২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:০৪:১২ পূর্বাহ্ন


খুন, অগ্নি সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে হবে- প্রধানমন্ত্রী
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১০-২০২২
খুন, অগ্নি সন্ত্রাস জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িতদের ধরতে হবে- প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর দল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী হওয়ায় বিএনপির আন্দোলন করতে পারছে। তবে বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নি সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, তাদের ধরতে হবে। তাদের কোনো ছাড় নেই। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সভাপতিত্ব শুরুতে ভাষণে এসব কথা বলেন।

 সংসদের সভায় সভাপতিত্ব কালে দেওয়া সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ওপর মানুষের আস্থা রয়েছে বলেই তিনবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এবারও দিবে। কিন্তু যারা সন্ত্রাসী খুনি জনগণের দল জনগণের অর্থ লোপাট করেছে, গাড়িতে বোমা হামলাকারী ও অর্থ পাচার কারি তাদের বিশ্বাস করেনা ভোট দেবেনা।

তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে ব্যয় কমাতে হবে। তাই ২২ তম জাতীয় সম্মেলনের খরচ কমিয়ে আয়োজন হবে। সাদামাটা সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে হবে বলে কমিটির সভা গঠনের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন আমরা দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং কাজ করে যাব। আমাদের উন্নয়নের কথা গুলো যেমন মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে, ঠিক তেমনি ভবিষ্যতের জন্য যে পরিকল্পনা করছি সেটাও মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি আমলে লুটপাট দুর্নীতি সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ গ্রেনেড হামলা অত্যাচার-নির্যাতন খুন রাহাজানি এমন কোন অপকর্ম নেই যে তারা করেনি। যে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় অর্জন করে এসেছে সেই বাংলাদেশকে তারা ভিক্ষুকের দেশে পরিণত করে হাত পেতে চলার দেশে পরিণত করেছিল। সেখান থেকে বাংলাদেশকে তুলে নেয় আজকে আমরা আত্মমর্যাদাশীল দেশে পরিণত করেছি, এখন দেশকে বিশ্বের মানুষ সম্মানের চোখে দেখে। 

প্রধানমন্ত্রী বিএনপি আমলের সন্ত্রাস ও বর্বরতার চিত্র তুলে ধরে আরো বলেন, ২০০১ সালের পর বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের সভায় একের পর এক বোমা ও গ্রেনেড হামলা চালানো হলেও বিএনপি এখন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে পারছে। 

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, কামরানের উপর বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। এছাড়া বিএনপি জামাত জোট সরকার আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছে এবং মঞ্জরুল ইমাম ও মমতাজসহ অনেককে হত্যা করেছে। 

 আওয়ামি লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপির সময়ে সারাদেশে এমন কোন উপজেলা ও জেলা নেই এখানে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীকে হত্যা করেনি। তারা আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যা করে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তবে বাস্তবতা হল আওয়ামি লীগ আরো শক্তিশালী হচ্ছে এবং জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, বিএনপির যারা খুনের সঙ্গে জড়িত, অগ্নি সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত, জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত, আমি জানি তারা অনেকে লুকিয়ে ছিল। এখন বিএনপি মাঠে নেমেছে, তারা মাঠে নামবে। এই সমস্ত আসামিদের কিন্তু ধরতে হবে। তাদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। কারণ তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। জীবন্ত মানুষ হত্যা করেছে। মানুষকে নির্যাতন করেছে। তাদের ছাড় নেই। আইন তার আপন গতিতে চলবে। আইন সকলের জন্য সমান এটা তাদের মাথায় রাখতে হবে। রাজনীতি করবে রাজনীতিক হিসেবে, কিন্তু সন্ত্রাসী-জঙ্গিবাদী রাজনীতি চলবে না এটা আমরা চলতে দেব না, এটা মাথায় রাখতে হবে। 

রিজার্ভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারাদেশে ১০০ টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এর জন্য মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করছে এবং কৃষিখাতকে যান্ত্রিকীকরণ করার জন্য কৃষি উপকরণ ক্রয় করছে বলে বৈদেশিক মুদ্রার কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। তথ্যসূত্র: বাসস। 

 


শেয়ার করুন