২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৯:৫১:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


বিজয়ের আনন্দ
ফকির ইলিয়াস
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-১২-২০২২
বিজয়ের আনন্দ


ভাঙা ব্রিজ। ব্রিজের দু’পাশে মানুষ। তারা জানেন না কীভাবে পার হতে হবে। কীভাবে মেরামত হবে এই ধ্বংসস্তূপ! মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর উদ্যোগে শুরু হয়েছে পুনর্নির্মাণের কাজ। মানুষ আশায় বুক বাঁধছেন। অন্যদিকে স্বজন  হারানোর বেদনা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ফিরবেন কবে! ২৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ দিনটি ছিল এরকম। ঢাকা শহরে ‘শেখ মুজিব দিবস’-এর অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল সকালে মসজিদ, মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা, শোভাযাত্রা ও বিকেলে পল্টন ময়দানে জনসভা। সভায় বক্তৃতা করেন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা।

ইতোমধ্যে, প্রখ্যাত লেখক ও চলচ্চিত্র প্রযোজক জহির রায়হান অভিযোগ করেছেন যে, বদর বাহিনী কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যার পেছনে একটি বৃহৎ শক্তি জড়িত আছে। তিনি স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, এই হত্যাকা- শুধু বদর কূপম-ুকদের দ্বারা সম্ভব হয়নি, মার্কিন গোয়েন্দা সার্ভিস কর্তৃক ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান এবং কঙ্গোতে পরিচালিত হত্যাকা-ের সঙ্গে এর প্রায় মিল রয়েছে। জহির রায়হান তথ্য প্রকাশ করে বলেন, লে. নিয়াজীসহ কিছু পাকিস্তানি জেনারেল এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। কিছু উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীও এ ষড়যন্ত্রের দোসরের কাজ করে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এখনো এ ব্যাপারে কোনো কার্যকর সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। খুনি ও অপরাধী ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে জনগণের বিভিন্ন অংশে অনুপ্রবেশ করেছে এবং তাঁর কাছে অপরাধীদের পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা রয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র ও হত্যারহস্য সারা বিশ্বের কাছে উদঘাটন করতে সরকারের কাছে আবেদন জানান। তিনি বলেন, বদর দস্যুদের মুখোশ উন্মোচন না করলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি তা হুমকি হয়ে থাকবে। এদের কঠোর হাতেই দমন করতে হবে। বদর পশুদের জঘন্য হত্যাকা-ে দেশ তার সেরা সন্তান-সন্ততিদের হারিয়েছে।

২৯ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ পিবির খবরে বলা হয়, খিলগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় পুনরায় চালু উপলক্ষে আয়োজিত বিরাট কর্মিসভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, সর্বপ্রকার শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সমাজতন্ত্রী অর্থনীতি চালু করাই আওয়ামী সরকারের লক্ষ্য। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতন্ত্রী দেশ হিসেবে পুনর্গঠনের জন্য সর্বশক্তি ও উদ্যম নিয়োজিত করার জন্য তিনি জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ সাড়ে ৭ কোটি মানুষের মুক্তিসংগ্রামে যাঁরা শহিদ হয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না।

তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বাংলাদেশের মানুষ সত্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মাত্র নয় মাসের মধ্যে জয়ী হয়েছে। কোনো জাতি এতো কম সময়ের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি এবং স্বাধীনতার জন্য এতো রক্তের ঋণও পরিশোধ করতে হয়নি।

বাঙালিদের মুক্তিসংগ্রামে অকুণ্ঠ সমর্থন দানের জন্য তিনি ভারতের ৫৫ কোটি অধিবাসী, ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান জনগণ ও সরকারের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি রাশিয়ার দৃঢ় সমর্থন দানের ফলেই বাংলাদেশে বিশ্বযুদ্ধে শিকার হতে বেঁচে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের ফলে চিরকালের জন্য পঙ্গু ও বেসামরিক লোকদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বাংলাদেশ সরকারের শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান ও জোঠ নিরপেক্ষ নীতির পুনরোক্তি করেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের যুবসমাজ স্বাধীনতার পুরোধা ছিল বলে তাঁদের নিরস্ত্র করা হবে না। তাঁরা নিজেদের পেশায় ফিরে যেতে না চাইলে তাঁদের জাতীয় মিলিশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ভোরে ঢাকা শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলম মোস্তফা এমপি এ এবং কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম এএনএ বক্তৃতা করেন।

পিটিআই পরিবেশিত খবরে বলা হয়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে প্রায় ৪৫ হাজার যুদ্ধবন্দিকে জাহাজযোগে ঢাকা থেকে ভারতে নেয়া হবে। এই যুদ্ধবন্দিদের মধ্যে নিয়মিত ও অনিয়মিত সৈন্য রয়েছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়কমন্ত্রী অধ্যাপক এম ইউসুফ আলী বেগম শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি আওয়ামী লীগ অফিসে গিয়ে নেতা-কর্মীদের সাথে আলোচনা করেন। সন্ধ্যায় তিনি দৈনিক ইত্তেফাক অফিসে গিয়ে দখলদার বাহিনী দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত মেশিনপত্রের ধ্বংসাবশেষ দেখেন।

৩০ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ পিবির খবরে বলা হয় : সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবী নিধন তথ্যানুসন্ধান কমিটির এক প্রতিনিধিদল অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করেন। প্রতিনিধিদল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের পরিচালিত গণহত্যা সম্পর্কে তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য মুক্তিবাহিনী, মিত্রবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি ব্যক্তিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের দাবি জানান। এই সংস্থা ধর্মান্ধ ফ্যাসিস্ট আল-বদর বাহিনী র্কর্তৃক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বুদ্ধিজীবী নিধন এবং পাকবাহিনী ও কিছু বিদেশি এজেন্সিতে তাদের (আল-বদর) উপদেষ্টাদের সম্পর্কেও তদন্ত চালাবেন। তাঁরা বিশেষভাবে জোর দিয়ে বলেন, সন্দেহজনক ফ্যাসিস্ট নরঘাতক ও তাদের দোসরদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্দেশ্যে এই কমিটিকে দ্রুত অভিযান শুরু করতে হবে।

প্রতিনিধিদল রায়েরবাজার এবং অন্যান্য স্থানে যেসব মৃতদেহ এখনো পড়ে আছে সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সমাধিস্থ করার জন্য রাষ্ট্রপ্রধানের নিকট আবেদন জানান। কমিটির এক প্রেস রিলিজে বলা হয় যে, অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান প্রতিনিধিদলকে আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি তাঁদের দাবি সম্পর্কে ‘বাস্তব ব্যবস্থা’ গ্রহণ করবেন।

নরঘাতকদের অনেকেই এখন পর্যন্ত লোকচক্ষুর আড়ালে থাকাতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ওইসব রাষ্ট্রবিরোধী লোকদের নিমূল করার ব্যাপারে কমিটির প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান। ঘাতকদের ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত ব্যক্তিদের জন্যও তিনি সমবেদনা ও সহানুভূতি জ্ঞাপন করেন।

কলিকাতার মাদার টেরেসা এক সাক্ষাৎকারে গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলামের সাথে বাংলাদেশের বীরাঙ্গনা খেতাবে ভূষিতা কুমারী মাতাদের জন্য একটি সদন স্থাপনের পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। মাদার টেরেসার এই পরিকল্পনা অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের অকুণ্ঠ প্রশংসা লাভ করেন। অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ভারতস্থ শরণার্থী শিবিরে মাদার টেরেসার কার্যক্রম লক্ষ্য করেছেন। মাদার টেরেসা ভারতে নিঃস্ব লোকদের পরিচর্যার জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং উল্লেখযোগ্য সমাজসেবা কার্যের জন্য ম্যাগসেসাই পুরস্কার লাভ করেন। গরিব ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পরিচর্যার জন্য তিনি ভারতে একটি ধর্মীয় ‘সেবিকা সম্প্রদায়’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং বর্তমানে সমগ্র ভারতে তার সম্প্রসারণ ঘটেছে।

লাঞ্ছিতা মহিলা ও অপুষ্ট শিশুদের পরিচর্যার জন্য খুব দ্রুত মাদার টেরেসা কলকাতা থেকে ছয়জন সেবিকা পাঠাবেন। তাঁর এই কাজে সাহায্যের জন্য তিনি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার জন্য এবং তাঁর পরিকল্পনা সাময়িকভাবে বড় আকারের ভবন ব্যবহারে সহায়তাদানের জন্য সম্পত্তি মালিকদের প্রতি আবেদন জানান। ৬৭/২ কাকরাইল রোড, পোস্টবক্স ৯৯৪, রমনা, ঢাকা-২ ফোন ২৫৯৬৭৯ এই ঠিকানস্থ খ্রিস্টান ত্রাণ ও পুনর্বাসন সংস্থার সহযোগিতায় এই পরিকল্পনার কাজ সম্পাদিত হবে।

৩১ ডিসেম্বর ১৯৭১, কলকাতায় এক সরকারি মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশে মোতায়েনকৃত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সমস্ত ব্যাটালিয়ানকে আগামী দু-একদিনের মধ্যে ভারতে ফিরিয়ে নেয়া হবে। তিনি বলেন, ১৪ দিনব্যাপী পাক-ভারতযুদ্ধে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রায় একশ সদস্য নিহত এবং ৫শ আহত হয়।

এদিকে নয়াদিল্লির এক খবরে বলা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল শ্যাম মানেকশ বলেন, ভারতীয় বাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব ৯৩ হাজার পাক নিয়মিত ও অনিয়মিত সৈন্য ও বেসামরিক লোককে বাংলাদেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া। এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, বর্তমানে পাকবাহিনী গত যুদ্ধের বিপর্যয় সামলে ওঠার চেষ্টা করছে। এ প্রেক্ষিতে তিনি যুদ্ধবিরতি সীমারেখা বরাবর সদা সতর্ক নজর রাখার জন্য সৈন্যদের প্রতি আহ্বান জানান।

এপিবি পরিবেশিত খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানি সেনাবিাহিনী ও তাদের দোসরদেরও কৃত গণহত্যার পরিমাণ ও ব্যাপকতা সম্পর্কে তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম।

কমিশন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসরগণ যে ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে সে সম্পর্কে তদন্ত এবং বিশেষভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যার ব্যাপারে সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও একটি সামগ্রিক রিপোর্ট দাখিল করবেন।

কমিশনের নেতৃত্ব করবেন হাইকোর্টের একজন জজ কিংবা অবসরপ্রাপ্ত জজ অথবা জজ হওয়ার যোগ্য কোনো গণ্যমান্য ব্যক্তি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লিতে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতাকালে বলেন, ভারত পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ চায় না, চায় শান্তিতে বসবাস করতে। তিনি ভারতের প্রতি বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শ্রীমতি গান্ধী বলেন, পাক-ভারত সংঘর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই সাম্প্রতিককালে ভারতের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দু’দেশের মধ্যে পুনরায় বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে বর্তমানে বাংলাদেশ একটি বাস্তব সত্য। আর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত চীনের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য দায়ী পাকিস্তানি সৈন্যদের বিচারের উদ্দেশ্যে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে কি-না, সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারই স্থির করবেন।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পর, এভাবেই দাঁড়াতে থাকে বাংলাদেশ। তখন শীতকাল। গাছে গাছে ফুটেছে ফুল। বারুদের ঝাঁঝে ঝলসে যাওয়া ঘাস লতাপাতা

মাথা চাড়া দিতে চাইছে। দাঁড়াতে চাইছে মানুষ। এভাবেই এগিয়েছে বাংলাদেশ। ৩০ লাখ শহিদ আর দুই লাখ নারীর সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বাঙালির বিজয়।

শেয়ার করুন