২৫ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৩:৪৯:৫৮ অপরাহ্ন


সরকার হটানোর আন্দোলন চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে- মির্জা ফখরুল
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৬-২০২৩
সরকার হটানোর আন্দোলন  চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে- মির্জা ফখরুল


সরকার হটানোর আন্দোলন ‘তীব্র গতিতে চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে’ উল্লেখ সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার সকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপির মহাসচিব এই আহ্বান জানান।

 তিনি বলেন, ‘‘গত কয়েকবছর ধরে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশের মানুষ যে সংগ্রাম-লড়াই শুরু করেছে এই লড়াই তীব্র গতিতে তার চূড়ান্ত পরিণতির দিকে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজপথে ১৭ জন মানুষ তার বুকের রক্ত দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে, গুম হয়েছে তারপরেও মানুষ থেকে নেই। মানুষ গণতন্ত্রের জন্য অবিরাম সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। আমাদের নেতা তারেক রহমান যে ডাক দিয়েছে তাতে সাড়া দিয়ে আজকে আমরা উঠে দাঁড়িয়েছি, মানুষ উঠে দাঁড়িয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দল, সকল সংগঠন, সমস্ত গণতান্ত্রিক মানুষকে একতাবদ্ধ হয়ে আজকে এই সংগ্রামকে তার পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে হবে।”

 

‘আসুন আজকে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হই এবং ওই লক্ষ্যে এগিয়ে যাই যেটা আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য এদেশে গণতন্ত্রে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, ভোটের অধিকারকে রক্ষা করা এবং একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু করা…. এটা সামনের দিকে নিয়ে আমরা সফল হই।’- আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব

 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আজকে দেখুন আমাদের আন্দোলন কতটা সফল হয়েছে তার প্রমাণ বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত যে এই সরকার গত ২০১৪ ও ২০১৮ তে যে নির্বাচন হয়েছে তাতে তারা সম্পূর্ণ ভাবে ওই নির্বাচনকে তারা জালিয়াতি করেছে, চুরি করেছে, জনগনের মতামতকে সেখানে প্রকাশ করতে দেয়া হয়নি।”

 

‘‘ আজকে প্রমাণিত হয়েছে বলেই গণতন্ত্রের জন্য, সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য, ভোটের অধিকারকে নিশ্চিত করার কথা বলা হচ্ছে। আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা জানি আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা থেকে এই দেশে কোনোদিনই সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন হবে না যদি আওয়ামী লীগের এই সরকার ক্ষমতায় থাকে। সুতরাং আমরা স্পষ্ট করে বলেছি, অবিলম্বে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং একটা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে একটা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেটাই একমাত্র এই সংকট উত্তরণের একমাত্র পথ, এই জাতিকে রক্ষার একমাত্র পথ।”

 

 

রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির্ প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বই মেলা ও চিত্র প্রদর্শনী’ এবং আলোচনা সভা’র অনুষ্ঠান হয়।

 

নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বই মেলায় জিয়াউর রহমানের ওপর লেখা বিভিন্ন গ্রন্থ এবং তার বিভিন্ন সময়ে আলোকচিত্রের একটি প্রদর্শনী হয়। পরে রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকীর ‘বই মেলা ও চিত্র প্রদর্শনী কমিটি’র উদ্যোগে আলোচনা সভা হয়।

 

 

বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী কমিটির আহ্বায়ক বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাজমেরী এস এ ইসলাম, চারুকলা ইন্সটিটিউটের সাবেক শিক্ষক অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আবদুল লতিফ মাসুম ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার নুর উদ্দিন আহমেদ নূরু বক্তব্য রাখেন।

 

অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপি দক্ষিনের সদস্য নাদিয়া পাঠান পাপন জিয়াউর রহমানের ওপর সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের লেখা কবিতা ‘আমি একজন মহাযোদ্ধার কথা বলছি…’ আবৃত্তি করেন। শিল্পী আবদুস সাত্তার, আলোকচিত্রী নুর উদ্দিন আহমেদ, বুলবুল আহমেদ, রুস্তম আলী প্রামানিক, আনোয়ার হোসেন জনি, আলী আহসান নিশান, ইকবাল আহমেদ তনু, শহীদুল ইসলাম, খায়রুল আলম তোহাসহ চিত্রাঙ্গন অংশগ্রহনকারী Mও জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের কর্মকর্তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় কমিটির পক্ষ থেকে।

 

অনুষ্ঠানে বিএনপির অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, বিএনপি নেতা কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুল খালেক, রফিক শিকদার, জাসাসের আহসান উল্লাহ চৌধুরী, হাসান চৌ্ধুরী, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।  

 

শেয়ার করুন