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। 

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, সমাবেশকে বানচাল করতে গোটা বিভাগজুড়ে ভয়ের সংস্কৃতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

তিনি বলেণ, এ সমাবেশ দেশে গনতন্ত্র পূনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। জনদাবির সমর্থনে আন্দোলনে শহিদ ৫ সহকর্মী হত্যার বিচারের দাবিতে। এই সমাবেশ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবিতে। জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর দাবিতে। যে কোনো মূল্যে এই কর্মসূচি সফল করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

জানা গেছে, মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন চলাচলের প্রতিবাদে গত ২০ ও ২১ অক্টোবর খুলনার বাস মিনিবাস কোচ মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে বাস ধর্মঘট আহবান করে। এরপর খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আহবান করেছেন। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।


শেয়ার করুন